ভ্যালেন্টাইন ডে আমাদের দেশে কোথাও কোথাও বিশেষভাবে পালন করতে দেখা যায়। মাতামাতি দেখা যায় কোথাও কোথাও। কেউ কেউ এতে অতি উৎসাহি থাকে। আনন্দ-স্ফূর্তিতে মেতে ওঠে। নিজেরা জড়িয়ে থাকে।
অন্যকেও জড়াতে চায়। প্ত্রপত্রিকা আর টিভি চ্যালেনগুলো বিশেষ আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই উপলক্ষে তারা নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দেয়। বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারের ঘোষণা দিয়ে বিশেষভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। প্রায় মিডিয়াই, তা ইলেকট্রনিক হোক আর প্রিন্ট মিডিয়াই হোক কমবেশি এই দিবসকে সামনে আনার চেষ্টা করে থাকে।
তবে মিডিয়ার প্রায় সবাই এই দিনটি জোরেশোরে পালনে ব্যস্ত হলেও গোটা দেশের গুটিকয়েক ব্যক্তি বিশেষ এই ভ্যালেন্টাইন ডেতে সক্রিয় থাকে। এরকমই অতীতে দেখা গেছে। অথচ সাধারণভাবে অনেকেই জানে না দিনটি কেন হলো, কিভাবে হলো।
তবে আমাদের দেশে বিগত শতাব্দীর নব্বই দশকে এর উদ্ভব হয়। শফিক রেহমান যায়যায়দিন পত্রিকার মাধ্যমে ভালোবাসা দিবস নামে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন।
ফলে সমাজে আস্তে আস্তে কিছু কিছু তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এটা ডুকে পড়ে। বিশেষ করে ইউনিভার্সিটিগুলোতে। কিন্তু দেশের ব্যাপক জনগণের এর সাথে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও মিডিয়াগুলো দিনটিকে নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ দেখাতে থাকে। এই মাধ্যমগুলো দেখলে মনে হয় দেশের সকল লোকই এর সাথে জড়িত। অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
বলা যায় মিডিয়াতেই ভ্যালেন্টাইন ডে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমগুলো একে নিজেদের স্বার্থে লুফে নেয়।
কিন্তু কি সেই উপলক্ষ। কেন এটা আমাদের সংস্কৃতিতে ডোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা কি আসলেই সুস্থ সংস্কৃতি না অপসংস্কৃতি? প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি হলো, পৌত্তলিকার উপর ভর করেই এসেছে ভ্যালেন্টাই ডে।
এর সাথে যুক্ত হয়েছে কুসংস্কার। যুবক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নাম অনুসারেই এই দিনটি। শোনা যায় তার ভালোবাসার কাহিনীটি জড়িয়ে আছে এই দিনে। দেবতাকে পুজা দেবার কথাও শোনা যায়। কুমারী যুবতীদের কুসংস্কারযুক্ত ও অশ্লীল কাহিনীও এর পিছনে শোনা যায়।
চতুর্থ শতাব্দীতেই এর প্রথম ভিত বিবেচনা করা হয়। পরে দীর্ঘ কয়েক শতাব্দী নীরবতার পর ১৭শ শতাব্দীতে এসে ইউরোপে একে পুনর্জীবিত করার চেষ্টা করার হয়। সে সময় সেখানে এর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিরোধীতা ও প্রতিবাদ ওঠে। বিংশ শতাব্দীতে এসে একে আবার নতুন করে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়।
এই প্রচেষ্টার পিছনে ছিল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য।
পুঁজিপতিরা তাদের বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিস্বার্থকে চরিতার্থ করার জন্য বর্তমানে এর পিছনে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। তাতে তাদের মুনাফাও উঠে আসছে ব্যাপকভাবে। আজকে দেশে দেশে ভ্যালেন্টাই ডে পালনের নামে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে দিবস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই দিনকে অনেক দেশে উদ্দেশ্যবাদীরা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গির বিজয় হয়েছে।
অথচ সাধারণের মধ্যে যারা এই দিবসটি পালনের জন্য উৎসাহি তারা শুধু আনন্দ ফূর্তির নামে নিজেদের অর্থকেই খরচ করছে। বিনিময়ে পাচ্ছে একটি অপসংস্কৃতির উপাদান। তা আবার সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে আমাদের সংস্কৃতিতে অপসংস্কৃতির উপাদানই যুক্ত হচ্ছে। সমাজ ক্রমেই জড়িয়ে পড়ছে অশ্লীলতায়।
সুস্থ পরিবেশ ক্রমেই ফিকে হয়ে পড়ছে।
যারা একে ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য এর মাধ্যমে শুধু বাণিজ্যিক লাভালাভ। অথচ এর ক্ষতিকর দিক বা সমাজে তা কিভাবে ক্ষতি করছে, নিজেদের কৃষ্টি কালচারে তা কিভাবে আঘাত হানছে বাণিজ্যিক চাহিদার কাছে তা বিবেচ্য নয়। এতে মৌলিক বা গুণগত কোনো লাভ তো হচ্ছেই না বরং সমাজের মৌলিক দিকগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দিবসটির কৃত্রিম উদযাপন সময় ফুরালেই ফুটো হওয়া বেলুনের ফুসের মতোই শেষ হয়ে যায়।
ভ্যালেন্টাইন ডে আমাদের দেশে কোথাও কোথাও বিশেষভাবে পালন করতে দেখা যায়। মাতামাতি দেখা যায় কোথাও কোথাও। কেউ কেউ এতে অতি উৎসাহি থাকে। আনন্দ-স্ফূর্তিতে মেতে ওঠে। নিজেরা জড়িয়ে থাকে।
অন্যকেও জড়াতে চায়। প্ত্রপত্রিকা আর টিভি চ্যালেনগুলো বিশেষ আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই উপলক্ষে তারা নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দেয়। বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারের ঘোষণা দিয়ে বিশেষভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। প্রায় মিডিয়াই, তা ইলেকট্রনিক হোক আর প্রিন্ট মিডিয়াই হোক কমবেশি এই দিবসকে সামনে আনার চেষ্টা করে থাকে।
তবে মিডিয়ার প্রায় সবাই এই দিনটি জোরেশোরে পালনে ব্যস্ত হলেও গোটা দেশের গুটিকয়েক ব্যক্তি বিশেষ এই ভ্যালেন্টাইন ডেতে সক্রিয় থাকে। এরকমই অতীতে দেখা গেছে। অথচ সাধারণভাবে অনেকেই জানে না দিনটি কেন হলো, কিভাবে হলো।
তবে আমাদের দেশে বিগত শতাব্দীর নব্বই দশকে এর উদ্ভব হয়। শফিক রেহমান যায়যায়দিন পত্রিকার মাধ্যমে ভালোবাসা দিবস নামে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন।
ফলে সমাজে আস্তে আস্তে কিছু কিছু তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এটা ডুকে পড়ে। বিশেষ করে ইউনিভার্সিটিগুলোতে। কিন্তু দেশের ব্যাপক জনগণের এর সাথে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও মিডিয়াগুলো দিনটিকে নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ দেখাতে থাকে। এই মাধ্যমগুলো দেখলে মনে হয় দেশের সকল লোকই এর সাথে জড়িত। অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
বলা যায় মিডিয়াতেই ভ্যালেন্টাইন ডে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমগুলো একে নিজেদের স্বার্থে লুফে নেয়।
কিন্তু কি সেই উপলক্ষ। কেন এটা আমাদের সংস্কৃতিতে ডোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা কি আসলেই সুস্থ সংস্কৃতি না অপসংস্কৃতি? প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি হলো, পৌত্তলিকার উপর ভর করেই এসেছে ভ্যালেন্টাই ডে।
এর সাথে যুক্ত হয়েছে কুসংস্কার। যুবক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নাম অনুসারেই এই দিনটি। শোনা যায় তার ভালোবাসার কাহিনীটি জড়িয়ে আছে এই দিনে। দেবতাকে পুজা দেবার কথাও শোনা যায়। কুমারী যুবতীদের কুসংস্কারযুক্ত ও অশ্লীল কাহিনীও এর পিছনে শোনা যায়।
চতুর্থ শতাব্দীতেই এর প্রথম ভিত বিবেচনা করা হয়। পরে দীর্ঘ কয়েক শতাব্দী নীরবতার পর ১৭শ শতাব্দীতে এসে ইউরোপে একে পুনর্জীবিত করার চেষ্টা করার হয়। সে সময় সেখানে এর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিরোধীতা ও প্রতিবাদ ওঠে। বিংশ শতাব্দীতে এসে একে আবার নতুন করে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়।
এই প্রচেষ্টার পিছনে ছিল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য।
পুঁজিপতিরা তাদের বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিস্বার্থকে চরিতার্থ করার জন্য বর্তমানে এর পিছনে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। তাতে তাদের মুনাফাও উঠে আসছে ব্যাপকভাবে। আজকে দেশে দেশে ভ্যালেন্টাই ডে পালনের নামে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে দিবস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই দিনকে অনেক দেশে উদ্দেশ্যবাদীরা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গির বিজয় হয়েছে।
অথচ সাধারণের মধ্যে যারা এই দিবসটি পালনের জন্য উৎসাহি তারা শুধু আনন্দ ফূর্তির নামে নিজেদের অর্থকেই খরচ করছে। বিনিময়ে পাচ্ছে একটি অপসংস্কৃতির উপাদান। তা আবার সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে আমাদের সংস্কৃতিতে অপসংস্কৃতির উপাদানই যুক্ত হচ্ছে। সমাজ ক্রমেই জড়িয়ে পড়ছে অশ্লীলতায়।
সুস্থ পরিবেশ ক্রমেই ফিকে হয়ে পড়ছে।
যারা একে ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য এর মাধ্যমে শুধু বাণিজ্যিক লাভালাভ। অথচ এর ক্ষতিকর দিক বা সমাজে তা কিভাবে ক্ষতি করছে, নিজেদের কৃষ্টি কালচারে তা কিভাবে আঘাত হানছে বাণিজ্যিক চাহিদার কাছে তা বিবেচ্য নয়। এতে মৌলিক বা গুণগত কোনো লাভ তো হচ্ছেই না বরং সমাজের মৌলিক দিকগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দিবসটির কৃত্রিম উদযাপন সময় ফুরালেই ফুটো হওয়া বেলুনের ফুসের মতোই শেষ হয়ে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।