আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফতোয়াবাজের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে দম্পতি-দোররায় নিহত হেনার পর আবারও অবৈধ ফতোয়া!!

মানুষ আসে মানুষ যায় কিন্তু সময় যায় চিরতরে

View this link হেনার পর এবার আরো একটি ফতোয়ার শিকার। সংবাদে প্রকাশঃ- সালিশের ফতোয়া মেনে হিল্লা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় চার মাস ধরে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে মৌলভীবাজারের এক কৃষক দম্পতিকে। ঘটনার শিকার কয়ছর মিয়া ও তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বুধবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে সাংবাদ সম্মেলন করে তাদের এই দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। কয়ছর মিয়া জানান, তাদের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার সদর থানার একাটুন ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামে। ফতোয়াবাজরা হুমকি দিয়েছে, হিল্লা বিয়ে না করলে রাবেয়ার চুল কেটে একশ দোররা মেরে গ্রামছাড়া করা হবে।

তাদের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হবে। এ কারণে গত চারমাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। মঙ্গলবার আশ্রয় নিয়েছেন ঢাকার একটি হোটেলে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, খাবার রান্না করা নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে কয়ছর তার স্ত্রী রাবেয়াকে তালাক দেওয়ার কথা বলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা সালিশ বসায়।

সালিশের রায়ে বলা হয়, মুখে 'তালাক' বলায় রাবেয়ার তালাক হয়ে গেছে। কাজেই এখন আবার একসঙ্গে থাকতে চাইলে রাবেয়া খাতুনকে আগে হিল্লা বিয়ে দিতে হবে। নয়তো তার চুল কেটে একশ দোররা মেরে গ্রামছাড়া করা হবে। কয়ছর ও রাবেয়া জানান, স্থানীয় বড়কাপন জামে মসজিদের সেক্রেটারি মৌলভী ফয়জুল এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি আজাদ মিয়া (৫৫), নানু মিয়া ও আছকর মিয়াকে নিয়ে সালিশ বসিয়ে এ রায় দেন। ১।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, "কয়ছর মিয়া তার স্ত্রীকে মুখে তালাক বলে আবার ঘরসংসার করছে- এমন অভিযোগে এলাকার প্রভাবশালীরা সালিশ বসিয়ে তাকে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলতে বলে। " ২। বাড়িতে সালিশ বসার বিষয়টি স্বীকার করে মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, "আজাদ মিয়া ও মৌলভী ফয়জুল সালিশে এ রায় দিয়েছেন। তারা বলেছেন, মুখে তালাক বললেই বিয়ে ভেঙে যায়। সালিশে আরো সিদ্ধান্ত হয়, যিনি রায় দিয়েছেন, তার সঙ্গেই বিয়ে হতে হবে।

" হিল্লা বিয়ের রায় না মানলে রারেয়া খাতুনের চুল কেটে একশ দোররা মারার সিদ্ধান্তও সালিশেই ঘোষণা করা হয় বলে নিশ্চিত করেন শাহাবুদ্দীন। ৩। সংবাদ সম্মেলনে কাঁদতে কাঁদতে রাবেয়া খাতুন বলেন, "হিল্লা বিয়ে না বসলে আজাদ ও মৌলভীরা আমাদের ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমার স্বামী কৃষক। ঢাকায় এক হোটেলে দুইদিন ধরে আছি।

আমাদের টাকা-পয়সাও শেষ। আমরা এখন কোথায় যাব?" ৪। এখানে হেনা নামের অসহায় মেয়েটি কিভাবে ফতোয়াবাজদের নির্মমতার শিকার তার কিছু চিত্র আছে। View this link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।