আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্র্যাক পরিবার আর আমার কিছু কথা

যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে.

লেখাটার শিরোনামটা এরকম দিলাম কেন সেই ব্যপারে পরে আসছি। তার আগে একটি বাস্তব ঘটনা দিয়ে আমার লেখাটা শুরু করতে চাই। ঘটনার সাথে আমিও জড়িত ছিলাম। ঘটনার সুত্রপাত ফেইসবুকে। আমার এক ছোট ভাই এর সাথে সেদিন চ্যাট হচ্ছিল।

তার যে এক মেয়ের সাথে প্রেম চলছে সেটা আমি জানতাম এবং এটা বেশিদিনের না। ফেইসবুকে এ নিয়ে স্ট্যাটসও দিয়েছিল সে। তো সেদিন এ নিয়েই যা কথা হল তার সাথে তা নিম্নে বলা হল সেঃ ভাই, কি খবর? আমিঃ ভাল। তোমার খবর কি? সেঃ ভাল আছি। আমিঃ তা তোমার প্রেমিকার খবর কি? সেঃ কোনটার কথা বলেন?? আমিঃ (বেশ অবাক হয়ে) কেন? কোনটা আবার কি ? সেঃ আরে ভাই, আছে তো ৫ টা।

ভাই, এখন ১৯৭৫ সাল না। বুঝলেন? আমিঃ তাহলে শেষে যাকে নিয়া স্ট্যাটাস দিলা। সেঃ ভাল আছে। এখন আমার পাশেই ঘুমাচ্ছে!! আমিঃ মানে কি!!! সেঃ হ্যা, আমার পাশেই এখন সে। আমিঃ তোমার বাসায় কেউ নাই? সেঃ আছে, আমার বাবা আর মা ২ জনেই আছে বাসায়।

আমিঃ তারা কি দেখেছে এটা? কিছু বলে নাই? সেঃ নাহ!! আমিঃ কেন? সেঃ আরে ভাই, এসব আমাদের বাসায় কোন ব্যপার না। আমি সহ তারা ২ জনেই ক্র্যাক। তাই কিছু বলে না। চুড়ান্ত অবাক হয়ে আমি এ প্রসঙ্গে তার সাথে আর কথা বলি নাই। তখন কিছু ব্যপার আমার মাথায় বার বার ঘুড়পাক খাচ্ছিল।

আমাদের পরিবাবের সন্তানদের আমরা কোন শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলছি?? যেখানে বাবা মায়ের সামনে তার সন্তান মেয়ে নিয়ে আসে ঘড়ে আর একই রুমে সময় কাটায়। যেটা কখনও বাংলাদেশের মত দেশে কল্পনাও করা যায় না। ৫/৬ টা একসাথে প্রেম / ভালবাসা করেও তারা দিব্বি বাবা মায়ের সামনে দিয়ে বুক ফুলিয়ে হেটে যায় অথচ তারা কিছুই বলেন না। তারা এতে সায় দিয়ে যান। আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে এটা দৈহিক সম্পর্ক এর দিকেই যায়।

এসব কোন ধরনের কালচার সৃষ্টি হয়েছে এই দেশে? যেখানে ৯০% জনগন মুসলিম। শুধুই এটাই নয়। রাত ১২/১/২ টা অবধি ধনীর কিংবা মধ্যবিও দুলাল / দুলালীরা বাসার বাহিরে থাকে। মদ খায়, বার এ যায়, ডেট এ বের হয়। আবার তারাই মাথায় টুপি দিয়ে নামাজ পরে, রোজা রাখে।

এক সাথে সব যখন করা হয় তখন তার কতটুকু কবুল হয় তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন থেকে যায়। পারিবারিক যে শিক্ষায় একটা সন্তানের শিক্ষিত হওয়ার দরকার ছিল সেটা সে পাচ্ছে না। এ জন্য বাবা মা ২ জনেই দায়ী। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরেও যখন বাবা ঘুষ খায়, মিথ্যা কথা বলে এরকম নানা রকম খারাপ কাজে এ লিপ্ত হয় সেখানে তার আল্লাহ কালামের কাছে দোয়া আল্লাহ কতটুকু কবুল করেন?? আবার তারাই যখন ইজতেমাতে যায় প্রতি বছর তখন তারা কতটুকু নিজেদেরকে পাপ মুক্ত করতে পারেন?? এরকম হাজারো উদাহরণ এই দেশেই আছে। দিনে দিনে যে সামাজিক পরিবর্তন ঘটে চলছে এই দেশে তা আসলে বন্ধ করার সোজা কাজ না।

এটা মানতেই হবে। হয়ত মুষ্টিমেয় কিছু লোকজন এটা বুঝবেন কিন্তু এ থেকে পুরোপুরি বের হওয়ার পথ হয়ত তারাও খুজে পাবেন না। কারণ খারাপ কাজের দিকে মানুষের ঝোকটা বেশিই থাকে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.