আজ বৃহস্পতিবার সকালে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের পরিবেশটা ছিল বেশ আবেগঘন। আবেগ ছুঁয়ে গিয়েছিল প্র্যাকটিস সেশনে মাঠে নামা প্রতিটি পাকিস্তানি খেলোয়াড়কেই। কারণ, পাকিস্তানের গতি তারকা শোয়েব আকতার আজ সকালেই সব সহ-খেলোয়াড়কে ডেকে জানিয়ে দিয়েছেন নিজের অবসরের দিনক্ষণ। জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের পরপরই তিনি বিদায় জানাবেন ১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের হয়ে তিনি খেলতে নেমেছিলেন।
তবে, রাতারাতি খ্যাতির শীর্ষে উঠে যান, ১৯৯৯ সালে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে কলকাতায় টর্নেডো গতির দুটো বলে পরপর শচীন টেন্ডুলকার ও রাহুল দ্রাবিড়কে ফিরিয়ে দিয়ে। এরপর থেকেই অন্তত ২০০৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধান স্ট্রাইক বোলারের দায়িত্বটা তাঁর কাঁধেই ছিল। কিন্তু, বোলিং অ্যাকশন বিতর্ক, শৃঙ্খলাজনিত নানা রকম স্খলনের কারণে শোয়েব আকতারের ক্যারিয়ারটা কখনোই কালিমাহীন ছিল না। মাঝের কিছুদিন ক্রিকেট থেকেও বহিষ্কার ছিলেন এই গতি তারকা। এবারের বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সফরে দলে ফিরেছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপেও খেলেছেন কয়েকটি ম্যাচ। পারফরম্যান্সও একেবারে খারাপ নয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগুন ঝরানো এক স্পেলের মাধ্যমে পাকিস্তানের বিজয়ে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তবে শারীরিক সমস্যার কারণে টানা ১০ ওভার একই ছন্দে তিনি বল করতে পারছেন না। আর এ সমস্যাই তাঁর অবসরের সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে জানা গেছে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দিকে ভালো বল করলেও শেষ দিকে রস টেইলরের সামনে তিনি ছিলেন অসহায়। এক ওভারে ২৮ রান দিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরের ম্যাচেই বাদ পড়েন তিনি। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মানের চেয়ে অনেক নিচেই রয়েছে একসময়ের ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ খ্যাত এ গতি সম্রাটের ফিটনেস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।