মোম গলে লাভার স্রোতে ভেসে ঝড়া পাতার সূরের মুর্ছনায় দিগন্তের লালীমায় যদি রং-ধনু হতে পারতাম তাহলে বলতাম দেখো আমি আজ কবিতায় তোমায় আঁকতে পারি......
যখন তোর সাথে পথ চলা শুরু হয়েছিল
তখন অবিশ্রান্ত চলায় ছিল আনন্দ
কানের মাঝে ঝংকৃত হতো সুর
"আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ"। ।
শুনেছিলাম
ঝরণা কল্লোল
চোখে ছিল রঙিন চশমা
সেই চশমায় পিছন ফিরে দেখেছিলাম
সব ধূসর
তাই আর পিছনে তাকাইনি
হতে চেয়েছিলাম শুভ্র পরী। ।
পথ চলে যখন লোকালয় পেরিয়ে আসি
আসি এক উপত্যকায়
তখন দেখি,
তিনটা কাঠ বিড়ালী খেলা করছে
ওদের আমি চিনতাম
নাম ছিল,
ঘাস, অরণ্য আর আকাশ
সে ছিল এক মাধুকরীময় বিকেল
অজস্র বছরের খেয়ালী সুখ ছিল
ছিল প্রজাপতির মতো বর্ণালী উপমা।
।
সেই তো, সেই তুই
আমায় আঙুল ধরে শেখালি
কি করে ভালো লাগা খুঁজতে হয়
হয়ে রইলি,
মনের রঙিন আরশি।
জানিস আবার সেই উপত্যকায় গিয়েছিলাম
তখন তুই ছিলি না,
ফিরে আসবার সময়
এক শূন্যতা গ্রাস করেছিল
গাছ-লতা ধরে তাল সামলেছিলাম
সুর-তাল-লয়-ছন্দ সব ছিলো
শুধু তুই ছিলি না। ।
সেই পথ চলায় পেয়েছিলাম
নপুংসক এক সুবিধাভোগীর দেখা
ভিন্ন স্বাদের এক নরমানব।
।
একদিন অন্ধকারে
সুন্দর নরমানবের চোখ জ্বলছিল শেয়ালের লালসায়
দেখেছিলাম হায়েনার শ্বদন্ত
দিনের আলোয় ছিল কৃত্রিম আন্তরিকতা
পথচলায় ছিল স্বার্থের কাঁটাতারের চাদর। ।
চলে এসেছিলাম
পিছন ফিরে দেখেছিলাম
মানবরূপী হিংস্র পশুদের
যা শুধু আমাকে দূর থেকে দূরে যাবার তাগাদা দিয়েছিল। ।
সন্দিগ্ধ চোখে দেখেছিলাম
নীলাভ আলোয় আমার নখর
অসতর্কতায় উন্মুক্ত সদাবৃত অঙ্গ
উন্মত্ত্ব ঘৃনার উত্তাপে
চোখের লালাভ আভার প্রগাড়তা
বুক চেপে ধরে দেখেছিলাম
ক্ষত চিহ্ন, রক্ত গড়িয়ে নামছে,
আমি তখন শংকিত হয়েছিলাম
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে
অভাব অনুভব করেছিল স্বত্ত্বা
সে তোর অভাব
যা কখনোই হয়তো আর পূরন হবে না,
জানিস,
সেখানে আজো আছে নমনীয় আত্মা
ভালবাসায় গড়া অন্তর
যে অন্তর আজো ধরে রাখে
এই বাংলা মায়ের সব 'মা'। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।