মিথ্যা তুমি দশ পিঁপড়া বিএনপির চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য আজ খুব মন দিয়ে শুনছিলাম। প্রথাগত বক্তব্য হলেও আমি একেবারে শেষ পর্যন্ত আশায় ছিলাম তিনি সামান্য হলেও জামাত শিবিরের নৈরাজ্যের প্রতি কিছুটা হলেও নিন্দা জানাবেন। অন্ততপক্ষে তাদের প্রতি আহবান জানাবেন যাতে তারা সহিংসতার পথ অবলম্বন না করে।
একজন নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা শুধু হতাশাই বারিয়ে তুলছে।
প্রথমেই জামাত শিবিরের কর্মকাণ্ডের একটা ডিসেকশন করি।
গতকাল সকাল থেকেই বাঁশের কেল্লা এবং ব্রেকিং জাতীয় প্রো জামাতি পেইজ গুলি থেকে রেললাইন উপড়ে ফেলার, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেবার, থানা আক্রমণ করার উস্কানি প্রচারিত হচ্ছিল। এগুলো সত্যি হয়ে যাবে আমি আসলে ভাবিনি। জামাত শিবিরের সহিংসতায় তাদের নিজেদের ক্ষয়ক্ষতিই সবচেয়ে বেশী। পাশাপাশি জনা পাচেক আওয়ামী লীগের কর্মী, সমসংখ্যক পুলিশ, পথচারী, রিকশাওয়ালা, দোকানদার ইত্যাদি মারা গিয়েছে। জামাত শিবির ছাড়া বাকি মৃত্যুগুলোর জন্যে তারা সরাসরি দায়ী।
কারন অনেক গুলো মৃত্যুই হয়েছে পিটিয়ে, কুপিয়ে। চাপাইনবাবগঞ্জে নাকি এক আওয়ামী কর্মীকে জবাই করা হয়েছে বলে আমার বাসার সামনের দোকানদার জানালেন যার বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জে। এর সাথে হিন্দুদের বাড়িতে আক্রমন, আগুনে পুড়ে একজনের মৃত্য ইত্যাদিটো আছেই। আমার বিশ্ববিদ্যালয় সময়কার একজন ক্লাসমেটের মাসীর বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। এছাড়া পুলিশ ফাড়ি থেকে অস্র লুট, অনেক গুলো মহাসড়ক দীর্ঘ অবরোধ ইত্যাদি।
গাড়ি, দোকানপাট ভাংচুর আসলে এইসবের চেয়ে ম্যাগ্নিচিউডে অনেক খাটো তাই উল্লেখ করার প্রয়োজনই নেই। সারাদেশে এমন নজিরবিহীন সহিংসতা আগে দেখা যায় নি। আমাদের বাসার কাছাকাছি বেশ কয়েকটি ককটেল ফাটে। সাথে সাথে সমগ্র এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরে। মনে হচ্ছিল যুদ্ধাবস্থায় আছি।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যে মনে হল জনগন হিসেবে প্রতারিত হয়েছি। কারন প্রধান বিরোধীদলের নেত্রী প্রধানমন্ত্রীর পরেই আমাদের তাকানোর যায়গা। সেখান থেকে জামাত শিবিরের সহিংসতা কে "শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী" বলে জনগনকে কি প্রবোধ দেয়া হল আমি বুঝলাম না। অন্তত জামাতের প্রতি একটি আহবান তিনি জানাতে পারতেন।
কোন মৃত্যুই কাম্য নয়।
এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থার একটি বিষফোড়ার নাম। অপারেশন ক্লীন হার্ট এ অংশ নিয়েছিলেন আমার পরিচিত একজন মেজর। তার কাছে ভুলক্রমে দুইজনকে হত্যা করার কাহিনী শুনেছি। বিএনপি জামাত সরকার ঐসময় অপারেশন ক্লীন হার্টের পর দায়মুক্তি প্রদান করেছিল। তখন ছোট ছিলাম।
বুঝতে পারি নাই কতগুলো সন্ত্রাসী মারা যাওয়ার জন্যে অনেকে কেন দুঃখ পাচ্ছেন। আমার একজন কুষ্টিয়ার বন্ধু আছেন। তিনি সবসময় ক্রসফায়ার সমর্থন করেন। বলেন, যারা সর্বহারাদের এলাকায় থাকে তারা শুধুমাত্র জানে ক্রসফায়ার কত জরুরী। আমি বলেছিলাম, তাদের জনেয় স্পেশাল ট্রাইবুনাল গঠন করতে, দরকার হলে দ্রুততম সময়ে বিচার করতে।
কিন্তু সেই ক্রসফায়ারের ফলাফল পরবর্তীতে দেখেছি অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করার হাতিয়ার হিসেবে। যথারীতি এই জঘন্য প্রক্রীয়াটি আওয়ামী লীগ কথা দিয়েও বন্ধ করে নাই। কারন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বড় ভাল জিনিস। একবার এর স্বাদ কেউ পেলে ছাড়তে চান না। মনে আছে জননিরাপত্তা আইনের কথা।
সবাই বিরোধীদলে গেলে এর নিন্দা করে। কিন্তু সরকারে থাকলে তার উপযুক্ত প্রয়োগ করতে দ্বিধা করে না। এর ধারাবাহিকতায় আজ আমাদের পুলিশ র্যাব এর গুলি করার প্রবণতা বেড়েছে। হয়ত এরা আরেকটু ধৈর্য ধারন করলে ডেথটোল কমে আসত।
আমি অবশ্য জানি না, পুলিশদের নিয়ে আমাদের কতটুকু দরদ আছে।
কারন যেখানে গুলি চালানোর পরও অনেকেই গুরুতর আহত, অনেকে নিহত, সিএমএইচ এ গুরুতর আহত অনেক পুলিশকে আনা হয়েছে। এদের বাচার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। গুলি না করলে তাদের কে কি আরও ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করতে হত? আমি জানি না।
জামাত শিবির যা করছে তাকে পলিটিক্যাল মুভমেন্ট বলে না। পলিটিক্যাল মুভমেন্টে কেউ রেললাইন উপড়ে ফেলে না, মন্দির প্যাগোডায় হামলা চালায় না।
সুতরাং এদের ঠেকানোটা সরকারের জন্যে এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অনেকে আর্মি নামানোর কথা বলছেন। আমার ব্যাক্তিগত অভিমত হচ্ছে আর্মি নামলে ডেথটোল বাড়তে পারে। কারন জামাতের আচরন দেখে মনে হচ্ছে না তারা বিচার বিবেচনা করে কিছু করছে।
এত গুলো শিবিরের মৃত্যুতেও আসলে আমি দুঃখ পেয়েছি।
তাদের ব্রেইন ওয়াশ করে তাদের ঠেলে দেয়া হচ্ছে ধবংসের পথে। কতগুলো কালপ্রীটের জন্যে তারা জীবন বিসর্জন দিচ্ছে। জামাতের মৃতদের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায় তাদের বড় কোন নেতা এমন কি মাঝারি কোন নেতাও এই তালিকায় নেই। না থাকারই কথা। আমার এক পরিচিত জামাতের রুকন জামাতের হরতালের দিন ঘরে বসে হিন্দি সিনেমা দেখেন।
সন্ধায় সংবাদ সম্মেলনের জন্যে পার্টি অফিসে যান।
শিবির কর্মীরা কম বয়সী। তারা হয়ত সামনে সুপথে ফিরে আসত। আমার একজন খুব কাছের বন্ধু একসময় শিবিরের সাথী ছিল। কিন্তু সে ফিরে এসেছে আলোর পথে।
এরকম আরো কয়েকটি কেস এর কথা জানি। সুতরাং তাদের মৃত্যু আমাদের বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছে, জামাত শিবির নামক বিষবৃক্ষ আমাদের কতটা ক্ষতি করছে।
বি এন পির কয়েকজন সাংসদ (১২ জন) ১৯৯৩ সালে সংসদে দাঁড়িয়ে জামাত শিবির কে কঠোর হাতে দমন করার জন্যে সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছিলেন। নরসিংদী ৫ আসনের আব্দুল আলী মৃধার বক্তব্যটি এই পোস্টে দেয়া আছে। বক্তব্যটি খুব খেয়াল করে পরুন।
মনে হচ্ছে না কোন আওয়ামী নেতার ভাষণ? বিএনপি একসময় জামাত সম্পর্কে এমনই ধারনা পোষণ করত। সেই বি এন পির কি হল যাতে জামাতের অপকর্মগুলোকে স্বীকারের সতসাহসও দেখালো না?
বিএনপি এদেশের আওয়ামী বিরোধী দেশপ্রেমিকদের যাওয়ার যায়গা ছিল। কিন্তু দিনে দিনে এটি জামাতের বি টীমে পরিণত হচ্ছে। এর প্রমান আজ খালেদা জিয়ার বক্তব্য আর বৃহস্পতিবার জামাতের প্রেস রিলিজের মর্মান্তিক মিল। জোটের বৃহত্তম দল হিসেবে বিএনপি তার দায়িত্বটা পালন করল বলে আমার মনে হল না।
বিএনপি যদি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ক্ষতি হবে এদেশের সাধারন জনগনের। কারন শক্ত বিরোধীদল না থাকলে সরকার স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠে। বিএনপি শুভবুদ্ধির উদয় হোক। খালেদা জিয়া তার চারপাশে ঘিরে থাকা অযোগ্য অরাজনৈতিক উপদেষ্টামণ্ডলীর হাত থেকে মুক্তি পান। এই অরাজনৈতিক উপদেষ্টা মণ্ডলী হাসিনাকে নানা ইস্যুতে ডুবিয়েছে।
আপনাকেও ডোবাবে। দলের ত্যাগী অভিজ্ঞ নেতাদের কাছে ফিরে যান। জনবিচ্ছিন্ন হবেন না। সবশেষে আমার ফেবুতে একজন কট্টর আওয়ামী বিরোধীর স্ট্যাটাস দিয়ে শেষ করছি।
"মাননীয় বিরোধী দলের নেত্রী,
জয় বাংলা।
আপনার কিছু কথা শোনার দরকার হয়ে গেছে। আপনাকে প্রথম দেখি, আমার দাদী বাড়ীর গলির মোড়ে। সময়টা ছিলো ১৯৮৮-৮৯ এর দিকে । দেশ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল। আপনারা তখনো জনমানুষের ধরাছোয়ার বাইরে জাননি।
মাইক্রোবাস থেকে আপনার হাতের নীল শিরা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিলো।
একা মাইক্রোবাসে করে নায়ায়নগন্জের একদম শহরতলীতে চলে এসেছিলেন - সম্ভবত আওয়ামী নেতাদের সাথে মিটিং করার জন্য।
এর পর আপনাকে দেখি আমাদের জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া স্কুলের জমায়েত হিসাবে। প্রধানমন্ত্রী আপনি তখন । ক্লাস সিক্স পড়া বালকের তখন আপনার কথা কিছুই কানে যায়নি।
আওয়ামী বর্জিত নির্বাচন করতে গিয়ে ক্ষমতা হারালেন । এরপর আওয়ামী দুঃশাসনে অস্থির হয়ে মানুষ ২০০১ এ আবার ক্ষমতায় আনলো আপনাকে।
নারায়নগন্জের ছেলে হিসাবে ৯০ এর দশকে আওয়ামী নোংরামি, সীমাহীন সন্ত্রাস , চাদাবাজি, গুমখুন, লাশের রাজনীতি, বোমা ফাটিয়ে অভিনয়ের রাজনীতি দেখার কারনে আওয়ামী বিরোধী একটা স্টান্স ছিলো মনে ।
২০০১ থেকে মোটামুটি রাজনীতি বুঝতে পারি । ১৯৯৪ এ দেশের তথ্য পাচার হয়ে যাবে এই ভয়ে - দেশেকে ২০ বছর পিছিয়ে দেয়া সিদ্ধান্ত আপনার আমলে নেয়া হয়েছে বলে বুদ্ধিহীন ভেবে হাসাহাসি করতাম সেই সময়ে।
ব্যবসা করার কারনে জানতাম - আপনার ছেলেরা কী পরিমান টাকা লুটপাট করছে। একদম চোখের সামনে দেখা।
আওয়ামী লীগও চুরি করে - আওয়ামী লীগও দল চালাতে টাকা লাগায় এটা ভাবতাম। কিন্তু রাজাকারদের সাথে জোট বেধে ক্ষমতায় যাওয়াটা মানতে পারতাম না।
আপনাদের রাজনীতি তো শুধু আওয়ামী লীগ যা করে সেটাকে এন্টিআওয়ামী লীগ মোড়কে পুরে মানুষের সামনে পরিবেশন করা এটা দেখতাম বুঝতাম ।
হাওয়া ভবন থেকে সে সময় গোটা দেশ কন্ট্রোল করা হতো । আপনি ছিলেন পুতুল প্রধানমন্ত্রী । তারপর আপনি শেখ হাসিনার মতো মিথ্যা বলতেন না , কিংবা মুখরা ভাষায় ঝগড়া করতেন না ভেবে একটা ক্লীন ইমেজ ছিলো আপনার ।
১/১১ এর পর জেলে গেলেন । আপনার আপোষহীনতার কারনে দেশ থেকে সামরিক শাসনের ভুত মুক্ত হলো ।
রাজাকার তোষন আর দুর্নীতির কারনে ক্ষমতা হারালেন।
তারপরো আপনার শিক্ষা হলো না ।
আওয়ামী আমলে দেশের কোন ইস্যুতে আপনাদের উচ্চস্বর শোনা যায় নি বরং আপনার বাড়ি চলে গেলে সেটা নিয়ে কান্নাকাটি দেখা গেছে। ভোটের রাজনীতি
আর ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করতে করতে আপনরা ট্র্যাক হারিয়ে ফেলেছেন । আওয়ামী লীগের কাছে লাশের রাজনীতি শিখেছেন ।
শাহবাগ মুভমেন্ট শুরু হলো সরকার আর জামাতের বিরুদ্ধে -- আপনার উচিত ছিলো প্রথম থেকে সমর্থন জানানো । আপনি বিরত থাকলেন । ভোটের রাজনীতির কথা ভেবে ।
জামাত আর আমার দেশ মিলে নোংরামো শুরু করলো । আপনি চুপ থাকলেন ।
ভোটের রাজনীতির কথা ভেবে ।
জামাত নামক দানবটা - ইসলাম আর বিএনপিকে নিজেদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে থাকলো । আপনারা নৈতিক সমর্থন দিলেন । জামাতকে প্রত্যাখান করার সুযোগ হারালেন ।
শাহবাগ ফুসে উঠলো - দেশের ইতিহাসকে শুদ্ধ করতে , দেশের মাটিতে রাজাকারদের পদচারনা বন্ধ করতে।
আপনারা শাহবাগকে ফ্যাসিবাদি বল্লেন।
জামাতের ছেলেরা মারা গেলো - পুলিশের উপর হামলা করে । দেশের মন্দির- হিন্দুদের উপর হামলা করে । আপনি এটাকে গণহত্যা বলে রায় দিলেন। ভুলে গেলেন
বিএনপির জন্ম হয়েছিলো হাজার হাজার সৈনিকের রক্তস্মানকরে ।
ভুলে গেলেন - বিএনপি আমলের বিচার বহির্ভূত ক্রসফায়ারের জননী আপনি।
ভুলে গেলেন ৭১ এর লাখ লাখ শহীদের সাথে জামাতের একজন নেতার ফাসির রায় বিরোধীতা করা কিছু ভুল পথের মানুষ এক না ।
আওয়ামী লীগের প্রতিটা নোংরামো - প্রতিটা শয়তানি আপনারা কপি করেন । কিন্তু জনগনের মনের ইচ্ছাটা ধরতে পারলেন না । আজকে তরুন ভোটারদের
ভোট ধরতে পারলেন না ।
ভাবছেন - এই লাখ দুয়েক ভোট কোন প্রভাব সৃষ্টি করবে না । কিন্তু এই লাখ দুয়েক মানুষ বাংলাদেশের দুকোটি ভোটারের ভোটকে প্রভাবিত করতে পারে ।
দুকোটি ভোট মানেই তো নির্বাচন পকেটে।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি হিসাবে - আওয়ামী লীগের জন্য মাঠটা ছেড়ে আসলেন - যে দলটা মুক্তিযুদ্ধকে তাদের ব্যবসা বানিয়ে ফেলেছে।
আমি মনে প্রাণে আওয়ামী আর জামাত বিরোধী - কিন্তু আজকে বলি - দেশের নেতা হিসাবে আপনি ব্যর্থ।
জামাত আপনার দলে খেয়ে ফেলেছে।
এই দেশে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে কোন দল টিকতে পারবে না ।
আপনি আওয়ামী লীগের মতো চতুর হতে পারেন নি আর জনগণের পালস ধরতে পারেন না ।
মানুষ নিজের চেয়ে চালাক চতুর আর বুদ্ধিমান আর মিথ্যুককে নেতা হিসাবে পছন্দ করে । গাধাদের মানুষ নেতা বানায় না ।
চালাকি করার জন্য মাথায় কিছু বুদ্ধি থাকতে হয় । দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনার সেই বুদ্ধিটাও নেই ।
বিএনপি থেকে প্রগেসিভ সব নেতাদের তাড়িয়েছেন - আপনার বিএনপি এখন জামাতের অঙ্গসংগঠন । অথচ চালাক হলে - আওয়ামী লীগ যেমন সুযোগ বুঝে জামাতকে ঝেড়ে ফেলেছে এই পথটা বের করে ফেলতেন । শাহবাগ আপনাকে শুদ্ধ হবার সুযোগ দিয়েছিলো ।
আপনি প্রগ্রেসিভ মানুষদের কাছে গ্রহনযোগ্য হবার ট্রেনটা মিস করে ফেল্লেন ।
দেশের এই ঘোর দুর্দিনে আপনার উচিত ছিলো - আওয়ামী লীগের সাথে রেশারেশি বাদ দিয়ে জামাতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে লাশের রাজনীতি বন্ধ করা ।
আপনি আরো ব্যাপারটাকে উস্কে দিতে চাইছেন । আমরা এসব ধরতে পারি না ভাবছেন । জামাতের ঘাড়ে বন্ধুক রেখে আওয়ামী লীগ শিকার করতে চাইছেন আপনি ।
এটা কোন আপোষহীন , বুদ্ধিমান , সৎ , চতুর মানুষের পরিচয় না ।
আগামীতে জামাতের যে লাশ গুলো পড়বে - তার প্রতিটার জন্য আপনাকে দায়ি করবো আমি । আগামিতে যতোগুলো সংখ্যালঘু নির্যাতিত হবে তার প্রতিটার পিছনে আপনার হাত থাকে । হিন্দু - মুসলিম - নাস্তিক নামে যেকোন রায়ট - দাংগার জন্য আপানাকে ইতিহাস দায়ি করবে । মানুষ আপনার নির্বুদ্ধিতার জন্য থু থু দিবে ।
আওয়ামী লীগ বানচোতি আর মোনাফিকির রাজনীতি করতে পারে -- সেসব কপি করতে পারেন - আওয়ামী লীগের স্মার্টনেসটা কপি করতে পারেন না কেন ?
দেশের ক্রান্তিকালেই প্রকৃত নেতার পরিচয় পাওয়া যায় । সময় নেতার জন্ম দেয় -- উত্তরাধিকার সুত্রে রাজনীতিতে এসে এর চে ভালো আর কিই বা করতে পারেন আপনারা।
আওয়ামী লীগকে কখনো ভোট দিবো না নিশ্চিত - আজকের পর থেকে বিএনপিকেও কখনো ভোট দিতে পারবো না । বিএনপি আর জামাতকে একদৃষ্টিতে দেখবো আজকের পর থেকে ।
আমাদের মতো নির্দলীয় মানুষের জন্য কোন জায়গা নেই আর ।
আপনাদের অসুস্থ রাজনীতি আমি প্রত্যাখান করি । আমরা দাড়াবো আপনাদের নির্বুদ্ধিতা আর
বৈঈমানদের নিয়ে রাজনীতির বিপক্ষে। আমার বিরোধীতা আওয়ামী লীগের পাতে গেলেও এখন আর কোন আপত্তি নাই ।
আমি আজ থেকে আপনাদের এই অসুস্থ পরিবারতান্ত্রিক লাশ আর নাশকতার গ্রাম্য রাজনীতিকে লাথি মেরে প্রত্যাখান করি।
জয় বাংলা।
" ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।