আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগুনে পুড়েছিলো তুতেনখামেনের মমি!

মিসরের ফারাও রাজা তুতেনখামেনের মমি নিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিকদের আগ্রহ যেনো আর শেষ হবার নয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই ফারাও রাজার মমি নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যকর দুইটি তথ্য উঠে এসেছে। নতুন আবিষ্কৃত এই তথ্যগুলো রহস্যাবৃত এই রাজার প্রতি বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিভঙ্গী অনেকটাই পরিবর্তন করে দিতে পারে। ইজিপ্ট একপ্লোরেশন সোসাইটির পরিচালক ক্রিস নটোনের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

বৃটেনের চ্যানেল ফোরের জন্য নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি বা তথ্যচিত্রে এই তথ্যগুলো প্রকাশ করেন তিনি।

তথ্যচিত্রটিতে নটন বলেন, সম্ভবত মমি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর যখন তুতেনখামেনের দেহাবশেষকে পাথরের কফিনে রেখে কবর দিয়ে দেয়া হয়, তার কিছুসময় পরেই মমিকরণে ব্যবহৃত রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে তার দেহাবশেষ পুড়ে যায়। মমি করার জন্য ব্যবহৃত অক্সিজেন সমৃদ্ধ সুগন্ধী তেল এবং লিনেনের বিক্রিয়ার ফলে যে উচ্চ তাপমাত্রা উৎপন্ন হয় , তাতেই এই ফারাও রাজার শবদেহ পুড়ে যায়। তুতেনখামেনের মমির আবিষ্কর্তা তুতেন খামেনের মমি কোন কারণে পুড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন। এছাড়া ষাটের দশকে এক্স রে এবং ইলেক্ট্রনিক মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে তুতেনখামেনের মমির যে ময়না তদন্ত করা হয়, তাতেও পোড়া মাংসপেশি দেখতে পাওয়া যায়।

ক্রিস নটোন কম্পিউটারের সাহায্য তুতেনখামেনের একটি ভার্চুয়াল শবচ্ছেদ করেন।

আর তা থেকে তিনি দেখতে পান, তুতেনখামেনের দেহে ঠিক যে ধরনের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়, তা থেকে মনে হয়, তিনি যুদ্ধকালীন সময় ঘোড়াচালিত রথ থেকে পড়ে গিয়ে বা এ জাতীয় কোন দুর্ঘটনায় আঘাত পেয়ে মারা যান। এর আগে ধারণা করা হতো, বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে তুতেনখামেনকে। ১৯২২ সালে তুতেনখামেনের মমিটি পুনরাবিষ্কারের মাধ্যমে আধুনিক বিশ্বের নজরে আসে। তুতেনখামেনের মমি আবিষ্কারের পৃষ্ঠপোষক লর্ড কারনাভনের আকষ্মিক মৃত্যুর পর একে ঘিরে থাকা রহস্যের জাল আরো ঘন হয়। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় এসব রহস্য কাটতে শুরু করেছে।

তথ্যসূত্র: ফক্সনিউজ 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।