আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুন্সীগঞ্জের মানুষ না চাইলে আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর হবে না- মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেখ হাসিনা

সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
আজকের মন্ত্রী সভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের মানুষ না চাইলে আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর হবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মন্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা হোক, এমন কোনো কাজ বর্তমান সরকার করবে না। কারণ আওয়ামী লীগ হচ্ছে জনগণের দল। জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের জবাবদিহিতা রয়েছে। এজন্য জনগণ না চাইলে প্রয়োজনে প্রস্তাবিত নতুন বিমানবন্দর আড়িয়ল বিলের পরিবর্তে অন্যত্র হবে।

" "তবে অদূরদর্শী লোকরাই আড়িয়ল বিলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপনের বিরোধিতা করছেন বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন", বলে জানিয়েছেন ওই মন্ত্রী। সামুর বন্ধুরা কে এই নতুন বিমান বন্দরের পক্ষে আর বিপক্ষে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যুক্তি তর্ক করা যেতে পারে। অশালীন ভাষা পরিহার করে পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি প্রদানে আহ্বান করছি। আমি পক্ষে বলছি।

আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার ঘোষণায় ইতিমধ্যে এ এলাকার জমির দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে যে সকল রিয়েল এস্টেট কোম্পানী এখানে জমি কিনতে পারে নাই তারা নানা ভাবে এখানে বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করছে। আড়িয়াল বিলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ বন্ধে চিহ্নিত মহলের অপপ্রচার সরকার দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও ঢাকার ওপর থেকে জনসংখ্যার চাপ কমানোর জন্য মুন্সিগঞ্জের আড়িয়াল বিলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ ও একটি স্যাটেলাইট টাউন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে পদ্মার কোল ঘেঁষে নতুন একটি আধুনিক শহর যেমন গড়ে উঠবে তেমনি হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে। আড়িয়াল বিলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর,দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১০ হাজার একর জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এই জমির সিংহভাগই অধিগ্রহণ করা হবে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আড়িয়াল বিল থেকে। আড়িয়াল বিল এলাকায় বিভিন্ন খতিয়ানে প্রায় ১১ হাজার জমি রয়েছে। আড়িয়াল এলাকায় বিমানবন্দর নির্মাণ হলে জনবসতির তেমন ক্ষতি হবেনা আর কাউকে বসতবাড়ি থেকে উচেছদ করা হবে না। প্রকল্পের জন্য সরকারী খাস খতিয়ানভূক্ত জমিই বেশী অধিগ্রহণ করা হবে। ব্যাক্তিখাতে যতটুকু জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে তার জন্য মোটা অংকের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে জানাগেছে।

তাছাড়া এখানে বিমানবন্দর ও স্যাটেলাইট শহর গড়ে উঠলে সাধারণ মানুষের জমির দামও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। গড়ে উঠবে পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান, হোটেলসত নানা শিল্প কল কারখানা। পদ্মানদীকে ঘিরে তখন প্রতিষ্ঠা হবে নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র। এতে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ঢাকা থেকে আড়িয়াল বিলের দুরত্ব মাত্র ৪৫ কিলোমিটার।

এক ঘন্টারও কম সময়ে ঢাকা থেকে এ স্থানে যাওয়া সম্ভব হবে। ঢাকা জেলার ডিসি মহিবুল হক এর বরাতে জানাগেছে, দোহার ও নাবাবগঞ্জে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের ব্যাপারে খুব বেশি বিরোধীতা নাই; যতটা রয়েছে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে। এখানে বিরোধী শক্তি বলতে যারা খাস জমি ভোগদখলে রেখেছে তারাই। বেশির ভাগ মানুষই বিমানবন্দরের পক্ষে রয়েছে। ” মুন্সিগঞ্জের ডিসি আজিজুল আলম বলেন, ”প্রস্তাবিত বিমানবন্দর এলাকায় একটি বসতবাড়িও যাতে অধিগ্রহণ আওতায় না আসে সে ব্যাপারে চুলচেরা বিশ্লেষণের পর বিমানবন্দরের যায়গা অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে।

বিমানবন্দরের জন্য আড়িয়াল বিলের ফসলি জমিও বিনষ্ট করা হবে না। ” আড়িয়াল বিলে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নিয়ে ব্যাপক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। একটি চিহ্নিত মহল সাধারণ মানুষের মধ্যে নানাভাবে মিথ্যা তথ্যদিয়ে মুন্সিগঞ্জ ও দোহার উপজেলাবাসীর মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার ঘোষণায় ইতিমধ্যে এ এলাকার জমির দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে যে সকল রিয়েল এস্টেট কোম্পানী এখানে জমি কিনতে পারে নাই তারা নানা ভাবে এখানে বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করছে।

চিহ্নিত বেশ কয়েকজন রিয়েল এস্টেট ব্যাবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা পরোক্ষভাবে এই বিভ্রান্তি ছড়ানোর পক্ষে মদদ দিচেছন। এলাকায় উচ্ছৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে যোগান দিচ্ছেন বিপুল অংকের টাকা। বিমানবন্দর নির্মানকে কেন্দ্র করে গত সোমবার শ্রীনগর রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। সংঘর্ষে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও এলাকাবাসীর মুখোমুখি লড়াইয়ে ম্যাজিস্ট্রেট, সাংবাদিক,পুলিশ ও গ্রামবাসীসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।

বিগত নির্বাচনে পরাজিত চিহ্নিত সেই রাজনৈতিক নেতারা এই বিশৃঙ্খলাকে পুঁজি করে আবার নিজেদের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মহাজোট সরকার আমলে মুন্সিগঞ্জ ও দোহার-নবাজগঞ্জে কোন উন্নয়ন কার করতে না দেয়া। তারা পদ্মাসেতু নির্মাণেও বাধার সৃষ্টি করবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.