জন্ম
মেহেরজান ছবি নিয়ে ব্লগ আর আর গণমাধ্যমে নানান বির্তক উঠেছে। সেই বির্তকে সামিল হওয়া জরুরি মনে করে কিছু কথা ব্লগার সমাজে শেয়ার করতে চাই ।
এপর্যন্ত যত তর্ক আমার চোখে পড়েছে সেখানে মোটা দাগে দুটি জিনিস বলা হচ্ছে ---
১.
এই ছবিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করে মুক্তিযুদ্ধর চেতনাকে ধ্বংস করার মতলবে নানান বির্তকিত বিষয় হাজির করেছে।
আর অন্য পক্ষ বলছে---
২.
এটা মুক্তিযুদ্ধের গ্রান্ডন্যারেটিভের বাইরে ভিন্ন একটি বয়ান তৈয়ারির চেষ্টা। যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী নয়।
শিল্পগুণে সফল হয়নি এব্যাপারে সবাই মোটামোটি কাছাকাছি মতামত দিয়েছেন।
আধুনিক সমাজে নানান শ্রেণী-পেশার মানুষের বসবাস। তাদের চেতনা-রাজনীতি-শ্রেণীস্বার্থ-চিন্তায় ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সর্তক নাগরিকের লড়াই এগুলোকে চিন্হীত করে সমাজের জন্য প্রগতিশীল বা ইনসাফী বয়ান তৈয়ারির শর্ত হাজির রাখা। মানুষের সুন্দর কল্পনার জন্য প্রতিবন্ধক যেকোন সেকুলার বা ধর্মতাত্ত্বিক বয়ানকে অতিক্রম করে যাওয়ার নিরন্তর লড়াই প্রগতি বা ইনসাফ।
পাঠক ধৈর্য হারা হলে কষ্ট পাব। আমি ধান ভানতে শিবের গীত গাচ্ছিনা। উপরের কথাগুলো বলে রাখলাম যে পরের কথা সহজে কমিনিকেট করতে পারি।
আমার মতামত
মেহেরজান ছবিতে পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে সমাজে মধ্যবিত্তের নির্মিত পুরাতন
'বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী গ্রান্ডন্যারেটিভ' যে চোরাগলিতে পড়েছে তা ভরাট করার চেষ্টা। যে চোরাগলি ভরাট না করলে আওয়ামী প্রগতিশীলওলাদের নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী বয়ান ধ্বসে পড়তে পারে বিপ্লবী টোকায় ।
আর্ন্তজাতিক এবং আন্চলিক রাজনীতির সাম্প্রতিক মেরুকরনের বিবেচনায় এই ছবি আওয়ামী বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী বয়ানকে পুষ্ট করার আওয়ামী প্রাগ্রসর অংশের প্রয়াস।
খেয়াল করলে মনে পড়বে
হাসিনা আপা র্নিবাচনী প্রতিশ্রতিতে দক্ষিণ এশিয়ায় ইসলামী জঙ্গিবাদ বিরোধী আন্চলিক জোটের কথা বলেছিলেন।
আর আর্ন্তজাতিক সামরাজ্যবাদী মুড়ল ওবামা র্নিবাচন উত্তর মিশরের কায়রোয় বিখ্যাত ভাষণে--
জঙ্গি ইসলামের বিপরীতে ইসলামের মহান শান্তির বাণীর কথা শুনিয়েছেন দুনিয়ার মুসলমানদের। যা এখনো জঙ্গী বা রাজনৈতিক ইসলামের বিপরীতে নিত্য তিনি শুনান।
বর্তমানে বাংলাদেশে আওয়ামী রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবি এবং সুশীল সম্প্রদায়ের কেউ কেউ একই কৌশল নিয়েছেন।
আমি অনিমন্ত্রিত দর্শক রূপে প্রিমিয়ার শোতে মেহেরজান ছবি দেখতে গিয়েছি। সুযোগ বুঝে পরিচিত জনদের সাথে ডুকে পড়লাম। দেখলাম ঢাকার উচ্চবিত্তের অনেকই যারা এখন আর হলে আসেন না তাদেরও
কেউ কেউ উপস্থিত। মধ্যবিত্ত সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবি-কবি-সাহিত্যিক-রাজনীতিবিদ-শিক্ষক ত আছেনই আরো আছেন সুশীল সমাজ আর ক্ষমতাশীল মন্ত্রী মর্যাদার উপদেষ্টা ত আছেনই ঘরের লোক হিসাবে। ভিডিও ব্যবসার কর্তারা আছেন;আছেন কাচামাল অভিনেতারা।
ভিক্টর ব্যনার্জীর সাথে পরিচালক সহ আছেন ছবি তৈয়ারির নানান কুশীলবগণ দর্শকদের দিকে মুখকরে । সংক্ষেপে উদ্বোধন শেষে শো শুরু হল একই সাথে বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্র এর তিনটি হলে । এটা আমার দেখা ঢাকায় কোন ছবির সবচে বড় প্রিমিয়ার শো ।
আয়োজনের বনর্ণা দিচ্ছি মুগ্ধতা থেকে নয়; যারা ছবির প্রিমিয়ারে যাননি তাদের বুঝতে সুবিধা হবে ছবির নির্মাতারা সমাজের কোন ক্লাসে বিলং করেন তাই।
এতে আরো সুবিধা হবে কেন এই ছবির মেইন চরিত্রগুলো একটি উচ্চবিত্ত পরিবারকে কল্পনা করে সাজানো।
ছবিতে খাজা সাহেবকে ভিত্তি ধরে মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবস্থানকে তিনজন তরুন নারী চরিত্ররের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আর জয় বাংলার মুক্তিযুদ্ধার পজিটিভ ইমেজের পাশাপাশি বাম ঘরানার মুক্তিযোদ্ধাদের খানিকটা আনলেও নেগেটিভলী হাজির করেছেন।
খাজা সাহেব এই গ্রামের অঘোষিত নবী। সবাই তারে মানে। খাজা সাহেব কোন অহিংসা চান না।
রক্তপাত চান না। গ্রামের মানুষদের বাঁচাতে চান হানাদার বাহিনীর হাত থেকে। বারবার চাপাচাপি এবং হুমকির পরও উনি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিবেন না। তিনি বাঙ্গালীর নিজের অধিকারের পক্ষের লোক। মাঝে মাঝে মাজারে জান।
যুদ্ধের সময় জয়বাংলার লোকদের গোপনে খাওয়ার আয়োজন করে দিলেও বামপন্থীদের তার কাছে আসাটা একটু অস্বস্থির। ৪৭ এ কলকাতা ফেরত দাঙ্গাহাঙ্গামার স্মৃতিতে ট্রমাগ্রস্থ খাজা সাহেবের একমাত্র কন্যার সাথে জয়বাংলার দল নেতার বিয়া দেয়া লক্ষণীয়।
এমন আরো অনেক উদাহরন দিয়ে দেখানো যাবে মুসলিম লীগের যে অংশ পরে আওয়ামী মুসলিম লীগ হয়ে আওয়ামী লীগ এর রাজনীতিকে সার্পোট করত খাজা সাহেব চরিত্রের মাধ্যমে ডিরেক্টর তারই চিত্রায়ন করেছে ।
এই শান্তিবাদী অসাম্প্রদায়িক খাজা সাহেব রক্তপাত না চাইলেও যুদ্ধের নিয়তি হিসাবে তাকে পাক বাহিনীর হাতে মরতে হয়েছে।
এই হচ্ছে এই চরিত্রের স্ববিরোধ।
কিন্তু তার যে অবস্থানের কারণে তাকে পাক বন্দুকের সামনে দাঁড়াতে হচ্ছে তাতে তার ভয় নেই; বরং আছে বীরের মত মৃত্যকে বরন করে নেয়ার পবিত্র প্রস্তুতি। ফলে নিশ্চিত মারা যাওয়ার আগে আতর দিয়ে নিজে নিজে সাজায় সে । পকেটে লাল গোলাপ রাখে। মাথায় টুপি পড়ে। ইত্যাদি ইত্যাদি.......।
এমন অহিংস শান্তিবাদী অসাম্প্রদায়িক খাজা সাহেবের মুখ দিয়েই বলানো হয়েছে বাঙ্গালী কবে কখন ধর্মকে বাদ দিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। উদাহরণ আকারে চৈতন্য এবং শাহ জালালকে আনা হয়েছে। আরো একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ডায়ালগ হচ্ছে --
বাঙ্গালী মুসলমানের মেইন ডিলেমা হচ্ছে সে বাঙ্গালী না মুসলমান সেটা এখনো পরিষ্কার না।
এই খাজা সাহেবের ক্লাস উচ্চবিত্ত হলেও ৭১ এ তার নেতা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা শেখ মুজিব।
সুতরাং শেখ সাহেবের দেখা আর খাজা সাহেবের দেখার মধ্যে পার্থক্য আছে।
শেখ সাহেব নিচে দাড়িয়ে কাছ-পাশাপাশি-ঘটনার মধ্য থেকে ঘটনার নায়ক আকারে ইতিহাস নির্মান করতে করতে দেখেন। যদিও সেই র্নিমান কৃষক-শ্রমিকের জন্য নয়; মধ্যবিত্তের বিত্ত-বৈভবের জন্য ।
আর খাজা সাহেবরা দেখেন নিরাপদ দূরুত্ত্বে দাড়িঁয়ে উপর কিংবা বাহির থেকে করুনার চোখ দিয়ে। ফলে তৈয়ার হয় ফ্যান্টাসি। পানি এবং মরিচীকার ফারাগের মতই তাদের দেখাতেও ফারাগ থাকে।
ফলে ইতিহাসের দ্বন্ধ মিটেনা।
খাজা সাব পানি এবং মরিচিকার মত ধর্ম এবং ধর্মতত্ত্বের পার্থক্য না বুঝে রয়ে যান শান্তির নামে চর্চিত জগাখিচুরী ধর্মতত্ত্বের সাম্প্রদায়িক বয়ানে। ধর্মকে অসাম্প্রদায়িক বিপ্লবী বয়ানের মর্ম বস্তু আকারে;পানি আকারে চিনে না। এই না চিনা মেহেরজান ছবির পরিচালক রুবাইয়াত হোসেনের শ্রেণীগত সীমাব্দ্ধতা যেমন; তেমনি সীমাবদ্ধতা তার নির্মিত চরিত্র খাজা সাহেবেরও।
এই খাজা সাহেবদের সমর্থনে শেখ সাহেবকে দিয়ে মধ্যবিত্তের আখের গোছানোর জাতীয়তাবাদ হবে; বিপ্লব হবে না ।
মানে গরীব দুখীদের সংকট কাটবে না । মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ ঝগড়া লাগিয়ে বুর্জোয়া দলগুলো মাঠ গরম করে নিজেদের লুঠপাট-জাতীয় সম্পদ বিক্রি অব্যাহত রাখবে। অব্যাহত রাখবে ক্ষমতার মসনদ।
আর
বিপ্লবী চৈতন্য সম্পন্য তরুণ-বয়-বৃদ্ধদের ৭১ এর আওয়ামী চেতনা; (নট ৭১ এর গণমানুষের বিপ্লবী চেতনা) বিভ্রান্ত্রির বড়ি বানিয়ে খাওয়াবে। আমরা মুখে বলব গণমানুষের মুক্তির চৈতন্যের কথা; খাব আওয়ামী চৈতন্যের বড়ি ।
এই খেলা আর কত কাল ?
অন্যান্য গুরুত্ত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে এই ছবির পর্যালোচনা জরুরী।
যেমন-
১.
নারীর প্রেজেন্টেশন সমাজ নির্মিত পুরুষতান্ত্রিক খাপের প্রেক্ষিতেই নারীর স্বাধীন চয়েজের মোড়কে হাজির হয়েছে।
২.
পুরা ছবিতে যুদ্ধকে নেগেট করা হয়েছে খাজার অহিংসাবাদী চরিত্রের মধ্যদিয়ে শুধু নয়; যুদ্ধ ফেরত খালাত ভাই মেহেরজানকে বিয়া করতে চায় । যুদ্ধে সে ক্লান্ত। খাজা সাহেবের মেয়েও বিয়ের জন্য কাতর; যুদ্ধের জন্য না ।
ইত্যাদি ইত্যাদি........
উপরে বর্ণীত প্রেক্ষাপট মাথায় রাখলে মেহেরজান ছবির গল্পে ৭১ এর ভিন্ন উপস্থাপনার বর্তমান লোকাল এবং গ্লোবাল ভিশন বা রাজনীতি পরিষ্কার বুঝা যায়।
ফলে
যারা এই ছবিকে জাতির সাথে প্রতারণা বলে অসাম্প্রদায়িকতা,ধর্মনিরপেক্ষতা আর প্রগতিশীল মানসকাঠামোয় আস্থার দোহায়ে অভিযোগের মুখস্থ জিগির তুলছেন; তারা মুক্তিযুদ্ধের বর্তমান আওয়ামী চেতনার বাইরের লোক।
(দেখুন ১৩ মাঘ,২৬ জানুয়ারি ২০১১,প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত রোবায়েত,বাবু,কাবেরী,প্রিয়ভাষিণী'র লেখা। উল্লেখ্য,তারা কেউ কেউ বাম সংগঠনের কর্মী ছিলেন ) ।
তারা অর্থনৈতিক ক্লাস আকারে মধ্যবিত্ত ।
চিন্তায় পেটি। পেটি যখন বুর্জোয়াকে দেখে তখন এই ভাবেই অক্ষম অস্ত্রে আঘাত হানে।
মেহেরজান ছবিতে এই পেটি ক্লাস, তার ক্লাসের নেগেটিভ উপস্থাপনা দেখে আহত হয়েছে। কিন্তু যে বুর্জোয়া রূপ মনিব তাকে আঘাত করছে; এই মনিবের তৈয়ারি চেতনার বাসগৃহে এতদিন আরামের জীবন তারা যাপন করছিল; তাতে ভাঙ্গন দেখে এখন নিজ গৃহ না পেয়ে দিশাহারা । ফলে সময়ের প্রয়োজনে নিজের গড়া চেতনা; সময়ের প্রয়োজনে নির্মাতা মালিকগং যখন ভাঙ্গার গল্প ফেঁদে নতুন করে সাজায়, তখন রোবায়েত গংরা যুক্তি-বিশ্লেষন হারিয়ে আবেগি হয়ে পুরাতনকে আকড়ে ধরে আশ্রয় হিসাবে বাচঁতে চায়।
আবেগ দিয়ে ফ্যাসিজম সহ অনেক কিছু হতে পারে কিন্তু একালের রাজনীতি হয় না।
একালের রাজনীতি আর পুজিঁর বিকাশ একাকার। পুজিঁ তার বিকাশের জন্য নতুন কৌশলে আরো অধিক মানুষের কাছে হাজির হতে চায়। ফলে আধুনিকতার উত্তাপে ধর্মকে নেগেট করে জনসংখ্যার যে অংশে এখনো সে পণ্য রূপে হাজির হতে পারেনি; সেই অংশে পৌছাঁনোর জন্য একদিকে সে ডিপলমেটিক উদ্দ্যোগ হিসাবে ধর্মের শান্তিবাদি বয়ান তৈয়ার করে মানুষের মধ্যে ছড়ায় বা তৈয়ার হয়ে থাকা শান্তিবাদী বয়ানকে কাজে লাগিয়ে নিজের কতৃত্ত্ব কায়েম করে। আর এপথে না হলে সস্ত্রবল প্রয়োগে বাধ্য করে কতৃত্ত্ব কায়েম করে।
ইরাক-আফগানিস্তানের দিকে তাকালেই ইহা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ফলে তারা মার্কিন রাষ্ট্র প্রধান ওবামার চেয়েও ত বটেই শেখ হাসিনার চেয়েও রাজনৈতিক জ্ঞানে পশ্চাদপদ।
যে কেউ কায়রোয় দেয়া ওবামার ভাষণ পড়ে মিলিয়ে দেখতে পারেন।
খালেদা-নিজামী-এরশাদ গং এবং কোন কোন বাম পক্ষও পুজিঁতন্ত্রের পাহারাদার সামরাজ্যবাদীদের আজ্ঞাবহ রাজনীতিই করে।
সাধু সাবধান।
প্রতিরোধ প্রতিরোধ প্রতিরোধই নতুন সমাজ নির্মানের রাস্তা। দেশী-বিদেশী সমস্ত কালপিটদের প্রতিরোধ ৭১ এর গণচেতনার জায়গায় দাড়িঁয়ে করতে হবে।
শেষ কথা
এই ছবি নিষিদ্ধ করার যারা দাবি তুলছেন তাদের যদি সাহস এবং সততা থাকে; তাহলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলতে হবে। কারণ এই ছবি ৭১ এর চেতনার প্যাকেজে
বর্তমান আওয়ামী রাজনীতির আর্ন্তজাতিক প্রেক্ষিত বিবেচনার শান্তিবাদী সামরাজ্যবাদী বয়ান।
নিষিদ্ধের আওয়াজ তুলতে হবে মার্কিন সহ যে কোন বিদেশী রাষ্ট্রের বর্তমান বাংলাদেশে সাধারন মানুষের স্বার্থ বিরোধী যে কোন তৎপরতাকে।
সাহস এবং সততার সহিত আমাদেরও দাবি তুলতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা মোবাইল কোম্পানির সাথে মিলিত ভাবে বাজারে বিক্রি করছে সেই সব সংবাদপত্র বয়কটের।
বর্তমানের নানান নষ্টামির সাথে যুক্ত থেকে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা কোন অর্থ তৈয়ার করে না। বরং এগুলোর বিরোদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মধ্যদিয়েই মুক্তিযোদ্ধের সত্যিকারের চেতনার চর্চা জারি থাকবে।
সময় এবং লেখার দীর্ঘতা বিবেচনায় আপাতত এতটুকুই কইলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।