My Name is Md E Mahmud, live in Dhaka, Work at Home

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের চাতলাপুর স্থলবন্দরে বিএসএফ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তিন পরিবহন শ্রমিককে বেধড়কভাবে পিটিয়ে আহত করে। ঘটনার প্রতিবাদে ও নিরাপত্তার দাবিতে ব্যবসায়ীরা আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় এ ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, ভারতীয় অংশে কৈলাসহরের বৌলাপাশা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই ব্যবসায়ীর লোকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলাকালে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার আর কে চাকমার নেতৃত্বে ১৮ থেকে ২০ জনের বিএসএফ দল চেকপোস্টের জিরো পয়েন্ট ১৮৬৩ নম্বর সীমান্ত খুঁটি সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বাংলাদেশী ট্রাক চালক ফারুক মিয়া (৩৬), আসিক মিয়া (৩৪) ও হেলপার মোঃ সেলিম (২৩)কে বেদড়কভাবে পেটাতে থাকে। ঘটনাস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজিবি নায়েক জালাল উদ্দীন ও সদস্য বাবুল আহমেদ জানান, ১৮৬৩ নম্বর সীমান্ত খুঁটির ওপারে ভারতীয় দুই ব্যবসায়ীর লোকজনের মাঝে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছিল।

বিষয়টি বুঝে উঠবার আগেই বিএসএফ সদস্যরা অতর্কিতে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে বাংলাদেশী তিন পরিবহন শ্রমিককে মারধোর করেছে। এ সময় বাংলাদেশী শ্রমিক ও বিএসএফর মাঝে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হলে তিনি বাংলাদেশী শ্রমিকদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে বিএসএফের আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানান। এ খবর পেয়ে বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মোঃ জসিম উদ্দীন ও শরীফপুর ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল আজিজ ঘটনাস্থলে এসে বিএসএফের আচরণের প্রতিবাদ জানান। এ অবস্থায় বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার মনোজ কুমার ঘটনাস্থলে এসে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বিএসএফের নির্যাতনে আহত বাংলাদেশী ট্রাক চালক ফারুক মিয়া ও আসিক মিয়া বলেন, তারা ভারতীয় এক ব্যবসায়ীর ইট নিয়ে জিরো পয়েন্টে আনলোড (মালামাল নামানো) করার সময় অতর্কিতে বিএসএফ এসে তাদেরকে মারধোর করেছে।

ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনরত দুই বিজিবি সদস্য তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষুব্ধ সকল বাংলাদেশী শ্রমিকদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে না নিলে অবস্থার আরও অবনতি হতো। ট্রাক চালক ফারুক মিয়া আরও জানান, ট্রাক শ্রমিকদের মজুরী পরিশোধের জন্য তার কাছে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা ও হেলপার মোঃ সেলিমের কাছে থাকা আরও ১০ হাজার টাকা বিএসএফ সদস্যরা ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে চাতলাপুর স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আমদানি-রফতানিকারক খন্দকার এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি খন্দকার আতিক সেলিম বলেন, বিএসএফর আচরণে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনাক্রমে ঘটনার প্রতিবাদে ও ভবিষ্যত নিরাপত্তার দাবিতে চাতলাপুর স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চাতলাপুর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা এএসআই কবির হোসেন লোদী বলেন, প্রাথমিকভাবে কয়েক ঘণ্টার জন্য ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বেলা ২টার পর থেকে আবারও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ঘটনা সম্পর্কে বিজিবি ১৪ ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল নূরুল হুদা বলেন, ভারতীয় অংশে যেকোন ঘটনা ঘটুক সেজন্য বিএসএফ কেন বাংলাদেশ অংশে এসে বাংলাদেশীদের মারধোর করবে। বিএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার জন্য বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিজিবি আনুষ্ঠানিকভাবে পত্র প্রদান করবে। চাতলাপুর স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, তিনি ঘটনা শুনেছেন। তবে স্থলবন্দরে আমাদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ সম্পর্কে কোন মন্তব্য না করলেও তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে বলা যাবে। Online earning education for Bangladeshi people Life-time membership free for problem solving For details http://www.bdcareer.tk
।