আগামী বছরের এপ্রিলে ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিমানের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক কেভিন স্টিল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “চীনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর গুয়ানজাও এবং কুনমিংয়ে আগামী বছরের এপ্রিল থেকে ফ্লাইট শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। দুটি গন্তব্যেই সপ্তাহে দুটি করে ফ্লাইট চালানো হবে। ”
পরিকল্পনা করলেও এখনো ফ্লাইট শুরু করার স্লট পাওয়া যায়নি বলে জানান কেভিন স্টিল।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিমান চলাচল বিষয়ক চুক্তি অনুসারে দুই দেশের বিমান সংস্থাগুলো উভয় দেশে সপ্তাহে ১৬টি ফ্লাইট চালাতে পারবে।
বাংলাদেশের কোন বিমান সংস্থা চীনে ফ্লাইট না চালালেও চীনের দুটি বিমান সংস্থা চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স এবং চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স ঢাকায় ফ্লাইট চালিয়ে আসছে। এর মধ্যে চায়না সাউদার্ন চলাচল করে গুয়ানজাও-ঢাকা রুটে এবং চায়না ইস্টার্ন চলাচল করে কুনমিং-ঢাকা রুটে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে বিমানের নতুন দুটি নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ বর্তমান বহরে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এ দুটি উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত হওয়ার পরে এপ্রিলেই নিউইয়র্কে ফ্লাইট শুরু এবং টরেন্টোতে প্রথমবারের মতো ফ্লাইট শুরু করার কথা রয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমানের।
অবশ্য নতুন দুটি রুট চালু করার সিদ্ধান্তটি বিমানের জন্য ‘বুমেরাং’ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য এবং এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহেদুল আলম।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিমান দিল্লি এবং ব্যাংককে রুট চালু করলেও এখনো সেখানে লাভের মুখ দেখতে পারেনি। এ মুহূর্তে আরো দুটি নতুন রুট বিমানকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন করতে পারে। ”
“ইতিমধ্যে চীনের দুটি বিমান সংস্থা এ দুটি রুটে ফ্লাইট চালিয়ে আসছে। তাদের সাখে প্রতিযোগিতায় টিকে খাকতে গেলে বিমানের যে মার্কিটিং স্ট্যাটেজি থাকা উচিত তা বিমানের নেই। আর সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট চালালে তা কোনোভাবেই অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে না।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।