গণভবনে শনিবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছ থেকে ফলাফল জেনে তিনি বলেন, “এই জন্য শিক্ষার্থী বা শিক্ষকরা দায়ী নয়। এই দায় বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের। দায়ী করতে হলে তাদেরকে দায়ী করতে হবে। আমি জানতে চাই, তারা এতে কী পেল?”
এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৭৪ দশমিক ০৩ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার কমেছে।
গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৬১ হাজার ১৬২, তা কমে এ বছর দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ১৯৭।
গত ১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর বিরোধী দলের হরতালের কারণে পরীক্ষাসূচিতে অনেকবার পরিবর্তন আনতে হয়, পেছাতে হয় ৪১টি বিষয়ের পরীক্ষা।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফল হস্তান্তরের সময় হরতালের এই বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীও তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “কেউ পরীক্ষার মূল্য না বুঝলে সেটা দুঃখজনক। এবার এইচএসসি পরীক্ষা বারবার পেছাতে হয়েছে।
”
“ইংরেজির মতো মূল বিষয়ের পরীক্ষা বারবার পিছিয়ে একেবারে শেষে নেয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। ”
বারবার পরীক্ষা পেছানোয় পরীক্ষার্থীরা চাপে পড়েছিল স্বীকার করে অকৃতকার্যদের প্রতি সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।
“যারা পাস করতে পারেনি, সেটা তাদের ব্যর্থতা না। পরীক্ষার সময়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা এসেছিল।
”
“বিএনপি আর জামাত-শিবিরকেই জাতির কাছে জবাব দিতে হবে। কেন তারা পরীক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট করল। ”
যারা ‘ঘটনাচক্রে’ এবার পাস করতে পারেনি, আগামীতে তারা ভালো করবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষার পরেও হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় উত্তরপত্র মূল্যায়নে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে।
পরীক্ষা শুরুর আগে শিক্ষামন্ত্রী হরতালের মতো কর্মসূচি না দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তবে তার সেই আহ্বানে সাড়া মেলেনি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে নুরুল ইসলাম নাহিদ বর্তমান সরকারের সময়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, “আগামীতে নতুন সরকারের দায়িত্ব নিয়ে শেখ হাসিনা শিক্ষার আরো উন্নয়ন করবেন। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।