জন্মের প্রয়োজনে ছোট ছিলাম এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি
জোক্স লিখার অভিজ্ঞতা আমার জন্য সুখকর না। ইতিপূবে মাইনাস ফেরত দেয়ার দাবিতে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের নিয়ে জোক্স করার অপরাধে সেইফ থেকে জেনারেল হয়েছিলাম... আর সেই পোষ্টে কমেন্ট করার অপরাধে আমার প্রিয় ব্লগার নষ্টছেলেও জেনারেল হয়ে গিয়েছিল। এর পর থেকে ভয়ে নষ্টছেলে আর আমার কোন পোষ্টেই কমেন্ট করে না...
কথায় আছে, ন্যাড়া বেল তলায় একবার যায়.. আমি মনে হয় ন্যাড়া হতে পারিনি তাই আবার জোক্স লিখার দুঃসাহস দেখানোর চেষ্টা করছি।
১. আমার দাদুর বয়স তখন প্রায় ৮০ উপরে। চোখে ঠিক মত না দেখলেও কান সব সময় খাড়া।
আর তার রাগটাও বয়সের সাথে সাথে যেনো পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে বার্গার কিনে নিয়ে গেলাম বাসার সকলের জন্য।
ফেরার পর পরই দাদু বল্লেন, "কি নাস্তা করবি তুই?" আমি বল্লাম "বার্গার খাব"। দাদী ঝাঁজের সাথে বল্লেন.. এইখানে খাইতে পারছ না... বার গর (বাহিরের ঘর) গিয়া খাওন লাগবো কেন?
২. এটা আমার নানু কে নিয়ে। আমার ছোটভাই বার্থরুম সিঙ্গার।
সে সময় রাইটার বলপেন এর একটা এড দেখাতো.. যার জিজ্ঞেল টা আইউব বাচ্চুর করা... "লোনলি ডেইস, লোনলি নাইট... ইউ আর ফার এওয়ে" ।
তো ছোটভাই গোসল করছে আর জোরে জোরে গাইছে.. লোনলি ডেইস, লোনলি নাইট, ইউ আর ফার এওয়ে"। কিছুক্ষন পর নানু একটা লু্ঙ্গি নিয়ে ওয়াশরুম ধাক্কাতে লাগল। আমি পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম.. জানতে চাইলাম কি হইছে নানু? নানু বল্লেন হিগ্গা গোসলে গেছে লু্ঙ্গি নেই নাই... তহন ধরি চিল্লাইতাছে.. লুঙ্গি দে, লুঙ্গি নাই, ওইটা ফাইরা গেছে...
৩. দাদু, নানু গেল। এবার আসি আমার মা কে নিয়ে।
মা কে নিয়ে চিটাগং বেড়াতে গিয়েছি বোনের বাসায়। বোনের বাসায় একটা কাজের মেয়ে ছিল গ্রাম থেকে আনা। সে সারাক্ষন আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলত। আর বোনের ছেলেও তার দেখা দেখি আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা শিখে যাচ্ছে বলে বোন কাজের মেয়েকে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা শেখানোর চেষ্টা করছে। আমার মা এখনো আঞ্চলিক ভাষাতেই কথা বলে।
সেখানেও তার ব্যাতিক্রম হলনা। একদিন সকালে একটা কাক জানালার কাছে এসে খুব জ্বালাচ্ছিল.. মা আঞ্চলিক ভাষায় কাক তাড়ানোর চেষ্টা করতেই কাজের মেয়ে এসে বল্ল নানি এভাবে বলবেন না... বলবনে "এই কাক.. মেতাচ্ছিস কেন?"
পাতিলের নিচে যদি পানি থাকে তাহলে সে বলবে.. "খালা খালা পাতিলের সোগায় তো পানি"
যদি বোন কাজের মেয়েকে বলে বাবুকে নিয়ে হেটে আয়... তাহলে সে ভাগ্নিকে কোল থেকে নামিয়ে বলবে বাবুনী তোমাকে হেটতে হবে... খালা বলেছে হেটতে...
৪. অফিস থেকে ফিরছি। সন্ধা বেলা। রাস্তায় অনেক ভীড়। একটা ৬ নম্বর বাস ভীড় ঠেলে ঠেলে এগিয়ে আসছে।
বলে রাখা ভাল ৬ নম্বর বাসের দুটি দরজা। একটা সামনে অপরটা পেছনে। একটু হালকা ব্রেক করলে একজন ৫০ উর্ধ্যে প্রৌড় সামনের দরজা দিয়ে নেমে গতি জড়তার কারনে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন... ঠিক তখনি বাস টাও চলা শুরু করল। আর পেছনের দরজায় থাকা কন্ডাকটার মনে করল পৌড় মনে হয় বাসে ওঠার জন্য দৌড়াচ্ছেন। সে একহাতে বেচারা প্রৌড়কে টান দিয়ে আবার বাসে উঠিয়ে নিলেন... আমি দূর থেকে সেই প্রৌড়ের চেচামেচি শুনতে লাগলাম আর এক গাল হাসলাম।
পুনশ্চ:
অতি প্রাপ্ত বয়স্ক কেন লিখলাম এবার আশা করি বুঝতে পারলেন... আর কঠিন ভাবে ১৮+ ৩০ + এগুলো না লিখলে তো কেউ পড়তেও আসে না... এটাও একটা জোক্স বটে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।