আজ আমার মন ভাল নেই
বর্তমান পীর সাহের মোঃ মোহেববুল্লাহ'র দাদা মাওলানা নছার উদ্দীন শর্ষিনার প্রথম পীর। তার বাবা সদরুদ্দীন ছিলেন সামান্য গৃহস্হ। ৪৭-এ দেশ বিভাগের আগে মাওলানা নেছার উদ্দীন ভারতের ফুরফুরা পীরের অনুমতি নিয়ে মুরিদ করা শুরু করেন। নেছার উদ্দীনের তেমন ধন-সম্পদ ছিল না। ১৯৫২ সালে মৃত্যুর আগে তিনি ২ ছেলেকে ৫ হাজার টাকা এবং ১ টি করে নারিকেল গাছ দিয়ে যান।
মাওলানা নেছার উদ্দীনের মৃত্যুর পর পীর হন তার ছেলে শাহ আবু জাফর মোঃ সালেহ। তিনি ছিলেন ব্যক্তিত্ববান এবং উচ্চবিলাসী। তার সময়ে দিনে দিনে শর্ষিনা ভক্তের সংখা বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে সম্পদ। ভক্তদের দেয়া দান, সরকার থেকে অর্থ পাওয়া এবং হিন্দুদের কাছ থেকে দখল করা সম্পত্তি নিয়ে শর্ষিনা পীর সহসাই হয়ে উঠেন কোটিপতি। বর্তমান পীরের ভাগ্নে আবু আদম জানিয়েছেন, পীর মোহেবুল্লাহ মানুষকে আকর্ষণ করার জন্য যাদুর আশ্রয় নেন।
নিজের হাতে চামরা কেটে তাবিজ ভেরেছেন। এছারা আরো নানা রকম অর্থনৈতিক জাদুর আশ্রয় নেন যাতে মানুষ দলেদলে তার কাছে হাদিয়া নিয়া আসে।
দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শর্ষিনার পীরেরা তাদের নীতি বারবার পরিবর্তন করেছেন। প্রথমে মুসলিমলীগ দালালি, তারপর জেনারেল আইয়ুব এবং ইয়াহিয়া সহচর। এর মধ্যে শেরেবাংলা ক্ষমাতায় থাকাকালীন তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
৭৫- এ আওয়ামিলী লীগ বিদায়ের পর জেনালেন জিয়ার সঙ্গে দহরম -মহরাম। বস শেষে স্বৈরশাসক এরশাদের দলালিও করতে পিছপা হননি শর্ষিনার পীররা।
প্রিয়া ব্লগার ভাইরা। বাংলাদেশের পীর ব্যবসার সম্পর্কে এতটুকুই জানা ছিল যা আপনাদের মাঝে উপস্হাপন করলাম। আপনারা যদি আরো জানেন তাহলে বাংলার মানুষের কাছে তোলে দরুন।
আপনার লিখা পড়ে যদি একাটা মানুষ এই সব ভন্ড পীরের হাত থেকে রক্ষা পায় তাহলে আমার মনে হবে আপনি নিজে নিজে গর্ববোধ করবেন। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আামার লেখার মাঝে যদি কেহ কষ্ট পেয়ে থাকেন, আমি দুঃখিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।