মুক্ত আকাশ দেখব বলে বয়ে চলা। আকাশ কেন মুক্ত হয় না।
বিয়ের পরে প্রথম নতুন বর্ষ। ২জনে একসাথে উদযাপনের মত প্রথম একটাই সুযোগ। আবার পড়েছে শনিবারে—ছুটির দিন।
বিয়ের ২০দিন পর বিদেশে চলে আসি। তার ৩৩দিন পর আমার তিনি আসেন। তেমন করে ঘুরাফেরা করার সুযোগ মিলছে না। বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা। ক’দিন ধরে মাইনাস চলছে।
ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। বন্ধুদের সাথেও দেখা সাক্ষাত হচ্ছে না ঠিকঠাক। কি করা যায়!
আমাদের ছোট্ট খাবার টেবিলঃ
দুপুরে বাসায় ঢালা খিচুরী (ভাল নাম কি জানা নেই) সাথে ফুলকপি বড়া আর বেগুন ভাজি। তারপর যেই একটা বিরাট ঘুম দেওয়ার প্লান করছি বউ এসে তাড়া দিল বাইরে ঘুরতে যাওয়ার—এমন দিনে কেউ ঘরে বসে থাকে? নানা অজুহাতে বুঝানোর চেষ্টা হল। কে শুনে কার কথা।
বাইরে যাবেই। পরিশেষে সিদ্ধান্ত হল ভাল রান্না করা হবে। রাতে মজা করে ২জনে খাওয়া হবে।
বেগুনীঃ
বাইরে বেরুলাম ২জনে। পথ অনেক পিচ্ছিল।
রাস্তায় বরফ জমে শক্ত হয়ে আছে। পা টিপে টিপে হাঁটতে হচ্ছে। সবকিছু কিনা হল কিন্তু খাসির মাংস পাওয়া গেলনা। একটা চাইনিজ দোকানে ঢুকলাম। বাংলায় লেখা হালাল খাসি।
অবাক হতে হল। কিনে নিলাম।
খাসিঃ
বাসায় ফিরে খাসির মাংস কাটতে গিয়ে হাত কেটে ফেললাম। অবধারিত রিটায়ার্ড হার্ট। বউ রান্না করল সব।
আমি কোন কিছুতেই সাহায্য করতে পারলাম না। খাসির মাংস রান্না করা হল। তারপর পোলাও রান্না করার পালা। গিন্নি কখনও পোলাও রান্না করেনি। তাই দেশে থাকা বান্ধবীর কাছ থেকে রেসিপি নিয়ে পোলাও রান্না করা হল-সাথে বেগুনী।
পোলাওঃ
ক্যান্ডেল লাইট ডিনারঃ
আমার ক্ষুধায় জান যায় অবস্থা। বললাম তাড়াতাড়ি করো। বলল পাঞ্জাবী পড়। শুনতে হল। রেডি হয়ে বসলাম।
ছোট্ট খাবার টেবিলে সাজানো হল সব। সাথে ৩টা মোমবাতি। ক্যান্ডেল লাইট ডিনার করতে চায়। ক্যান্ডেল জ্বালানো হল। বাকী সব আলো নিভিয়ে দেওয়া হল।
আমরা শুরু করলাম আমাদের টুনাটুনি’র ডিনার পর্ব। এই আমাদের নতুন বছরের নতুন দিন।
ক্যান্ডেল লাইট ডিনারঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।