আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মরতেই তো হচ্ছে আসুন মরি তবে প্রতিবাদ করে---

একটা আটপৌরে ঘরোয়া সাদামাঠা প্রেমের কবিতা লিখতে চাই

মেধাবী ছাত্র রেদওয়ানুল ইসলামের স্বপ্ন পূরণ হলো না। বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু পরিবহন শ্রমিক ও ঘাতক ট্রাক তাকে আর বাঁচতে দিল না। শনিবার গভীর রাতে ট্রাক চাপায় ঝরে গেল মেধাবী ছাত্র রেদওয়ানুল ইসলামের (২৫) সম্ভাবনাময় জীবন। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

রেদওয়ানুলের গ্রামের বাড়ি বরিশালের কোতোয়ালিতে চলছে শোকের মাতম। বিছানা-চাদর, টেবিল, বই-খাতা সবই পড়ে আছে। শুধু নেই রেদওয়ানুল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের ৩০৪ নম্বর কক্ষে তিনি আর ফিরবেন না। শেষ বিদায় নিলেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

রেদওয়ানুল চলে গেছেন বাবা-মায়ের স্বপ্ন ভঙ্গ করে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে যন্ত্রদানব। তিনি আরবি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন। রাজধানীর মতিঝিলে শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ট্রাক চাপায় আহত রেদওয়ানুল ইসলাম রাত ২টা ৫ মিনিটের দিকে হাসপাতালে মারা যান।

২০১০ এ রাজধানীতে আবারো বাসের চাপায় মারা গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। নিহত বিল্লাল হোসেন মোল্লা পড়তো সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স শ্রেনীতে। মঙ্গলবার হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দর এলাকায় রাস্তা পার হতে গিয়ে তুরাগ পরিবহনের একটি বাস বিল্লালকে ধাক্কা দেয়। এতে সেসমময়েই মারা যায় বিল্লাল। বিল্লালের ফুফাতো ভাই আজিজুর যাচ্ছেন সৌদিআরবে।

ভাইকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে এসেছিলেন নিজেই। বিদায় জানানো শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে ঘাতক বাস কেড়ে নেয় উচ্ছল মেধাবি বিল্লালকে। ২০০৫ এ শাহবাগ মোড়ে এ হ্যাপি আপু--- বাকি গুলো মনে নেই --কদিন আগে মগবাজারে বলাকা পরিবহনে এক যাত্রী উঠতে গেলে হেল্পার তাকে ঢাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়-এরপর গাড়ি তার পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়-- ---কলাবাগান মোড়ে একজন অতিরিক্ত সচিবকে রোড ডিভাইডারের পাশে চাপা দিয়ে মেনে ফেলে-- উইলস লিটিল ফ্লাওয়ারের সেই দেবশিশুটি--- হবিগঞ্জে দুই পুলিশ, ঢাকায় দুই বোনসহ নিহত ১১ আহত ২৩: নওগাঁর পতœীতলায় বাস চাপায় মারা গেছে দুই শিশু। রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে শনিবার বিকেলে পৃথক দুটি বাস চাপায় মারা গেছে ১ জন মহিলা। আহত হয়েছে এক শিশু।

------------------ এররকম প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ জন মরা যাচ্ছে অশিক্ষিত গোঁয়াড় চালক আর হেল্পারদের কারণে সময় এসেছে সিদ্ধান্ত নেয়ার--- এসব অশিক্ষিত চালক ও হেল্পারদের কিছু বলার মরতেই তো হচ্ছে আসুন মরি তবে প্রতিবাদ করে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।