সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
মোবাইল ফোন আমাদের বর্তমান জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বস্তু। দিন যতই যাচ্ছে মোবাইল ফোনও আমাদের জীবনের সঙ্গে ততই জড়িয়ে পড়ছে। দৈনন্দিন জীবনের অনেকাংশই হেয়ে পড়ছে মোবাইল ফোনের ওপর নির্ভরশীল। ১৯৮০ সালথেকে সারা বিশ্বে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। সারা বিশ্বে ৫০০ কোটিরও বেশী মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে।
বাংলাদেশের জনসংখার একটি বিশাল অংশের হাতেই এখন রয়েছে মোবাইল ফোন। সংসদে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানিয়েছেন দেশে মোবাইলফোন গ্রাহক সংখ্যা সাত কোটির ঘর স্পর্শ করতে চলছে। ইদানিং কালে মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলো্ তাদের পণ্যের কিছু বিশেষ দিকে নজর দিচ্ছে। তার মধ্যে শরীরের ওপর মোবইল ফোনের রেডিয়েশনের প্রভাব নিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসা।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে মোবাইল থেকে নিঃসৃত তড়িৎ চৌম্বকীয় বল ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
যদিও বিতর্ক আছে মোবাইল ফোন ব্যবহারে স্বাস্থ্যহানি ঘটে কী না তা নিয়ে। এতদিন যারা মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে হৃদরোগ, রেডিয়েশন ভয়ে ভীত ছিলেন। মোবাইল ফেনে ব্যবহার করতেন এন্টি ওয়েভ । তাদের জন্য সু- সংবাদ। মেরিল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখেছেন, মোবাইল ফোন ব্যবহারে বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটে।
অর্থাৎ মোবাইল ফোন ব্যবহারে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে! বিজ্ঞানীরা সে রকমই দাবি করছেন।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যাবলির কী সম্পর্ক, এটা জানতে গবেষকেরা এক সমীক্ষা চালান। ২০০৯ সালে ৪৭টি পরীক্ষায় দেখা যায়, মোবাইল ফোন ব্যবহারে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
প্রতিবারই বাঁ ও ডান কানের ধারে মোবাইল ফোন সংযুক্ত করা হয়। গবেষকেরা লক্ষ করেন, এতে মস্তিষ্কের যে অঞ্চলে মোবাইল ফোন সংযুক্ত করা হয়েছে, সেখানে গ্লুকোজ মেটাবলজিমের পরিমাণ বেড়ে যায়।
আর যেখানে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়, সেখানে গ্লুকোজ মেটাবলজিমের পরিমাণ বাড়ে না। কিন্তু গ্লুকোজ মেটাবলজিমের পরিমাণ কম-বেশির সঙ্গে মস্তিষ্কের কী সম্পর্ক? মস্তিষ্ক কতটা কার্যক্ষম তার মান নির্দেশ করতে পারে এই গ্লুকোজ মেটাবলিজম।
এ নিয়ে ওয়াশিংটনের দ্য জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে মেরিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। গবেষণা মতে, মোবাইল ফোন ব্যবহারে মস্তিষ্ক আগের চেয়ে আরও বেশি কার্যক্ষম হয়।
তবে কথা আছে আরো।
অন্য একদল বিজ্ঞানী বলেছেন মোবাইলে একটানা ৫০ মিনিটের বেশি কথা বললে মস্তিস্ক ওলট পালট হয়ে যেতে পারে। ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউটস অব হেলথ এর গবেষকরা মোবাইলে বিরামহীনভাবে কথা বলার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন কানের কাছে মোবাইল ফোনের এন্টেনা ৫০ মিনিটের বেশি ধরে রাখলে মস্তিস্কের কোষগুলোর কাজ পরিবর্তন হতে শুরু করে। ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউটস অব হেলথ এর গবেষক ড.নোরা ভলকো জানিয়েছেন মোবাইলে বেশি কথাবলার ফলে মস্তিস্কে গ্লুকোজ মেটাবলিজম বেড়ে যায় তবে এতে কী ক্ষতি হয় বা মস্তিস্কের ক্যান্সার হয় কিনা সে বিষয়ে গবেষকরা কিছু জানায়নি।
তবে এই গবেষণা সম্পূর্ণ সফল হয়েছে কি না, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে।
তাঁদের সন্দেহ, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার সম্পর্ক সত্যিই আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে চাই আরও আরও গবেষণা। আর গবেষণায় এটা প্রমানিত হলে দিন রাত সমানে কথা বলা যাবে কোন রকম স্বস্থ্যহানির আশংকা ছাড়াই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।