রোববার সকালে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এই বিএনপি নেতার জানাজা হয়। এরপর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সাবেক এই সাংসদের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হুইপ শহীন উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বিরোধী দলীয় নেতার পক্ষে আওরঙ্গের কফিনে ফুল দেন।
এছাড়া সংসদের প্রধান হুইপ, বিরোধী দলের প্রধান হুইপ এবং পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের পক্ষ থেকেও আওরঙ্গের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা তার জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শেষে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
৫৭ বছর বয়সী আওরঙ্গ শনিবার ঢাকা থেকে শরীয়তপুর যাওয়ার পথে মুন্সীগঞ্জের মেদেনীমণ্ডলের খানবাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়েন। একটি বাসের সঙ্গে তার গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোট চার জনের মৃত্যু হয়।
এক সময়ের যুবলীগ নেতা আওরঙ্গের নাম ’৮০ এর দশকের পুরোটা সময়ই ছিল আলোচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সব সংঘর্ষের সময় তার নাম উঠে আসত।
আওরঙ্গ ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে শরীয়তপুর-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দলের মনোনয়ন না পেয়ে ২০০১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন তিনি।
হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি আওরঙ্গ ২০০১ সালে ‘অপারেশন ক্লিনহার্টে’ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তবে কিছুদিনের মধ্যে ছাড়া পান তিনি।
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হন আওরঙ্গ।
তবে এবার তিনি হারেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের কাছে।
আওরঙ্গ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সদস্য ছিলেন। তবে ইদানীং রাজনীতিতে অনেকটাই নিষ্ক্রিয় ছিলেন আওরঙ্গ। ঢাকার কাঁঠালবাগানের বাড়িতেই বেশিরভাগ সময় থাকতেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।