আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাই ফাই থ্রিলারঃ সিমুলেশন, Season 1, Episode 5

কিচ কিচ কুচ কুচ কাচ কাচ কোচ কোচ!!!

রাতে একটা হরিণ শিকার করে নিয়ে এল তৃতীয় অ্যামান্ডা। প্রথম অ্যামান্ডা বলল, “এটাকে পেলে কোথায়? ” “মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছিল”। “তোমার একা একা যেতে ভয় করল না? ” “বললামই তো আমি এখানেই জন্মগ্রহণ করেছি। এখানকার মাটির প্রতিটি কণা আমি চিনি”। হরিণের মাংস আগুনে পুড়িয়ে খেতে লাগল দুজনে।

প্রথম অ্যামান্ডা বলল, “আচ্ছা তুমি নিজের বাবার বিরুদ্ধে গেলে কেন? ” তৃতীয় অ্যামান্ডা বলল, “আমার গল্প খুবই করুণ। শুধু এটুকু বলতে পারি বাবা আমার উপর পাশবিক অত্যাচার করতেন। উনি কখনো চান নি উনার কোন মেয়ে সন্তান হোক। আমি ছোট থাকতে আমাকে সহ্যই করতে পারতেন না তিনি। বড় হবার পর একদিন তো আমার বুক কেটে সমান করে দিতে চেয়েছিলেন।

আঠারো বছর বয়সে মায়ের মৃত্যু পর আমি বাসা থেকে পালাই। স্বেচ্ছায় ইন্টারপোলের হাতে ধরা দিই। বলি, বাবার আস্তানা আমি চিনিয়ে দেব। আমায় লুফে নেয় ইন্টারপোল। কারণ আমার বাবা পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ Most wanted বিদ্রোহীদের একজন।

তার দলটা অনেকটা মার্সেনারি ধাঁচের। এরা টাকার বিনিময়ে সরকার পতনে সাহায্য করে”। মাংস শেষ হল। প্রথম অ্যামান্ডা বলল, “আমরা চলা শুরু করব কখন? ” তৃতীয় অ্যামান্ডা বলল, “সকাল হোক। এখন একটু বিশ্রাম করে নাও”।

পরদিন ভোর। প্রথম অ্যামান্ডা ঘুম থেকে উঠে দেখল, তৃতীয় অ্যামান্ডা তীরের মাথা চোখা করছে। তার পাশে রাখা সদ্যপ্রস্তুত দুটো ধনুক। “এটা দিয়ে ওদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যাবে? ” “যেতেও পারে”, বলল তৃতীয় অ্যামান্ডা, “যেহেতু হাতে অন্য কিছু নেই”। দু’জন দুটো ধনুক কাঁধে ঝুলিয়ে শুরু করল পথচলা।

হঠাৎ করেই পথের ধারে ফুলের উপর অদ্ভুত সুন্দর কিছু প্রজাপতি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল প্রথম অ্যামান্ডা। হাত বাড়িয়ে একটাকে ধরতে গেল সে। সাথে সাথে তীব্র ব্যথায় চিৎকার করে ঊঠল প্রথম অ্যামান্ডা। “কি হল? ” চমকে বলে উঠল তৃতীয় অ্যামান্ডা। “একটা প্রজাপতি কামড়ে দিয়েছে...হাত দিয়েছিলাম...” যেন লাফিয়ে উঠল তৃতীয় অ্যামান্ডা।

“কোথায়? ” “এখানে”; হাতটা তখনই অনেকখানি ফুলে গেছে প্রথম অ্যামান্ডার। “সর্বনাশ”, প্রজাপতিটাকে দেখে বলে উঠল তৃতীয় অ্যামান্ডা। “এগুলো তো প্রজাপতি নয়, ওগুলো তো ইনসেক্টো-বট, মানে যন্ত্রচালিত পোকা। ওগুলো তো তোমার শরীরে ট্রান্সমিটার ঢুকিয়ে দিয়েছে! ” “এখন কি হবে? ” “কি আর হবে? এতক্ষণে শত্রু শিবিরে অ্যালার্ম বেজে গেছে, তোমার রক্তে প্রবাহিত হচ্ছে ট্রান্সমিটার। ওটার সিগন্যালে অচিরেই ওরা তোমাকে ধরে ফেলবে”।

“এখন উপায়? ” “পালাও”। ওরা দৌড়ে পালাতে লাগল। বন জঙ্গল পার হয়ে বড় একটা মরুভূমির সামনে এসে দাঁড়াল ওরা। পিছনে হঠাৎ শোনা গেল সম্মিলিত কণ্ঠের চিৎকার। তারা দেখল, একটু দুরেই দুটো উট বেঁধে রাখা।

তারা দুজনে চড়ে বসল উটের উপর। উটদুটো হাঁটতে শুরু করল। পিছনে শত্রুদের দৌড়ে আসতে দেখা গেল। তারা গুলি করতে শুরু করল দুই অ্যামান্ডার দিকে। প্রথম অ্যামান্ডা বলল, “উট তো আগাচ্ছে না।

কি করব? ” তৃতীয় অ্যামান্ডা বলল, “জামাকাপড় খুলে ফেল”। “কী করব? ! ? ” “জামাকাপড় খুলে ফেল। এই উটের গতি তার সওয়ারীর দেহের তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল। আমাদের দেহে সাদা জামা সূর্যের আলো প্রতিফলন করে দিচ্ছে বলে আমাদের তাপমাত্রা তেমন বাড়তে পারছে না। ”।

প্রথম অ্যামান্ডা তবু ইতস্তত করতে লাগল। তৃতীয় অ্যামান্ডা নিজের জামাকাপড় খুলে মাটিতে ফেলে দিল। প্রখর সূর্যালোক প্রতিফলিত করার মত কোন সাদা কাপড় তাদের শরীরে রইল না। আস্তে আস্তে বাড়তে লাগল তার উটের চলার গতি। পিছন দিক থেকে সাঁই সাঁই করে গুলি তাদের দিকে ধেয়ে আসতে লাগল দুঃস্বপ্নের মত।

সেটা দেখে প্রথম অ্যামান্ডাও তার সব জামাকাপড় খুরে নগ্ন হয়ে গেল। তার উটের গতিও বাড়তে লাগল আস্তে আস্তে। একসময় সেটা ঘোড়ার মত গতিতে দৌড়াতে লাগল। আস্তে আস্তে পিছনে পড়ে যেতে লাগল শত্রুরা। একটু পরেই শত্রুরা একদম নাই হয়ে গেল।

প্রথম অ্যামান্ডা বলল, “হে হে, হাল ছেড়ে দিয়েছে”। একটু পরেই মরুভূমির বালির নিচ থেকে অনেক বড় একটা জাল চারপাশ থেকে টেনে তোলা হল এবং দুই অ্যামান্ডা ও তাদের উট সেই জালে ধরা পড়ল। *** প্রথম অ্যামান্ডা জালের ভিতর ছাদ থেকে ঝুলে আছে। একটু পর পর নিজেকে মুক্ত করার তাগিদে প্রবলভাবে হাত পা ছুঁড়ছে সে। কিন্তু প্রত্যেকবারই ব্যর্থ হচ্ছে সে।

তার দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে তাকে তারিয়ে তারিয়ে দেখছে তৃতীয় অ্যামান্ডা ও তার বাবা। তৃতীয় অ্যামান্ডা বলল, “বাবা, তোমার পুরস্কার। ইন্টারপোলের সেরা এজেন্ট”। তার বাবা হা হা করে হেসে উঠল। বলল, “গুড গার্ল।

জানতাম বাপকে তুই কখনো ভুলে যাবি না‌। তুই যা করবি বাপের ভালোর জন্যই করবি”। তৃতীয় অ্যামান্ডা বলল, “ও ইন্টারপোলের সব জানে। ওর মস্তিষ্ক স্ক্যান করলেই তুমি ইন্টারপোলের খুঁটিনাটি পেয়ে যাবে”। “গুড, ভেরি গুড”।

“এবার আমার পাওনা দাও”। “কোন পাওনা? ” “তোমায় বলেছিলাম না? সেন্ট্রাল ডাটাবেসে একটিবারের মত অ্যাক্‌সেস। ঐ শুয়োর দিগুভিচের ডাটা আমি আমি ওলোটপালোট করে দেব। ওর নামের পাশে একগাদা হত্যা আর গুম প্রোগ্রাম করে লিখে দেব আমি”। “এত রাগ থাকা কি ভালো রে মা? আর তাছাড়া ওসব তো অনেক আগের কথা, এখন আর প্রতিশোধ নিয়ে কি হবে? হাজার হোক, সে তো তোরই হাজবেন্ড ছিল”।

“হবে বাবা হবে। তুমি তোমার মেয়েকে চেনো না। প্রতিটা জিনিসের বদলা নেবেই নেবে সে”। “আচ্ছা ঠিক আছে। দেবো তোকে অ্যাকসেস।

তবে এর চেয়েও বড় পুরস্কার তোর জন্য অপেক্ষা করছে”। “কি সেটা? ” “সময় হলেই দেখবি”। তৃতীয় অ্যামান্ডার বাবার নির্দেশে প্রথম অ্যামান্ডাকে একটা অন্ধকার জেলে পুরে রাখা হল। তার হাত পা সব অকেজো করে শুধু মস্তিষ্ক সচল রাখা হল। আত্মহত্যা করে ফেললে তো সব শেষ।

গভীর রাতে দু’জন গার্ডকে ঘুমের ঔষধ দিয়ে তৃতীয় অ্যামান্ডা তার কাছে এল। তাকে জানিয়ে দিল, “পেয়ে গেছি সেন্ট্রাল ডাটাবেসে অ্যাকসেস। মিশন প্রায় সফল। আরেকটু ধৈর্য ধর ডার্লিঙ”। *** পরের দিন।

বড় হলরুমে জমায়েত হয়েছে সব মার্সেনারি। তৃতীয় অ্যামান্ডার বাবা মার্সেনারিদের সর্দার বললেন, “আজ আমার বিশেষ আনন্দের দিন। আমার মেয়ে আজ আমার কাছে ফিরে এসেছে। সাথে নিয়ে এসেছে ইন্টারপোলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত একটি মস্তিষ্ক। আজ আমরা এই মস্তিষ্কটি বিশ্লেষণ করে সব তথ্য বের করব।

তারপর শুরু হবে ধ্বংসযজ্ঞ। ইন্টারপোলের নাম পৃথিবীর বুক ও সমস্ত ডাটাবেস থেকে চিরতরে মুছে যাবে। তখন আমরাই হয়ে বস ইন্টারপোল, হা হা হা”। অর্ধমৃত প্রথম অ্যামান্ডার মস্তিষ্কে ইন্টারফেস ঢুকানো হল। একটু পরে তথ্য বিশ্লেষিত হওয়া শুরু হল।

মার্সেনারিরা অধীর আগ্রহে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইল। একটু পরে স্ক্রিনে অ্যামান্ডাকে দেখা গেল। সে বলছে, বাবা, তুমি হেরে গেছ। আমি তোমার মেয়ে। কিন্তু যে এখন ডাটাবেস থেকে তোমাদের সব ডাটা মুছে দিচ্ছে সে তোমার মেয়ে নয়।

মার্সেনারিদের সর্দার লক্ষ্য করলেন, তার মেয়ের পরিচয়ে একটু আগেও যে এখানে দাঁড়িয়ে ছিল, যাকে উপহার হিসেবে সেন্ট্রাল ডাটাবেস এ অ্যাকসেস দেয়া হয়েছিল, তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। *** প্রথম অ্যামান্ডা গতকাল রাতে তৃতীয় অ্যামান্ডার কাছ থেকে পাওয়া পাসওয়ার্ডটা ঢুকাতেই ডাটাবেসের ইন্টারফেস সজীব হয়ে উঠল। Welcome Mercenary তারপরই স্ক্রিনে একটা ধাঁধা ভেসে উঠল। দুটো পাশাপাশি দরজা, দুটো দরজায় দুজন প্রহরী। একটা দরজার পিছনের রাস্তা গেছে স্বর্গে, একটা নরকে।

যে কোন প্রহরীকে শুধুমাত্র একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে বের কর কোনটা স্বর্গের আর কোনটা নরকের দরজা। মনে রাখবে, প্রহরীদের মধ্যে একজন শুধুমাত্র মিথ্যা কথা বলে, আর অপরজন শুধুমাত্র সত্যি কথা বলে। প্রথম অ্যামান্ডা ধাঁধাটা নিয়ে প্রবল ভাবে চিন্তা করতে লাগল। স্বর্গ নরক..... সত্য মিথ্যা.......... এ কি ধরণের ধাঁধা রে ভাই। এদিকে পিছনে দুমদাম দরজা ধাক্কানোর শব্দ হচ্ছে।

প্রথম অ্যামান্ডা কিছুতেই বুঝতে পারল না সে কি করবে। ধাঁধাটির সমাধান কোনভাবেই তার মাথায় আসছে না। দুম দুম করে শব্দ হচ্ছে দরজায়। এমন শব্দ, মনে হচ্ছে দরজা এখনই ফেটে পড়বে। একসময় দরজাটি সত্যিই ফেটে পড়ল।

এবং প্রথম অ্যামান্ডা দেখল, দরজা দিয়ে প্রবেশ করছে দ্বিতীয় অ্যামান্ডা! *** দ্বিতীয় অ্যামান্ডার মাথা তখনো সেই পিস্তলের আঘাতে ফোলা। দ্বিতীয় অ্যামান্ডা প্রথম অ্যামান্ডাকে বলল, “কি ব্যাপার। দেরি করছ কেন? ” প্রথম অ্যামান্ডা ভেবে দেখল, দ্বিতীয় অ্যামান্ডাকে বিশ্বাস করলেই লাভবান হবার চান্স বেশি। সে দ্বিতীয় অ্যামান্ডাকে ধাঁধাঁটি দেখাল। দ্বিতীয় অ্যামান্ডার মুখ দিয়ে সূক্ষ্ম একটা হাসি বের হল।

“আমি সারাজীবন গাণিতিক ধাঁধার সমাধান করে এসেছি”, বলল সে। “তাহলে উত্তরটা বল”। “উত্তরটা হল- তুমি যেকোন এক প্রহরীকে জিজ্ঞেস করবে, “আমি যদি তুমি বাদে অপর প্রহরীকে জিজ্ঞেস করি যে তার দরজার পিছনের রাস্তা কোন দিকে গেছে তাহলে সে কি জবাব দেবে? ” সে সেটা উত্তর দেবে তার থেকে ভিন্ন গন্তব্যটাই হবে সেই অপর প্রহরীর পিছনের দরজায় সঠিক গন্তব্য। ব্যস, হয়ে গেল”। “মানে কি? ” “ধর, দুটো দরজা ১ আর ২, একটা স্বর্গের আর একটা নরকের রাস্তার দরজা।

দুই প্রহরীর একজন সত্য আর একজন মিথ্যা কথা বলে। ১ এর প্রহরীকে তুমি জিজ্ঞেস করবে, “২ এর প্রহরীকে যদি আমি জিজ্ঞেস করতাম তার দরজার পিছনের রাস্তাটা কোন দিকে গেছে তাহলে সে কি জবাব দিত? ” ধরি ১ জবাব দিল, “স্বর্গ”; তাহলে ২ এর দরজাটা হবে নরকের রাস্তার দরজা। সিম্পল”। সাথে সাথে ঘর ঘর করে একটা শব্দ হল। দুই অ্যামান্ডা অবাক হয়ে দেখল, আনলক হয়ে গেছে সেন্ট্রাল ডাটাবেস।

সাথে সাথে গম গম করে উঠল সারা ঘর। যান্ত্রিক কণ্ঠ বলে উঠল, “ওয়েলকাম অ্যামান্ডা। ইওর মিশন ইজ অলমোস্ট সাকসেসফুল। ইওর মিশন অবজেকটিভস হ্যাভ বিন চেঞ্জড। এখন তোমাদের টার্গেট হচ্ছে নিজেরটা বাদে অন্য এজেন্টদের ডাটা সেন্ট্রাল ডাটাবেস থেকে মুছে ফেলা।

গুড লাক। ইওর টাইম ইজ রানিং ডাউন”। “এটা হতে পারে না”, বলল প্রথম অ্যামান্ডা, “কেন আমি অন্যের ডাটা মুছে ফেলব? না না আমি ওর কথা শুনব না। আমি মার্সেনারিদের ডাটাই মুছব”। দ্বিতীয় অ্যামান্ডা বলল, “না, মিশন ইজ মিশন।

আমার এখন তোমকে মেরে ফেলা উচিৎ ছিল, বাট আই অনার ইউর কারেজ। আমি সবার শেষে তোমার ডাটা ইরেজ করব”। প্রথম অ্যামান্ডা বলল, “থামো, কেউ আমাদের নিয়ে খেলছে। তুমি নিজেই চিন্তা কর। মার্সেনারিদের পেয়েও আমরা নিজেরা নিজেদের কেন মারব? ” দ্বিতীয় অ্যামান্ডা হতাশ হয়ে বলল, “সেক্ষেত্রে আমার কিছুই করার থাকল না।

কিন্তু তুমি সুযোগ পেয়েও আমায় হত্যা কর নি, আমিও করব না। বাট আই অ্যাম সরি”, বলে শরীরের পিছন থেকে একটা শক্ত ইট বের করে তুলে নিয়ে প্রথম অ্যামান্ডার মাথায় মারল সে। প্রথম অ্যামান্ডা মূর্ছিত হয়ে পড়ে গেল। দ্বিতীয় অ্যামান্ডা দ্রুতহাতে ইন্টারপোলের গোপন ডাটাবেস বের করল। পাসকোড দিল।

লুকোনো ফাইলে পাওয়া গেল অ্যামান্ডাদের নাম। ৩৮ জন অ্যামান্ডা এই মিশনে অংশ নিয়েছে, তার মধ্যে এখন বেঁচে আছে মাত্র তিনজন। প্রথমেই তৃতীয় অ্যামান্ডার ডাটাবেস ডিলিট করে দিল সে। সম্ভবত এই বাকিদের খুন করেছে। তারপরেই প্রথম অ্যামান্ডার ফাইলে চলে এল সে।

নেহায়েৎ কৌতূহলবশত প্রথম অ্যামান্ডার ফাইল সবিস্তারে দেখতে লাগল সে। প্রথম অ্যামান্ডার ক্রিমিনাল হিস্ট্রির এক জায়গায় এসে চোখ আটকে গেল তার। ওখানে লেখা – “Killed her husband and husband’s lover by a sharp cutting weapon. Was sentenced to death.” দ্বিতীয় অ্যামান্ডা এত অবাক হল যে বলার মত নয়। হঠাৎ করে তার মনে হতে লাগল ঠিক এরকম, হ্যাঁ, ঠিক এরকম কিছু একটা তার মস্তিষ্কের গভীরে কোথাও প্রোথিত হয়ে আছে। তার বারবার মনে হতে লাগল এই মানুষটাকে, ঠিক এই মানুষটাকে সে খুঁজে বেড়াচ্ছিল এতদিন।

তার বার বার মনে হতে লাগল, একে, হ্যাঁ একে তার জিততে দিতেই হবে। মার্সেনারিদের বন্দুকের গুলি যখন তার পিঠে লাগল, উল্টে পড়ে গেল দ্বিতীয় অ্যামান্ডা। একটু আগে প্রথম অ্যামান্ডার বদলে তার নিজের ডাটা ইরেজ করে দিয়েছে সে। ৯ “হাই নিশু”। “কে? ” “আমি।

রাকিবিল হাসানাত”। “আমাকে কি নামে ডাকলেন? ” “নিশু”। “আমি কে? ” “তুমি নিশু”। সাদা বিছানার উপর উঠে বসল নিশু। তার প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করছে, মাথা যেন ব্যথায় ছিঁড়ে যাচ্ছে।

“এটা কোন জায়গা? আমি এখানে কেন? ” বলব, সব বলব। আস্তে আস্তে উঠে বস তুমি। আর হ্যাঁ, ডাটা রিআপলোড প্রোগ্রামে তোমায় স্বাগতম”।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।