আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিজেদের আর টাইগার দাবি করো না, আমাদের প্রেস্টিজে লাগে দাবি সুন্দর বনের টাইগারদের

সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
কেউ এবার আর বাঘের গর্জন শুনলেন না, শুনলেন বিড়ালের মিউমিউ। ভাবতে বুক ফেটে যায়_ এই কি সেই বাংলাদেশ, যে কি-না ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে সবাইকে তার আগমনী বার্তা শুনিয়েছিল? এই কি সেই বাংলাদেশ যারা কার্ডিফে বিশ্বজয়ী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল? এই কি সেই বাংলাদেশ ২০০৭ বিশ্বকাপে যারা ভারতকে হারিয়ে পুরো বিশ্ব কাঁপিয়ে দিয়েছিল? গতকালের দেখা বাংলাদেশ নিশ্চয় সেটা নয়। শুধুই হতাশা #-o #-o :^o :^o এই পরাজয়ের পরও সাকিব সাংবাদিকদের সামনে হাসতে পারেন; বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বেআব্রু করে দেওয়ার দায় থেকে মুক্তি পেতে পারেন না। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সৌন্দর্যকে কালিমালিপ্ত করার অপরাধেও সাকিবকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন হর্ষা ভোগলের মতো ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। মোট ৩১.১ ওভারের সোয়া ঘণ্টার হরর শো, এবারের বিশ্বকাপের সর্বনিম্ন স্কোর এবং স্বল্পমেয়াদি ম্যাচ।

বাংলাদেশের এই ম্যাচ দেখে সাকিবদের ক্রিকেট অজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন কি কেউ করতে পারে না? প্রশ্ন চিহ্নটা একশ' পয়েন্টে টাইপ করতে ইচ্ছে করছে। কারণ যে দলের এগারো ব্যাটসম্যান ৫৮ রানে অলআউট হয়, তারা কি ক্রিকেট খেলতে নেমেছে নাকি ভিডিও গেমস, তা নিয়ে সন্দেহ হতেই পারে। বিশ্বকাপের এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গা-ছাড়া একটা ভাব ছিল গোটা দলের মধ্যে আশাহত দর্শক মৌমাছির মতো ভুয়া... ভুয়া... শব্দে স্টেডিয়াম ক্ষোভে ভেঙে পড়ল। বিপদ বুঝেই খবর দিয়ে আনা হলো ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি। কপাল ভালো, মিরপুর এদিন '৯৬-এর কলকাতার ইডেন গার্ডেন হয়নি।

গ্যালারি থেকে পানীয়র বোতল পড়েনি, আগুন জ্বলেনি মাঠে। অথচ ম্যাচের যে মান তাতে উপমহাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে দর্শকদের ওই ক্ষোভটুকু ছিল প্রায় অনিবার্য। অথচ যাদের জন্য সমর্থকদের এতটা স্যাক্রিফাইস সেই সাকিব কিন্তু ঠিকই হাসিমাখা মুখে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে গেলেন এর চেয়েও খারাপ দিন আসতে পারে। গরম মেজাজে দর্শক আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ে জেগে উঠেছিল রাজধানীসহ পুরো দেশ। রাতজুড়ে চলেছিল জয় উদযাপন।

তার ঠিক সপ্তাহ না ঘুরতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে লজ্জাজনক পরাজয়। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ে যতখানি উল্লসিত হয়ে রাস্তায় নেমেছিল দেশবাসী, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পরাজয়ে তার চেয়ে বেশি লজ্জা নিয়েই ঘরে ফেরে ক্রিকেটপাগল লাখো দর্শক। যে মানুষগুলো মাত্র সাতদিন আগেই সাকিবদের নামে জয়ধ্বনি দিয়েছে, তারাই কাল দুয়োধ্বনি দিল। যে হাতে ফুল ছড়িয়েছে, সে হাতেই জুতা মিছিল। বাংলাদেশে জয় মানে টিএসসিতে বাঁধভাঙা উৎসব।

এ আশাতেই গতকালও সবাই জড়ো হয়েছিল সেখানে; কিন্তু আশায় গুড়েবালি। ক্ষোভ মেটাতেই সাকিবদের ছবি পোড়ানো হয়। এত দিন ছবিগুলো পরম শ্রদ্ধায় ঝুলছিল। ( ( ( লজ্জা আর লজ্জা X_X X_X X_X X_X X_X X_X X_X X_X ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রিকশা চালক ফুলবাবু এর আগের শুক্রবার আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের জয়ের পর রিকশা নিয়েই যোগ দিয়েছিলেন মিছিলে। বিনা ভাড়ায় চড়িয়েছেন ছাত্রদের।

তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪১ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তিনি আর খেলাই দেখেননি। "ভাইজান কি আর কমু, চারুকলার ভিতরে মাইয়াগো খেলতে দেখছি। মনে অইলো তেনারাও আমাগো দলের চাইতে ভালা খেলে কাগজ জড়ো করে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন তারা। স্লেগান শোনা যায়, 'ভুয়া, ভুয়া'। 'বাংলাদেশের জান, বাংলাদেশের প্রাণ' সাকিব আল হাসানের পোস্টারও জ্বলতে দেখা যায় এক ক্ষুব্ধ সমর্থকের হাতে।

ইসলামী ব্যাংকের সৌজন্যে সোহারাওয়ার্দী উদ্যান গেটের বিলবোর্ডে ঝুলানো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একটি বড় জার্সিও ছিড়ে ফেলেন মিছিলকারীরা। যারা বাজি কিনে বিজয় উৎসবের জন্য প্রস্তুত হয়ে ছিলেন, সেই পটকা ফুটিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। সমর্থকদের ভুভুজেলার সুর এদিন হয়ে গেছে বেদনাময়, করুণ। বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই এ লজ্জাজনক হারের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে দুষেছেন। সংগ্র করলাম
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।