আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসিনা মাঝি জাহান্নামের দিকে যাক, আপনি এস্কিমো টরোন্টোর কোন নদীতে হারাইলেন?

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

ব্লগার ভাইয়েরা বিশ্বাস করেন বা নাই করেন সামুব্লগ সহ অন্যান্য ব্লগে আসার এবং লেখার মূল কারণ হল এস্কিমো ওরফে আবু সাইদ জিয়াউদ্দিন। ২০০৮ সালের আগে জানতামই না যে সামুব্লগ নামক ব্লগ আছে। এমনকি বৃটেনে এসেও আমার সাথে ঐ একই বছর ২০০৯এ আমার সমসাময়িক আসা অন্যান্য বাংলাদেশী ছাত্র যাকেই জিজ্ঞাসা করি কেউই সামুব্লগ চিনে না। বরং আমার থেকেই তারা সামুব্লগ চিনে নেয়। এর আগে ২০০৩ সাল হতে সদালাপ ও ভিন্নমতে লিখে আসছিলাম।

২০০৬ সালের শেষ দিক(জোট সরকারের মেয়াদ শেষে) হতে জিয়া ভাইয়ের সাথে আমার লেখা লেখি তথা রাজনীতি নিয়ে প্রবল মত বিরোধ দেখা দিলে উনি ২০০৭ সালের প্রথম ভাগে সদালাপ থেকে উধাও হন। তার ২ বছর আগে অবশ্য উনার নিজের প্রতিষ্ঠা করা সদালাপের দ্বায় দায়িত্ব ছেড়ে দেন ২০০৫ সালের মার্চে। ২০০৭ সালের সম্ভবত আগষ্টে যখন দেখি বহুদিন হয়ে গেল এস্কিমো সদালাপে লেখা দেন না ঘটনাটা কি? পরে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলাম লিখেন না কেন? বললেন অনেক ব্যাস্ত। তবে আমাকে জানালেন বাংলাদেশে আর রাজাকার থাকবে না। ওকে বেশ ভাল কথা।

তখনও বুঝতে পারিনি উনি সামু ব্লগে ব্লগান। এরপর আসে ২০০৮ যখন উনি লিখলেন "আমার জন্মদাতা যদি হতেন ‘রাজাকার’"; Click This Link এরপর খোজ নিয়ে সামু ও আমুব্লগের খোজ পাই। তারপর কি সাংঘাতিক ব্যাপার, উনি এই দুটো ব্লগে দারুণ ব্যাস্ত ব্যাপার। তারপর ফোন করে জিজ্ঞাসা করি তো এই ঘটনা! তিনি হেসে বললেন "ব্লগতো ইনষ্ট্যান্ট পোষ্টিং এবং মানুষের সাথে আলোচনা ও বিতর্কের জন্য আদর্শ"। ইতিমধ্যে ২০০৮ সালের মঈনের আশীর্বাদে আম্লীগের মহাজোট ক্ষমতায় জয়ী হল।

তারপরই সময় যত গড়াল এস্কিমো সহ অন্যান্য আওয়ামী-বাকশালী মাইন্ডেড ব্লগাররা একে একে সামু হতে সটকে পড়ল। তারপরেও উনাদেরকে আমু তথা আমারব্লগে ২০১০ সাল হতে ঝিমিয়ে পড়তে দেখি। উনি ছাড়াও পিয়াল ভাই, সেল্টিক সাগর, মুকুল, দস্যুবনহুর, তন্ময় আরও আওয়ামী বাঘা বাঘা ব্লগার কি সামু কি আমু কোনটাতেই বিচরণ নাই। মনে হয় তারা কোন এক কালে জীবিত ছিলেন। এখন তারা মিউজিয়ামে চলে গেছেন।

পিয়াল ভাইয়ের কথা বাদই দিলাম কারণ উনার হাসিনার উপদেষ্টাদের সাথে সরাসরি লিংক আছে। উনি বাদে আর কার লিংক আছে বলে আমার অন্তত জানা নেই। তাই বাকীরা এমনই বাকশালী মাইন্ডেড যে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন মুখে ব্লগিং করবে সেটাও একটা কথা। অথচ এরাই ২০০৯ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত বলত যে তারা আম্লীগ করেন না তারা বিবেকের তাড়নায় ৭১এর যুদ্ধাপরাধী এবং রাজাকারদের প্রতিরোধ চান। ব্লগে ঝড়, টর্ণেডো তুলতে উনাদের ছাড়া একমাত্র নাস্তিক-আস্তিক বিষয়েই হত।

এস্কিামো কেমন বাকশালী তা উনার একটি পোষ্ট হতে দেখি; বাকশাল কি জিনিস? যাদের বাকশালী বলা হয় ওদের তা নিয়ে নেই মাথা ব্যথা। কিন্তু যারা বাকশালের তথাকথিত বিরোধী এরাও আসলে জানেন না বাকশাল কি জিনিস। তারপরও থেকে নেই বাকশাল নিয়ে উৎকন্ঠা আর হৈ চৈ। বাকীটা পড়ুন; http://eskimo.amarblog.com/posts/108216 কথায় বলে চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী। আম্লীগ শহীদ জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্রের কল্যাণে তাদের পুরোনো নামটি ফিরে পায় কিন্তু চামড়া বদলালেও মজ্জাগত ও বুদ্ধি-বিবেক ও আত্না যে বদলায় না তার জবাব রাসেল ভাই দিয়েছেন; রাসেল(••••••••) জুন ৫, ২০১০ @ ১:৩১ পুর্বাহ্ন ৫ টরেন্টোর নদীতে নৌকা চলে ভাইসাব? দেশদ্রোহিতা এবং পিঠে ছুড়ি মারার অনেক রকম প্রতিশব্দ পাওয়া যাবে খুঁজলে কিন্তু বাঙ্গালী "মীর জাফর" শব্দের সাথে এটাকে জড়িয়ে ফেলেছে।

"বাকশাল" মীর জাফরের মতো একটা অবস্থানে চলে গেছে গত ২৫ বছরে, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তিত হয়েছে এমনটা কেউ বলবে না, রাজনৈতিক অধিকার, নাগরিক অধিকার বৃদ্ধি পেয়েছে এমনও কেউ বলবে না, কিন্তু "বাকশাল" শব্দটা মানুষের রাজনৈতিক এবং নাগরিক অধিকার হরণের সমার্থক হয়ে উঠেছে, সেটা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই উত্থাপিত হয় কারণ আওয়ামী লীগ দলটার সাথে এটা জড়িয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক বচনে। বর্তমানের আওয়ামী লীগ পূঁজিবাদী ইষৎ ডান রাজনৈতিক মতাদর্শ মেনে চলে সেটা একটা রাজনৈতিক দর্শণ মাত্র, কিন্তু প্রেস কন্ট্রোল এ্যাক্ট, সাংবাদিকদের মতামত প্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করা, পত্রিকা অফিসে পুলিশ ঢুকিয়ে দেওয়ার মতো কাজগুলোর সূচনা হয়েছিলো ১৯৭৩ এর নির্বাচনের পর, দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় ব্যর্থতা, দুর্নীতির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ, তাজউদ্দীন এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামকে নিয়ে বৃথা সন্দেহ এবং তাদের ক্যাবিনেটে কার্যত অকার্যকর করে ক্ষমতার ভারসাম্য নিজের দিকে সরিয়ে রাখা, বিভিন্ন রকম টোটকা চিকিৎসা শেষে এক দেশ এক দল বাকশাল বাকশাল শ্লোগান দিয়ে সংবাদপত্রের উপরে আরও কঠোর নিয়ন্ত্রন- বাকশাল শব্দটিতে এক সাথে আর সবকিছুই চলে আসে। বর্তমানের আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মতাদর্শ যেমনই হোক না কেনো, গত কয়েক দিনের ঘটনায় কি এসবের অন্যথা দেখছেন? টরেন্টোর লেকে নৌকাচেপে একটা বিকেল ঘুরে আসেন, উত্তপ্ত মাথা শীতল হলে তারপর নতুন কিছু মনে পড়বে, এখন আপনার লেখার সাথে মোজাম্মেল বাবুর লেখার মিল দেখে দুঃখ লাগছে। না কি আপনি দেশে এসে টিভি চ্যানেল খুলবেন? তারপরেও যেহেতু বলেছি যে চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী; আবু সাঈদ জিয়াউদ্দিন জুন ৫, ২০১০ @ ৪:৪৯ পুর্বাহ্ন ৫.৩ @রাসেল(••••••••), বর্তমানের আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মতাদর্শ যেমনই হোক না কেনো, গত কয়েক দিনের ঘটনায় কি এসবের অন্যথা দেখছেন? - আওয়ামীলীগের আদর্শ আর যাই হোক সমাতান্ত্রিক ধারায় যে নেই সেই বিষয়টাই বললাম। এখন আওয়ামীলিগ যা করছে তা হলো বাংলাদেশী গনতন্ত্র - যেখানে জেএমবি বোমা মারবে আর মুনতাসির মামুন রিমান্ডে যাবে।

এরা সাথে কোন আদর্শ বা নীতির বালাই নেই। আবু সাঈদ জিয়াউদ্দিন জুন ৫, ২০১০ @ ৫:০২ পুর্বাহ্ন ৫.৪ @রাসেল(••••••••), মোজাম্মেল বাবুর লেখা পড়ে কি জেলাস? কোন কথাটা বাবু মিথ্যা বলেছেন? নাকি সরাসরি জায়গা মতো লেগে যায় বলেই বাবুর উপর যত রাগ? বুঝেন তাহলে যে লোক বলে মোজাম্মেল বাবু কি মিথ্যা বলে, তারা আত্না ও বিবেক কোথায় বন্ধক দিয়েছে? এরপর আরো একটি লেখা দেখেন মে ২০১০ সালে যখন আম্লীগ সরকার বাংলাদেশে ফেসবুক ব্লকড করে তখন বাকশালী এস্কিমো এর সাফাই গায়; মনে হচ্ছে বাংলাদেশের মাথা আকাশ ভাংগছে.. http://eskimo.amarblog.com/posts/107645 এখন এস্কিমোর একটা গুরুত্বপূর্ণ কমেন্ট দেখি; আবু সাঈদ জিয়াউদ্দিন মে ৩০, ২০১০ @ ১১:৪৭ পুর্বাহ্ন ২.২.১.২ @সিসিপাস, পাবলিকের প্রতিক্রিয়া - এখানেই আমার আপত্তি। বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ ফেইজবুক খায় না মাথায় দেয় সেই প্রশ্নটাই আগে করবে। মধ্যবিত্তের চায়ের কাপের ঝড়কে পাবলিকের মতামত বিবেচনা না করাই ভাল। বাকশালী আর কাকে বলে? পৃথিবীর অন্যতম সভ্য ও আদর্শ গণতন্ত্রের দেশ কানাডাতে গিয়েও মগজে বাকশালই রয়ে গেছে।

যার মোক্ষম জবাব দিয়েছেন; সিসিপাস মে ৩০, ২০১০ @ ১১:৫৩ পুর্বাহ্ন ২.২.১.২.১ @আবু সাঈদ জিয়াউদ্দিন, মধ্যবিত্তরাও কিন্তু পাব্লিক, এখানে সব বাংলাদেশীকে দয়া করে আপাতত পাবলিকের অন্তর্গত করবেননা। মূলত যারা ফেইসবুক ব্যাপারটা কি এটা জানে এবং মিডিয়া, এরাই প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে এবং পাবলিকে বলতে উপরে এটাই বুঝানো হয়েছে। এছাড়া অন্যরা এ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেনা, এটাই হয়তো সত্য। বাউল মে ৩০, ২০১০ @ ১১:১৭ পুর্বাহ্ন ৩ আরে! আপ্নেরেই খুজতেছে বাংলাদেশ! আইচ্ছা বাংলাদেশে আমারব্লগ ব্যাবহারকারীর শতকরা হার কত? তাইলে যেকোন উছিলায় ব্লগ বন্ধ কইরা দিলেও সমস্যা নাইক্কা। বায়তুল মোকাররমের দক্ষীনগেটের বক্তিমার মতোন হৈছে পোষ্ট! মারহাবা! তয় মুহাম্মদের(সঃ) কার্টুন বিষয়ক বইক্তব্য না থাকায় পুষ্টে মাইনাচ! আবু সাঈদ জিয়াউদ্দিন মে ৩০, ২০১০ @ ১১:২১ পুর্বাহ্ন ৩.১ @বাউল, সরকার বলছে বন্ধ সাময়িক।

একটু ধৈর্য্য ধরে দেখি - না গেলো গেলো। বাকস্বাধীনতা গেলো বইলা চিল্লাই। কি বলেন? অথচ আজকে বিএনপি এই কাজ করলে এস্কিমো কি করতেন? এবার আরেক জন ব্লগারের জবাব দেখি; কালো ওঝা মে ৩০, ২০১০ @ ১১:২৩ পুর্বাহ্ন ৪ ভাইজান কি বিদেশ থাকেন বলে এ ধরনের হাক ডাক দিচ্ছেন! সরকারে যদি বলত ফেসবুকে পুলাপাইন অনেক সময় নষ্ট করছে বলে আমরা ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছি বললে সমর্থন করতাম কিন্তু মূল্ কারণ তো পাকিস্থানের যে কারণে বন্ধ করা হয়েছে সেই একই কারণ Cartoon controversy যা কিনা মিডল ইষ্টের ওয়াবি দেশগুলাও করেনি আওয়ামিলীগ যদি ক্ষমতায় গিয়ে পাকিস্থানকেই ফলো করবে ঠিক করে তাহলে বিএনপিকেই খালি কেন গালি দিব ? বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার কারী জনসংখ্যার মাত্র ০.৪% ( ষোল কোটি মানুষের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোটামোটি সাড়ে পাঁচ লাখ) যে পরিসংখ্যান দিলেন তা কিন্তু ক্রমানয়ে বাড়ছে এখন যেমন গরিব দেশ হওয়া পরেও মোবাইলকে কেউ বিলাসিতা বলে মনে করে না নেট সেরকম একটা চিজে পরিণত হবে অচিরেই। এমনিক আমারব্লগের ব্লগারগণের বিরুদ্ধে এস্কিমো একাই একশো! তার অতীতের কোন লেখায় দেখেছিলাম উনি বলেছিলেন যে "মাইনরিটিদের রাইট হল গণতন্ত্র"। অথচ বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ লোকের ফেসবুক ব্যাবহারকে বন্ধ করার প্রতিবাদ করলে উনার গত্রদাহ হয়।

এর জন্যেই বলে ঢেকী স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে। বস্তত বিবেকই আসল ব্যাপার আজকে আমুব্লগের বিবেকবান ব্লগারগণও ভদ্র ভাষা দিয়েই এস্কিমোকে দৌড়ের উপ্রে রাখে। এর জন্যই মনে হয় এস্কিমো চুপিসারে আমু ব্লগে লেখা কমিয়ে অনেকটা সটকেই পড়েন। তারপর হঠাৎ একদিন এই লেখা দেখি; মাঝি কি পথ হারাইল! http://eskimo.amarblog.com/posts/124986 যুদ্ধাপরাধের বিচার যে একটি রাজনৈতিক ব্লাফ তা ১৯৯৬-২০০১ সালেই বুঝা গেছে। এবারও যূক্তরাষ্ট্রের বাহানা দিয়ে আম্লীগ এই বিচারের(যদিও লীগের কোন যুদ্ধাপরাধী গ্রেফতার হয়নি) বিষয়ে ধানাই-পানাই করতাছে।

অথচ এস্কিমো এখন বলছেন মাঝি কি পথ হারাইল। উনার ফেসবুক নিয়ে পোষ্টে দেখেন কি বলেছেন "সূর্যের চেয়ে বালি গরম"। সামুব্লগ চালু হতে আম্লীগের নির্বাচিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এই এস্কিমো গংরাই লীগ নেতাদের চেয়ে বেশী গরম গরম লেখা দিয়েছেন। আর একটা শিশু শ্রেণীদের ছাত্রও বুঝবে আম্লীগের মতন পুরোনো ঘাগু দল এতদিন ধরে নৌকা চালিয়ে এসে পথ ভুল করবে না। আপন লাভ পাগলেও বুঝে, আম্লীগ নিশ্চয়ই পাগল নয়।

তবুও তর্কের খাতিরে ধরি যে আম্লীগ পথ হারিয়েছে কিন্তু আপনি এস্কিমো কি করছেন? নাকি রাসেল ভাইয়ের কথা মত টরোন্টোর কোন নদীতে নৌকা চালাতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলেছেন? অবশ্য টরোন্টো শহড় প্যারিস, ফ্রাংকফূর্ট ও আমাষ্টাডার্ম হতে কোন অংশেই কম মনোরম-আকর্ষণহীন নয়

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.