লোপার আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের বেঞ্চ রোববার ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করে।
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট বিএম ইলিয়াস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।
বিএম ইলিয়াস পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই খুন হন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কী। সন্দেহভাজন হিসাবে ২০১৩ সালের ৮ অগাস্ট গ্রেপ্তার করা হয় লোপাকে।
ওই মামলায় এজাহারভুক্ত ১১ আসামির মধ্যে তার নাম নেই।
গ্রেপ্তারের ১২০ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র না হওয়ায় এবং নারী হওয়ার কারনে আদালত লোপাকে জামিন দিয়েছে বলে জানান তার আইনজীবী।
গুলশানের ১২৩ নম্বর সড়কের শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক মিল্কীকে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনার সময় মিল্কীর সঙ্গে ছিলেন ব্যবসায়ী মারুফ রেজা সাগর। তার স্ত্রী লোপাকেও পরে সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ওই বিপণি বিতানের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও দেখে মূল হত্যাকারী হিসেবে যুবলীগ নেতা এইচ এম জাহিদ সিদ্দিক তারেককে চিহ্নিত করা হয়। র্যাব তাকে গ্রেপ্তারও করে।
কিন্তু পরে রাজধানীর খিলক্ষেতে র্যাবের সঙ্গে তারেকের সহযোগীদের কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এই যুবলীগ নেতা নিহত হন বলে র্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তারা সে সময় দাবি করেন, যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক তারেকের সঙ্গে সাগরের স্ত্রী লোপার পরকীয়া ছিল। মিল্কীর গতিবিধি সাগরের স্ত্রীই খুনিদের জানিয়েছিলেন।
মিল্কী হত্যার ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা করেন তার ভাই মেজর রাশিদুল হক খান। এতে তারেকসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।