বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
দেশে ফেরার আগের দিন নিউ ইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনে রুমীর সঙ্গে দেখা। মাঙ্কি ক্যাপে মাথা ঢেকে তুষারে ঢাকা ফুটপাতের ওপর হন হন করে হাঁটছিল হ্যাংলা পাতলা ছেলেটি। মাসুদুলকে দেখে থমকে দাঁড়াল।
তারপর দু-চারটে কথা হল। মাসুদুল দেশে যাচ্ছে শুনে ঢাকায় ওর মায়ের কাছে একটা প্যাকেট পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করল রুমী।
ওকে। মাসুদুল হাসিমুখে কাঁধ ঝাঁকাল।
স্টেট ইউনিভারসিটি অভ নিউ ইয়র্কে পড়ছে রুমী।
সম্পর্ক তেমন ঘনিষ্ট না হলেও এ ধরনের অনুরোধ রাখতে হয়। নিউ ইয়র্কের বাঙালি কমিউনিটিতে সাজ্জাদ ভাই অত্যন্ত জনপ্রিয়। সাজ্জাদ ভাই কুইন্সে থাকেন। বছর খানেক আগে সাজ্জাদ ভাইয়ের বাড়িতে এক পার্টিতে রুমীর সঙ্গে একবার দেখা হয়েছিল।
মাসুদুল থাকে ব্রুকলিনের গ্রিন পয়েন্টে ।
রুমী নিউ জার্সি সিটি তে। মধ্যরাতে ফ্লাইট । হাডসন নদী পেরিয়ে ম্যানহাটন হয়ে প্যাকেটটা দুপুরের আগেই পৌঁছে দিল রুমী।
ঢাকায় রুমীদের বাড়ি উয়ারি। ঠিকানা লিখে দিয়েছে: ২২/এ।
উয়ারি জায়গাটা মোটামুটি চেনে মাসুদুল। যদিও ওর জন্ম এবং বড় হয়ে ওঠা সবই মোহম্মদপুরে। কলেজ জীবনে এক বন্ধু থাকত উয়ারির র্যাঙ্কিন স্ট্রিটে। সে সময় অনেকবারই আসতে হয়েছিল উয়ারি। সেই তৌহিদ এখন জার্মানিতে।
বিয়ারের কারখানায় মুটেগিরি করে। ফেসবুকে অবশ্য যোগাযোগ আছে। তবে সে যোগাযোগও ক্ষীণ হয়ে আসছে ... সকালবেলার ঝলমলে রোদের মধ্যে হাঁটছে মাসুদুল। দু-বছর পর দেশে ফিরল। পুরনো শহরে ফিরে প্রতিটি মুহূর্তেই গভীর সুখ বোধ করে সে।
তবে প্রিয় শহরটা হুহু করে বদলে যাচ্ছে-তার ওপর ট্রাফিক জ্যামের অত্যাচার। তবে আশার কথা -ঢাকায় নাকি ফ্লাই ওভার আর এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে তৈরি হবে ...ঘড়ি দেখল মাসুদুল। এগারোটার মতো বাজে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। রোদের সঙ্গে কনকনে বাতাস মিশে আছে।
তবে এ শীত হাঁড়ে কাঁপন ধরায় না। শীত কাকে বলে-সেটা আমেরিকায় টের পেয়েছে মাসুদুল। ওর ইস্ট রিভার ঘেঁষা গ্রিন পয়েন্টের আকাশচুম্বী অ্যাপার্টম্যান্ট থেকে শীতের সময়ে জমে যাওয়া ইস্ট রিভার দেখা যায়। দূরে ধবল তুষারে মোড়ানো ম্যানহাটন ...আর প্রকান্ড নির্জনতা ...একটি পরিযায়ী পাখি হয়ে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কাতরতা ...
কালো রঙের পুরনো একটি লোহার গেটের ওপর ২২/এ লেখা। দারোয়ান চোখে পড়ল না।
গেটটা ঠেলে ভিতরে ঢুকে পড়ল মাসুদুল। বাহ্ । পরিস্কার সিমেন্ট বাঁধানো পথ। দু’পাশে ঘন বাগান। রংবেরঙের ফুল ফুটে রয়েছে।
হলুদ সূর্যমূখীর ঝাড়ও রয়েছে । মাসুদুল হাঁটতে থাকে। হাঁটতে হাঁটতে ওর কেমন ঘোর লাগে। যেন এক স্বপ্নের মায়াময় জগতে ঢুকে যাচ্ছে ও। লোপ পাচ্ছে সময়ের বোধ।
ইউক্যালিপটাস পাতার লেবুগন্ধ পায়। বাগানে এক ফালি ঘাসের ওপর কাকেদের সভা বসেছে। এক দঙ্গল কাকের চিৎকার ...
সিমেন্ট বাঁধানো পথের শেষে পুরনো দিনের একটা হলুদ দালান। একতলা। মাসুদুল অবাক হল।
শহর ভর্তি মালটি-স্টোরিড বিল্ডিংয়ের ভিড়ে এ ধরনের পুরনো ধাঁচের বাড়ি তাহলে আজও টিকে আছে? তিন ধাপ সিঁড়ির পর লাল রঙের বারান্দা। বেশ চওড়া বারান্দা। কয়েকটি বেতের সোফা । তারই একটিতে একজন বৃদ্ধা বসে আছে। বৃদ্ধা ঝুঁকে খবরের কাগজ পড়ছেন।
ধবধবে ফরসা। কালো ফ্রেমের চশমা। মাথার চুলে মেহেদির চোপ। কে ইনি? রুমীর মা?
পায়ের শব্দে বৃদ্ধা মুখ তুলে তাকালেন। বৃদ্ধার চোখে প্রশ্ন।
কপালে ভাঁজ পড়ল।
সালাম। আমি ... আমার নাম মাসুদুল। আমি নিউ ইর্য়কে থাকি। রুমীর বন্ধু ...
মুহূর্তেই বৃদ্ধার মুখে স্নিগ্ধ হাসি ছড়ালো।
ওহ, হ্যাঁ। এসো, বাবা, এসো। রুমী কালই ফোন করে তোমার কথা বলেছিল। বস, বাবা, বস। বৃদ্ধা পেপার ভাঁজ করতে করতে বললেন।
মাসুদুল বসল।
পাশে একটি বেতের টেবিল। ভাঁজ করা পত্রিকাটি সেই টেবিলের ওপর রাখলেন বৃদ্ধা । তারপর বললেন, আমি রুমীর মা। রুমী আমার ছোট ছেলে।
ও, আচ্ছা।
আমার দুই ছেলে তিন মেয়ে। সবাই বিদেশে। কেবল মেজ ছেলেই দেশে থাকে।
ও।
এটা রুমী পাঠিয়েছে। বলে মাসুদুল প্যাকেটটা বাড়িয়ে দিল।
প্যাকেটা নিতে নিতে রুমীর মা বললেন, রুমীকে মালটি ভিটামিন পাঠাতে বলেছিলাম। এখানে যা দাম। তা তোমরা কোথায় থাক বাবা?
মোহম্মদপুর।
কয় ভাইবোন তোমরা?
আমরা দুবোন, এক ভাই।
বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে?
বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট বোন মেডিকেলে পড়ছে।
তোমার আব্বা কি করেন?
আব্বা কৃষি ব্যাঙ্কে ছিলেন। এখন রিটায়ার করেছেন।
রুমীর মা বিষন্ন কন্ঠে বললেন, রুমীর বাবা দু-বছর আগে হঠাৎ স্ট্রোক করে মারা গেলেন। বলে বিষন্ন দৃষ্টিতে বাগানের দিকে তাকালেন । রোদ ঝলমলে বাগানে কাকেদের কা-কা চিৎকার। গলিতে রিকশার টুংটং ভেসে আসে। বাগান থেকে চোখ ফিরিয়ে রুমীর মা জিজ্ঞেস করলেন, তা তোমার মা হাউজ ওয়াইফ? না সার্ভিস করেন?
না।
আম্মা, হাউস ওয়াইফ।
ওনার শরীর কেমন?
ভালো । তবে আম্মার ডায়াবেটিস আছে।
আমার অবশ্য ডায়াবেটিস নাই। তবে প্রেশারের সমস্যা আছে।
বলে রুমীর মা উঠে দাঁড়ালেন। বললেন, তুমি একটু বস বাবা। আমি এখনি আসছি।
বলে রুমীর মা ভিতরে চলে গেলেন।
বেতের টেবিলে খালি চায়ের কাপ।
হঠাৎই একটা সিগারেট খেতে ইচ্ছে করছে। পকেটে মারবোরোর প্যাকেট আছে। নাহ্, এখানে সিগারেট খাওয়া ঠিক হবে না। এখানে বেশিক্ষণ থাকতে হবে না। কাজ তো শেষ।
খালাম্মা ফিরে এলে বিদায় নেবে। বাইরে বেরিয়ে সিগারেট ধরাবে। ঘড়ি দেখল মাসুদুল। প্রায় সাড়ে এগারোটা। এখান থেকে সেগুনবাগিচা যেতে হবে ।
সেগুনবাগিটায় বড় বোনের শ্বশুরবাড়ি। ওখানেই আজ দুপুরে দাওয়াত। দেশে আসার পর থেকেই এর-ওর বাড়ি লাগাতার দাওয়াত আর দাওয়াত। মাঝে-মাঝে ক্লান্ত লাগে। আবার ভালোও লাগে।
সবাই এত আন্তরিক ...
শীত মাখা বাতাসে সূর্যমূখীর গন্ধ পায় মাসুদুল । এসব কাল্পনিক গন্ধ ওর ভালো লাগে । এক সময় কবিতা লিখত ও। ‘কামরাঙা’ নামে সাহিত্য পত্রিকায় কবিতা ছাপাত। মাথায় এখনও ভাব এলেও কাজের চাপে সে ভাবকে শব্দ-রূপ দেওয়া ঠিক হয়ে ওঠে না।
যদিও এর জন্য খেদ হয় ঠিকই । তবে আক্ষেপ করে কী লাভ। অন্য অনেকের মতো সেও উর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে।
...বারান্দায় একটা সাদায় কালোয় মেশানো বেড়াল। মুখ তুলে ওকে দেখছে।
ভীষন সুন্দর দেখতে বেড়ালটা। লাল রঙের মেঝেতে রোদ পড়ে আছে। একটা কাক। এ পা এগোচ্ছে তো দু-পা পিছিয়ে যাচ্ছে।
হঠাৎই দরজার কাছে চোখ চলে যায় ।
ওখানে একটা ছোট্ট মেয়ে দাঁড়ি। কে? ভারি মিষ্টি চেহারা। বয়েস বছর পাঁচেক এর বেশি হবে না। সাদা রঙের ফ্রক পরা। ফরসা।
লালচে চুল। কোলে একটা পুতুল। পুতুলটাও কিউট দেখতে।
এসো। হাত তুলে মাসুদুল বলল।
মেয়েটি সামান্য লাফিয়ে এল। হাসল। ফোকলা দাঁত। কাছে আসতেই সূর্যমূখী বীজের কাঁচা গন্ধ পেল। বেড়ালটাও কাছে চলে আসে।
একেবারে ঠিক মাসুদুলের পায়ের কাছে। শিরশিরানি টের পেল ও। জিজ্ঞেস করল, কি নাম তোমার?
আমার নাম তো অহনা।
বাহ্ । ভারী সুন্দর নাম তো।
এটা কি তোমার পুতুল?
হ্যাঁ।
কি নাম ওর?
ডলি।
বাহ্ । ভারী সুন্দর নাম তো।
পুষিটা তোমার?
হ্যাঁ, আঙ্কেল।
কি নাম ওর?
বিল্লি।
বিল্লি? বেশ মজার নাম তো।
অহনা মাথা নাড়ল।
মাসুদুল জিজ্ঞেস করে-তুমি স্কুলে পড়?
না তো।
তাহলে?
আমি তো স্কুলেই যাইই না।
স্কুলে যাও না? কেন?
আমার যে অসুখ করেছে।
অসুখ? কি অসুখ? মাসুদুলের বুক কেঁপে ওঠে।
আমি তো ঠিক জানি না। অবশ্য আমার আম্মু জানে। দিদাও জানে।
আর আব্বু জানে।
ওহ্ । অহনা কি রুমীর ভাইয়ের মেয়ে? তখন রুমীর মা বললেন ... মেজ ছেলে দেশে থাকে।
অহনা বলল, আঙ্কেল। তুমি একটু দাঁড়াও।
আমি এখুনি আসছি। ডলি তো এখন দুধ খাবে-ওর ফিডার নিয়ে আসি।
আচ্ছা যাও। তবে তাড়াতাড়ি এসো, দেরি করো না কিন্তু। মাসুদুল মাথা নেড়ে বলল।
অহনা মাথা নেড়ে ভিতরে চলে যায়।
বেড়ালটা ওকে অনুসরন করে।
ঠিক তখনই রুমীর মা এলেন। পাশে একজন মেয়ে। শ্যামলা মতন দেখতে ক্লান্ত চেহারার সবুজ রঙের সালোয়ার-কামিজ পরা মেয়েটি বয়স পঁচিশ-ছাব্বিশের কাছাকাছি মনে হল ।
ফ্যাকাশে মুখে কী রকম বিষন্নতার ছাপ। অসুস্থ মনে হল। হাতে ট্রে। ট্রে তে একটা গ্লাস। গ্লাসে ট্যাং মনে হল ।
মেয়েটি ট্রেটা টেবিলের ওপর নামিয়ে রাখল। আর যাই হোক-জিনিসটা খাওয়া যাবে না। আমেরিকা থেকে থেকে খাওয়াদাওয়ার অভ্যেস পুরোপুরি বদলে গেছে।
রুমীর মা বললেন, মাসুদ। এ হল আরিফা।
রুমীর মেজ ভাবী। আমার মেজ ছেলে ব্যাঙ্কার- মুর্শেদের পোস্টিং সিলেটে। মাসে দু-তিন বার ঢাকা আসে মুর্শেদ । আরিফা আমার সঙ্গেই থাকে। মাঝে-মাঝে সিলেটেও যায়।
আরিফা তা হলে অহনার মা? কিন্তু, অহনা এখনও আসছে না কেন? অহনার মিষ্টি মুখটা দেখার জন্য অস্থির বোধ করে মাসুদুল।
আরিফা বলল, ভাই, আপনি কিন্তু আজ দুপুরে আমাদের এখানে খেয়ে যাবেন। কন্ঠস্বরটা কেমন ক্লান্ত শোনাল।
মাসুদুল বলল, আজ না ভাবী । অন্যদিন।
আজ দুপুরে বড় বোনের শ্বশুড় বাড়ি দাওয়াত।
ঠিক আছে। আপনার যখন সময় হয় তখন আসবেন।
তা তুমি আমেরিকা ফিরবে কবে? রুমীর মা জিগ্যেস করলেন।
২৬ তারিখ খালাম্মা।
তার আগে একদিন এসো। একবেলা খাবে। আর রুমীর জন্য আচার বানাবো। তুমি নিয়ে যাবে। ফোন করেই না -হয় এসো।
বলে আরিফার দিকে তাকিয়ে রুমীর মা বললেন, বউমা মাসুদকে আমাদের টিএনটি নাম্বারটা বল তো।
মাসুদুল পকেট থেকে মোবাইল বের করে । আরিফা টিএনটি নাম্বারটা বলল। ফোনবুকে নাম্বারটা সেভ করে নেয় মাসুদুল। তারপর বলে, আমি এখন তাহলে আসি।
এসো বাবা। যেদিন আসবে তোমার মা-বাবাকেও নিয়ে এসো।
আনব।
আরিফা বলল, শুনলাম আপনার ছোট বোন আছে?
মাসুদুল মাথা ঝাঁকালো।
আপনার বোনকেও নিয়ে আসবেন।
আচ্ছা, আনব। মাসুদুল বলে। ইতস্তত করে। দরজার দিকে তাকায়। যাওয়ার আগে কি অহনার সঙ্গে দেখা হবে না? কি সুইট মেয়েটি।
বলল, ভাবী, অহনা কোথায় গেল? ওকে একবার ডাকুন না।
অহনা মানে? যেন এই মুহূর্তে বারান্দায় প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাত হল। মুহূর্তেই আরিফার শ্যামলা মুখের ওপর কে যেন কালো কালি লেপে দিল। মাসুদুল অবাক হয়ে যায়। মৃদুকন্ঠে জিজ্ঞেস করে, অহনার কি শরীর খারাপ লাগছে? তখন অসুস্থ বলল ...
আপনি ...আপনি অহনাকে কোথায় দেখলেন? আরিফা জিজ্ঞেস করে।
কন্ঠস্বরটা ভীষণ তীক্ষ্ম।
এখানে।
এখানে কখন?
একটু আগে ... মানে ... আপনারা আসার আগে ... অহনা এসেছিল ...কোলে পুতুল ছিল। একটা বিড়ালও ছিল।
ও মা! কি বলছেন ইনি! আরিফা চিৎকার করে ওঠে শ্বাশুড়িকে জড়িয়ে ধরে।
যেন ধরে না-রাখলে জ্ঞান হারাবে।
মাসুদুল কি করবে ভেবে পেল না। ভীষণ অসহায় লাগছে ওর।
রুমীর মা বললেন, তুমি কী যা তা বলছ -অহনা তো মারা গেছে ... বৃদ্ধার কন্ঠস্বর কী রকম কর্কস ঠেকল।
মারা গেছে মানে! মাসুদুল চমকে ওঠে।
হ্যাঁ, অহনা মারা গেছে ... দু বছর হল ... ওর ব্লাড ক্যান্সার হয়েছিল ...
মাসুদুলের মাথা টলছে। অহনা দু বছর আগে মারা গেছে মানে ... কী বলছে এরা! তা হলে আমি কাকে দেখলাম ... অহনার কন্ঠস্বর এখনও কানে বেজে চলেছে ... আঙ্কেল। তুমি একটু দাঁড়াও। আমি এখুনি আসছি। ডলি তো এখন দুধ খাবে-ওর ফিডার নিয়ে আসি।
আরিফা খসখসে স্বরে বলল, আপনি যে বেড়ালের কথা বললেন-
হ্যাঁ।
বেড়ালটা অহনার খুব প্রিয় ছিল। অহনা মারা যাওয়ার পর বেড়ালটা এ বাড়ি ছেড়ে কোথায় যেন চলে যায়, আর ফিরে আসেনি।
ওহ্ ।
চোখে ঝাপসা দেখে মাসুদুল, টের পায় হৃৎপিন্ডের গতি বেড়ে গেছে...এই ভূতগ্রস্থ বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার প্রবল তাড়না বোধ করে।
ভারি দুটি পা টেনে টেনে বারান্দায় নেমে আসে। কখন যে রোদ মুছে চারপাশে গভীর ছায়া ঘনিয়ে উঠেছে। বাগান জুড়ে কেবল কাকেদের চিৎকার ... অন্ধকার হয়ে ওঠা শীতার্ত দিনের ভিতর দ্রুত এলোমেলো পায়ে হাঁটতে থাকে সে ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।