এডিটেড
সিসিটিভি ক্যামেরায় যা দেখা গিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে অনেক।
যেসকল প্রশ্ন কিছুতেই এড়ানো যাবেনা তা হলঃ
সিসিটিভি ক্যামেরায় যাকে দেখা গিয়েছে সে অপেক্ষাকৃত সরু শরীরের।
অন্যদিকে যে তারেককে হাসপাতালে উদ্ধার করা হয়েছে সে যথেষ্ট হৃষ্টপুষ্ট।
কানে মোবাইল থাকায় পুরো চেহারা দেখা যায়নি তাই কিভাবে তারেকের চেহারা শনাক্ত করা গেল তা নিয়েও প্রশ্ন থাকতেই পারে।
যাই হোক আসল কথা হল সন্ত্রাস বা আন্ডারওয়ার্ল্ড রাজনীতিতে ঢুকেই পরে নিজের ব্যবসাবাণিজ্যের নিরাপত্তার জন্য।
আবার রাজনীতি এই আন্ডারওয়ার্ল্ডকে ব্যবহার করে আধিপত্য বিস্তারের জন্য। অর্থাৎ দুজনের প্রয়োজনেই দুজনা। বিগত দুইদশক ধরে এটায় বাংলাদেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক অংশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু রাজনীতি অতীতে এমনটা ছিলনা।
সেআমলে বিদেশী আগ্রাসন থেকে নিজ ভূমিকে রক্ষা করতে এবং দেশ স্বাধীন করার উদ্দেশ্য নিয়েই রাজনীতি হত।
পবিত্র রাজনীতির সে ইমেজটা হয়ত বর্তমানে নেই তাই মানুষ রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে নিরপেক্ষতার রাস্তাকেই বেছে নেই বেশী। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি সুসংগঠিত সুশৃঙ্খল দেশপ্রেমিক সংগঠন হলেও যুবলীগের সমাজসেবামূলক কর্মকান্ড ছাত্রলীগকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। এর কারণ রয়েছে নানাবিধ। খোদ ছাত্রলীগও খুব একটা সম্মানের নজরে দেখে যুবলীগকে তাও নয়। অথচ যুবলীগকে হওয়া উচিৎ ছিল সকলের শ্রদ্ধার পাত্র এবং অনুসরণীয়।
ইতিহাস হয়ে যাওয়া মিল্কী আর তারেক উভয়ের বিরুদ্ধেই মামলা ছিল আগে থেকেই। অর্থাৎ তারা সেই রাজনীতির অংশ না যেমনটা জনগণ প্রত্যাশা করে। অপরদিকে তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা যদি সত্য হয় তবে এটাও সত্য যে আন্ডারওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করায় তারাও কিছু অলিখিত নিয়মের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে। যার সম্ভাব্য চূড়ান্ত পরিণতি যে কোনসময় মৃত্যু।
আন্ডারওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করলে আপনাকে কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতেই হবে।
যদি কখনও আপনার গোপন কোনকিছু ফাঁস হয়ে পড়ে(বিশ্বাসঘাতকতা করা,কাউকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া,বন্দুক হাতে দেখা যাওয়া তা লাইসেন্সড হোক বা না হোক)এবং তা যদি সমালোচকদের দ্বারা স্ক্যান্ডালে
পরিণত হয় তবে আপনি যেকোন রাজনীতির বলি হতে পারেন। মানে আপনাকে আজ মাথায় তোলা হল তো প্রয়োজনে কাল ছূড়ে ফেলা হবে। এমন খুনাখুনীর দৃশ্য জীবনে প্রথমবার দেখা গেল প্রযুক্তির কল্যাণে যা স্বভাবতই যেকোন স্বাভাবিকচিত্তের মানুষের ভেতর নতুনধরণের ভীতিজাগানিয়া অনুভূতির সঞ্চার করবে। এতদিন তা দেখা যেত কেবল সিনেমাতেই। তেমনি একটা দৃশ্য দেওয়া হল।
বাংলাদেশের সাথে ভারতের আন্ডারওয়ার্ল্ডের কিছুটা মিল থাকায় মুম্বাইয়ের সিনেমা কোম্পানীর একটি মার্ডারসিন দেখাই(ইচ্ছা না হলে দেখার প্রয়োজন নেই):
এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথায় আসি,ধরেই নিলাম সিসিটিভতে ধরা পড়া সেইখুনীই তারেক। এখন যে দেশপ্রেমিক কিশোরটি বর্তমানে সমাজসেবার মনমানসিকতা নিয়ে ও রাজনীতির প্রতি বিমুখ মানুষের চিন্তাধারা পাল্টে দেওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে বড় হয়ে শেখ মনির হাতে গড়ে তোলা যুবলীগে ভবিষ্যতে যোগ দেওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখে তার মনোভাবে এধরণের মার্ডারসিন দেখে বিরূপ অনুভূতির সঞ্চার হবেই এবং এর দ্বায় কে নেবে?যার রক্তে মিশে যাওয়া বিশ্বাস যে জাতির পিতার দলে সচেতনচিত্তের দেশপ্রেমিক,দয়ালু,প্রতিবাদী,বুদ্ধিমান মানুষদেরই জায়গা হয় শুধুমাত্র। সে কখনও বিশ্বাস করেনা বিবেকহীন হিংস্ররা আওয়ামীলীগে যোগ দেয়। ইউটিউবে মিল্কী হত্যার সিনটা দেখে ভিন্ন অনুভূতির সঞ্চার হবেই। কিন্তু জীবনের প্রথম কোন হত্যাকান্ড দেখেই হয়ত,অথবা মানবতাবাদের আদিম অনুভূতি থেকেই যুবলীগের তারেক নামের ঐ কর্মীর ওপর অসন্তুষ্টি সারাজীবন মনে দাগ কেটে যাবে।
এভাবে প্রকাশ্যে দলের সহকর্মীকে হত্যা করল ঠান্ডা মাথায়,পায়জামা-পাঞ্জাবী দেখে নয়,বরং এ ঠান্ডা মাথার মার্ডার স্টাইলটা বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডে জড়িত শিবিরের সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে শোনা সেই কাহিনীগুলোর সাথেই যেন মিলে যাচ্ছে। তাই যদি সত্য হয় তবে তারেকের সাথে শিবিরের সন্ত্রাসীদের পার্থক্য কোথায় থাকল?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।