আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Breaking News: ওয়েবসাইট ক্রাশ : বিক্রি বন্ধ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট



পশ্চিম বঙ্গের একটি পত্রিকায় আমাদের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনা করেছিল। ফাইনাল নাকি তাদের ওখানে হবে, আমরা তো উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান করেছি ৩৬ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ষ্টেডিয়ামে, আর তারা ফাইনাল খেলার জন্য যে ষ্টেডিয়ামটি চূড়ান্ত করেছে সেটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৩৩ হাজার। ঐ ষ্টেডিয়ামে আদৌ ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কিনা সন্দেহ। উপমহাদেশের মাটিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপের টিকিটের চাহিদার কথা সবারই জানা। গ্রুপ পর্বের ম্যাচের জন্য একটি টিকিট পেতে কয়েক রাত জেগে থাকা, সারাদিন রোদে পুড়ে লাইনে দাঁড়ানো, শৃঙ্খলা রাখতে গিয়ে পুলিশি লাঠিচার্জ অনেক কিছুই হয়েছে।

এবার ফাইনালের কিছু টিকিট বিক্রি করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হলো ওয়েবসাইটই। সোমবার দুপুর থেকে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচের জন্য কিছু টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু করেছিলো আইসিসির টিকেটিং পার্টনার কায়াজুঙ্গা.কম। কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিটেই লাখ লাখ হিট হতে থাকে সম্ভাব্য ক্রেতাদের দিক থেকে। দর্শকদের বিপুল চাপ ওয়েবসাইটটির সার্ভার সামাল দিতে না পারায় বিক্রি শুরুর মাত্র পাঁচ মিনিটেই ক্রাশ করে বসে ওয়েব সাইটটি। ১০ মিনিটের মধ্যে প্রায় দশ লাখের কাছাকাছি হিট হয়েছে এ ওয়েবসাইটটিতে।

এ ধরনের চাপ সামলাতে প্রায় ফুটবল মাঠের সমান আকৃতির সার্ভার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন কায়াজুঙ্গার এক কর্মকর্তা। অনেকে ক্রেতা প্রক্রিয়ার মাঝামাঝি গিয়ে সাইবার পেসের কোথাও ঝুলে থাকেন। পরে ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানিয়ে দেন সোমবার সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচের কোনো টিকিট-ই বিক্রি করা হয়নি। তবে সম্ভাব্য টিকিট বিক্রির সময় সম্পর্কে কিছু জানায়নি কায়াজুঙ্গা। এদিকে টিকিট না পেয়ে অনেক ক্রিকেট ভক্তই ইএসপিএন ক্রিকইনফোর নিকট তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিশ্বকাপের ফাইনালের জন্য টিকেট দুষ্প্রপ্যতাকেই দায়ী করেন তারা। ২ এপ্রিল ফাইনালের জন্য মাত্র চার হাজার টিকিট থাকছে সাধারণের জন্য। কিন্তু উপমহাদেশের মাটিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য কি করে মাত্র ৩৩ হাজার আসনের একটি ভেন্যুকে ফাইনাল ম্যাচের জন্য রাখা হলো .. ক্রিকেট কর্তাদের সাধারণ জ্ঞান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামটি ছোট ভেন্যুগুলোর একটি। মোহালির (২৭ হাজার ৫০০) পরই ওয়াংখেড়ের অবস্থান।

অন্যান্য ভেন্যুগুলোর মধ্যে ইডেন গার্ডেন ৬৩ হাজার (সংস্কারের পর), সরদার প্যাটেল স্টেডিয়াম ৫৪ হাজার, এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়াম ৪৫ হাজার, ফিরোজ শাহ কোটলা ৪২ হাজার, নাগপুর ৪৫ হাজার, চেন্নাগামী ৩৭ হাজার আসন ক্ষমতার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।