আজ আমার মন ভাল নেই
পীর পেশা হিসেবে বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। কোটি কোটি টাকা আয় হয় বিনা শ্রমে, বিনা বিনিয়োগে। আয়করও দিতে হয় না। পিরোজপুরের শর্ষিনা পীরের ব্যবসা বেশ জমজমাট। শুধু তাই নয়, তিনি নামে-বেনামে হিন্দু জমি দকল করেছিলেন, পৈত্রিক, সম্টত্তি থেকে মা-বোনদের বন্চিত করেছেন জাল দলিল তৈরি করে।
তার বোন পীরের বিরুদ্বে মামলা করেন। রিপোর্ট প্রকাশের পর পীরের মা ও তার পীর ছেলের বিরুদ্বে মামলা করেন জালিয়াতি এবং প্রতারণা অভিযোগ এনে....
....................................................................................................
শর্সিনার পীর শাহ মোঃ মোহেববুল্লাহ ১৯৭৪সালে শর্ষিনা (ছারছিনা) মাদ্রাসা থেকে কামিল পাস করেছেন। শুধু পাস নয়, মাদ্রাসা বোর্ডে মেধা তালিকার প্রথম দিকেই তার নাম ছিল। অবশ্য পীর সাহেবকে কষ্ট করে পরীক্ষার খাতায় লিখতে হয়নি। তার পরীক্ষাগুলো দিয়েছিলেন শর্ষিনা মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল মুফতি আমজাদ হোসেন (প্রভাষক)।
কেবল কামিল নয়-দাখিল, আলিম এবং ফাজিল কোনো পরীক্ষাই পীর সাহেব নিজে দননি একথা শর্ষিনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার মুখে মুখে। পীরের ভগ্নিপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের শিক্ষক ডঃ আ.র,ম আলী হায়দারও বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন।
১৯৯০ সালের ১ মার্চ শর্সিনার তৎকালীন পীর মাওলানা আবু জাফর মোঃ সালেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তার পর পীর হন প্রয়াত পীরের ছোট ছেলে মোঃ মোহেবুল্লাহ। পীর শাহ মোঃ মোহেবুল্লাহর বিরুদ্বে দুর্নিতী, জালিয়াতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে' ৭১-এ হিন্দুদের ঘরবাড়ি দোকানপাট লুট, অগ্নি সংযোগ এবং ভাগ্নেরা তাদের বাস্তভিটা থেকে উৎখাতের অভিযোগে পীরের বিরুদ্বে দেওয়ানি মামলা ঠুকে দিয়েছে।
পীরের মেজ বোন আতিকা বগম সাপ্তাহিক ২০০০কে বলেছিলেন, আমার বাব মারা যাওয়ার আগে কাউকে তার স্হলাভিষিক্ত করে যাননি। এখানে পীর হওয়ার কথা ছিল আমার বড় ভাই মাসুম বিল্লাহ অথবা অন্য কোনো যোগ্য ব্যক্তির। কিন্তু মোহেবুল্লাহ দাদা (ভাই) ষড়যন্ত্র করে তার শ্বশুর ফুরফুরার পীর আব্দুল কাহার সিদ্দিকী এবং মামা দাউদ চৌধুরীর সহায়তায় নিজেকে পীর হিসেবে ঘোষনা করেন।
পীরের বোন আতিকা বেগম আরো জানান, তিনি নিজেকে পীর ঘোষণা করে বাবার রেখে যাওয়া শতাধিক কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির সবই হস্তগত করেন, অদ্যাবধি ওয়ারিশদের পাওনা বুঝিয়ে দেননি। বরং আমার বাবার স্বাক্ষর নকল করে জাল কাগজপত্র তৈরি করে আমাদের বন্চিত করার আয়োজন চালিয়েছেন।
..........................। চলবে......................!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।