আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ !! আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ
সোমালিয়া তৃতীয় বিশ্বের একটি হত দরিদ্র রাষ্ট্র। ইদানিং সবাই এই দেশটিকে নিয়ে বেশ চিন্তিত। কারণ টা সবারই জানা আছে।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের দৌরাত্ন্য এবং একের পর এক জাহাজ ছিনতাই এর ঘটনা।
জাহাজ ডাকাতি সোমালিয়ায় কোন নতুন ঘটনা নয়।
আর এখন তো প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ডাকাতি হচ্ছে বিশ্বের কোন না কোন জাহাজ। এখন ও বাংলাদেশ এর বেশ কিছু নাবিক এদের হাতে বন্দী। এদের ডাকাতির এলাকা কিন্তু সীমিত। আরব সাগর। আর এদের সংগ্রহে আছে উন্নত সব নৌযান এবং অস্ত্রসস্ত্র।
এবার দেখা যাক এরা কারা-
এদের বাহিনী বেশ সংঘবদ্ধ। এদের বাহিনী সদস্যরা মূলতঃ
১। স্থানীয় জেলে - যারা সমুদ্রের প্রতিকুলতায় অভ্যস্ত।
২। অবসর প্রাপ্ত সেনা- যারা যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শি।
৩। দক্ষ কারিগর- যারা নৌযান মেরামত ও পরিচালনায় অভিজ্ঞ।
এরা ডাকাতি করে যা আয় করে তার বন্টনরীতি নিম্নরূপ-
নিশ্চই বুঝতে পারছেন এই ডাকাতি তে সরকার এর ভাগ কত ?
সম্প্রতি সোমালিয়ার আইন সভায় নতুন আইন এ জলদস্যুতার জন্য কোন সাজা প্রদান করা হবে না বলে ঘোষনা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়- সোমালিয়ার জলদস্যুদের জ়াতীয় বীর ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে- এরা সমুদ্রের অতন্দ্র প্রহরী।
এদের কারণেই অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল দেশ হয়েও সোমালিয়ার সামুদ্রিক সম্পদ বিদেশি দালাল দের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে।
আর এই ঘোষনায় গোটা বিশ্ব হায় হায় করছে।
অথচ কেউ কি ভেবে দেখেছে ? কেন এই ঘোষনা ?
উন্নত কোন দেশের নাগরিক হলে আজ এদের সম্মানজনক কোন পরিচয় থাকত। একটা নিশ্চিত জীবন থাকত। কিন্তু উন্নত বিশ্ব তা হতে দেয়নি।
তারা সোমালিয়ার অর্থনীতিকে কিছুতেই দাঁড়াতে দেয় নি।
আমরা সেটা না ভাবতে চাইলেও সোমালিয়ান সরকার হয়তো সেটাই বুঝতে পেরেছে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।