সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) দেওয়া তথ্য মতে ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তাদের হাতে ৬২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে র্যাবের দাবি, তাঁরা সবাই ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তিরা সবাই সন্ত্রাসী এবং র্যাবের ওপর হামলা করার পর আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে তাঁদের মৃত্যু হয়। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দায়ে এখন পর্যন্ত র্যাবের একজন সদস্যেরও বিচার হয়নি।
নিউইয়র্ক-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন বন্ধ এবং বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করাসহ সামগ্রিক মানবাধিকার নিশ্চিতের যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
গতকাল সোমবার ‘ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট-২০১১’ শিরোনামের বিশ্ব প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অধ্যায়ে এইচআরডব্লিউ এ কথা বলেছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে একের পর এক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে থাকলেও সরকারকে তা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এমনকি ২০১০ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হওয়ার ঘটনায় র্যাবের দায় অস্বীকার করেন।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির ৭ম বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন আগেও বলেছি , এখনও বলছি বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিচার বহির্ভূত কোনো বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে না।
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য অযৌক্তিক ও অযাচিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটালে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগেও এভাবে অনেককে শাস্তি দেয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আত্মরক্ষার প্রয়োজন আছে। সন্ত্রাসী ধরতে গেলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আঘাত এলে তারা বসে থাকবে কেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।