আমি বাংলার...।
গত মার্চে হওয়া চীনের একটি বিক্ষোভ মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিপ্লবের আগুন উদ্বুদ্ধ করছে চীনকেও । চীনের তেরোটি বড় শহরে আজ রবিবার জুঁই ফুলের বিপ্লবের ডাক দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে । দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার । আজ রবিবার চীনের তেরোটি বড় শহরের প্রধান চত্বরে বিপ্লবে যারা অংশ নিতে
চায় তাদের জড়ো হতে বলা হয়েছে ইন্টারনেট বার্তায় ।
নানারকমের বার্তা, কিন্তু সকলের বক্তব্য একই ধাঁচের । যেমন একটি বার্তা বলছে, আমরা স্বাগত জানাব ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের, নিজেদের জমি থেকে জোর করে উচ্ছেদ করে দেওয়া মানুষদের, আমরা দাবি করব গণতন্ত্রের, প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কারের এবং একদলীয় শাসনব্যবস্থার অবসানের। চীনের অভ্যন্তরে এই জুঁই বিপ্লবকে রুখতে যথারীতি জোরদার ব্যবস্থা নিয়েছে চীন সরকার । ইন্টারনেটের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় অনেক বড় সার্চ এঞ্জিনে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না জেসমিন বিপ্লব নিয়ে পোস্ট । কিছু কিছু ওয়েবসাইটে অন্য নামে সেগুলোকে প্রচারের প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিপ্লবের আহ্বানকারীরা ।
একধরণের ওয়েব যুদ্ধই চলছে তাদের সঙ্গে সরকারের । আর দেশের ভিতরের বন্ধুদের সাহায্য করতে তাই এগিয়ে এসেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাসনে থাকা চীনা বুদ্ধিজীবিরা । তাঁরা চালাচ্ছেন প্রচার । বলা হচ্ছে, সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাতে সাংহাই, বেইজিং, গুয়াংঝাউ সহ চীনের ১৩টি বড় শহরের প্রধান চত্বরে সকলে জড়ো হন রবিবার । ফলে বিপ্লবের ডাক ছড়িয়ে পড়েছে চীন জুড়ে ।
আজ সারাদিন তাই নজর রাখা দরকার এই বিপ্লব কোনদিকে যাচ্ছে । সরকার তাকে দমন করতে কোন পন্থা বেছে নিচ্ছে । শেষে মধ্যপ্রাচ্যের বিপ্লবের ডাক চীনের ওপরেও প্রভাব ফেলতে পারে কিনা, এই সবই । সুত্র: http://www.ukbdnews.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।