আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাতি গুজব দুই- বেহেশতের চাবি তাদের কাছে!

ব্যাপারটি আমার কাছে সবসময়ই সাধারণ, যে যেমন সে সেরকমই আচরণ করবে। জামাত-শিবির তাদের অস্তিস্ত্ব রক্ষার জন্য সবদিকই চেষ্টা করবে, তা এক্কেবারে স্বাভাবিক। ধর্ম আমাদের দিক নির্দেশনা এবং দৃষ্টান্ত সামনে আনে সবসময় ভালো কিছুর। কিন্তু ধর্মকে পুঁজি করে খেলা একাত্তরের রাজাকার চক্র চেষ্টা করছে তা থেকে সুবিধা আদায় করতে। ধর্ম মানুষের সেনসিটিভ জায়গা, সে সেনসিটিভ জায়গাটির দুর্বলতাকে পুঁজি করে ২০১৩তে দাড়িয়েও ধর্ম ব্যবসায়ী অথবা ধর্ম নিয়ে ভণ্ডামি করা একটি দল ‘জামাত-শিবির’ তাকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে সবসময়।

বাংলাদেশের যে কয়টি মসজিদ আছে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় নামাজ পড়তে থাকা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে ৯০ ভাগই হবেন যাদের মুখে হয়ত দাড়ি নেই, হয়ত লম্বা পাঞ্জাবী নেই। কিন্তু তারা অসম্ভব ধর্মপ্রাণ মুসলমান। আর তাইতো উনারা নামাজের সময় ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে উদগ্রীব থাকেন। কেউ হয়ত প্যান্ট-শার্টই পড়ে আছেন, নামাজের সময় ঠিকই নামাজ পড়ছেন। আমাদের পবিত্র ইসলাম ধর্ম শান্তির কথাই বলে সবসময়।

বাংলাদেশে শিক্ষিতের হার এখন যদি কেউ বলেন একশত ভাগ। আমি তাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করি। শুধুই স্বাক্ষর জানলে তাকে জাতীয় পরিসংখ্যান-গত দিক দিয়ে শিক্ষিত বলতে পারি। তবে সে শিক্ষায় বিচার-বুদ্ধি নিশ্চয়ই পরিপক্বতা আসে না। আর সে দুর্বলতার জায়গাটিকেই পুঁজি করে, আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় মত্ত রাজাকার, দেশদ্রোহী ঐ জামাত-শিবির পক্ষ।

জামাত-শিবির বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর বেশ কিছু অংশকে বিভ্রান্ত করে তাদেরকে বলছে- জামাত-শিবির করলে এবং এর পেছনে থাকলে তাদের বেহেশত নাকি নিশ্চিত। সর্ব শক্তিমান আল্লাহ প্রদত্ত হাদিস-কোরআনের সুনির্দিষ্ট বানীকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করে, ধর্মপ্রাণ মানুষকে বেহেশতের চাবি দেবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে! পবিত্র হাদিস থেকেই আমরা জানতে পারি একটি ঘটনা- বেধর্মী একজন মহিলা, যিনি কিনা কখনোই ইসলাম ধর্ম মানেন নাই, ইসলাম ধর্ম এর কোণ নিয়ম-কানুন পালন করেন নাই। তিনি শুধুমাত্র পিপাসায় থাকা একটি কুকুরকে পানি খাওয়ানোর পুন্যে, জীবে দয়া দেখানোর পুন্যে আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করেছেন। পবিত্র ইসলাম ধর্ম কাউকে অধিকার দেয় নাই, কে বেহেশত পাবেন আর কে জাহান্নামি হবেন। জামাত-শিবির সে মিথ্যাচার করতেও দ্বিধা করছে না।

আল্লাহ ওদের হেদায়েত করুক। এরই মধ্যে জেনেছি সবাই- চাঁদেও সাঈদিকে দেখা গিয়েছে, ঘোষণা এসেছে মসজিদের মাইক থেকে! মানিকগঞ্জে তারা গুজব ছড়িয়েছে তাও মসজিদের মাইক তারা ব্যবহার করছে! মানিকগঞ্জে তারা সাধারণ মানুষকে মাইক দিয়ে আহবান জানিয়েছিল- মাদ্রাসা আক্রমণ করছে পুলিশ! সবই মিথ্যা প্রচারনা। এ ধরনের মিথ্যাচার তারা বেছে বেছে যে জায়গাগুলোতে সফল হবে বলে জানে, ঠিক সে জায়গাতেই তারা তা শুরু করছে। বাংলাদেশের কতজন ইমামকে ফ্রি অব কষ্টে হজ্ব করিয়ে এনেছে জামাত-শিবির, তার হিসেব কি সরকার অথবা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আছে?  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।