আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৫ মিনিটস অফ ফেসবুক,হ্যারাস্মেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ

তোমারও কি এমন হয়,মনে!

অ্যাকাডেমিক রিসার্চের টাইটেল ঠিক কর্ছি,- ‘নিউ ডাইমেনশন অফ হ্যারাস্মেন্ট থ্রু সোশাল নেটোয়ার্কিং ওয়েবসাইটস’। সুপারভাইজার স্যার আমার দিকে অপলক তাকাইয়া থাকনের গিনেস রেকর্ড ভাইঙ্গা ফেলনের উপক্রম কর্তেছিলেন প্রায়(আচ্ছা, রেকর্ডটা যেন কত মিনিটের?:p)। তারে বুঝানো দর্কার ছিল যে,কেন কাজটা জরুরি আর এইটা নিয়ে কাজ কর্তে আমি কতখানি সক্ষম! তখন আমি তারে যেই ছোট্ট বক্তৃতাটা দিলাম তাহা নিম্নরূপ- এইসব সাইট দিয়া কি হয়? সামাজিক যোগাযোগ। বহুত লোকের বহুত রকম মতামত মিল্যামিশ্যা একাকার হইয়া যাইতাসে এইসব সাইটে। যত মানুষ তার থেইকাও বেশী ধরনের মানুষ আছে এইখানে।

একজাম্পল হিসাবে আম্রা ফেসবুকের কথাই না হয় ধর্লাম,কারণ এইডাই সবথেইকা জনপ্রিও। এইডার বাংলাদেশী ব্যাবহারকারিগো মইধ্যে সবথেইকা বড় মিল হইল অইডার political view তে। % করন ঠিক হইব কিনা বুঝতাছিনা,তয় ৮০% এর উপরে মানুষের ইনফো’র political view তে লেখা, I hate this, don’t know, not interested, nil, what’s this,পছন্দ করিনা বা এই ধরনের আরো কিছু। ভাষায় ডিফারেন্স থাকলে কি হইব,কথাডা কিন্তুক একই। তো এই বিপুল সংখ্যক অগ্রসর শ্রেণীর মানুষ(আমাগো মত টেকনলজি তে পিছাইয়া থাকা একটা দেশে যাগো ফেস আর বুক দেখানোর যায়গা আছে তারা ত অগ্রসরই,নাকি?)যে দেশি রাজনীতিবিমুখ এইডা লইয়া ভাল একখান গবেষনা হইতে পারে;মনে করি,হওয়া উচিত।

রাজনীতি নাকি আমাগো পরধান বিনোদন,অনেকবার শুনছি এই কথা;তাইলে,ফেসবুকে অইডার অন্তত জানানডা দিতে এত আপত্তি কেন?২য় বৃহত্তর % হইব বিপ্লবীগো। facebook ভরা বিপ্লবী। কেউ একজন একবার status message পোস্ট করছিল যে,‘একসময় আমাগো বিপ্লবীগো অভয়ারণ্য ছিল সুন্দরবন,এখন যায়গা পরিবর্তন হয়া হইছে ফেসবুক’। খুব অল্প কিছু লোক আছে বি.এন.পি,আওয়ামীলিগ আর অন্যান্য রাজনৈ্তিক দলগুলার। এর বাইরে বাংগালিজম,থিওরিটিকাল মার্ক্সিজম,মানবতাবাদি(political view হিসাবে!)জাতীয় কীছু ঘিলুতে ভুমিকম্প উদ্রেক্কারী কথাবার্তাও আছে কারো কারো political view হিসাবে! (আমি যে এইসব সাইট সম্পর্কে কতটা জানি, সেইটা বুঝানোর লাইগা বলছি এই অংশটুকু :p) সর্কারের ডিজিটালাইজেশন এইম’র সাথে দোস্তি পাতাইয়া চুনোপুটি অপোরাধিরা রাঘোব্বোয়াল, আর বিগিনাররা চুনোপুটি হওনের দৌড়ে শামিল হৈতেছে।

ইভ টিজিং হৈয়া গেছে সেক্সুয়াল হ্যারাস্মেন্ট আর ইয়ার্কি মাইরা ছবি আপ্লোডানো হৈয়া গেছে ডিজিটাল হ্যারাস্মেন্ট, দুইডার প্রাদুর্ভাবই নতুন ডাইমেনশন পাইছে এইসব নেটোয়ার্কিং সাইটে। (আর, এইটা করা জরুরি কেন, তার জন্য এইটুকু :p) (সর্বশেষ খবর হৈলো-টপিক্ অ্যাপ্রুভড )।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।