আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
আজ ভোর রাতে দেখলাম এক ব্লগার বলেছেন ষ্টক এক্সেচেঞ্জের হাফ ডজন মেম্বারের অফিস হতে ঢালাও ভাবে শেয়ার কম দামে বেচে দেওয়ার কারণেই নাকি গতকাল বৃহস্পতিবার এই ধ্বস ঘটেছে। অথচ ৭ দিন আগে সুচক ১০১২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেল তা যে অস্বাভাবিক ছিল এটা উল্লেখ করল না। এই হাজার ১০১২ সূচক অর্থ মন্ত্রণালয়ের এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের জোড়া তালি দিয়ে ষ্টক এক্সচেঞ্জ সচল রাখার ব্যার্থ চেষ্টা সেখানে কোন দোষ নাই। ২০১০ ডিসেম্বর মাসে যেদিন ৬০০ বেশী সূচক কমে গিয়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে গেল সেদিনই বুঝতে বাকী রইল না যে রাঘব-বোয়াল মাফিয়ারা এতদিন কৃত্রিম ভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে তা সাধারণ ক্রেতাদের গছিয়ে দিয়েছে। নতুবা ১০ টাকার শেয়ার কিভাবে ১-২ মাসে ২০০-৩০০ টাকা হয়? এস.ই.সি কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে ছিল? নাকি রাঘব বোয়ালদের সহায়তা করছিল? সরকারের প্রভাবশালী নেতা, এমপি ও মন্ত্রীরা জড়িত বলেই এস.ই.সি শেয়ার বাজারকে লাগামহীন ঘোড়ার মত ছুটতে দিয়েছে।
তারপর মওকা মত এরা শেয়ার বেচে পগাড় পার। আর অর্থমন্ত্র মুহিত এখন ভুল স্বীকার করছেন
Click This Link
প্রহসন আর কাকে বলে? উনি কুম্ভীরাশ্রু দেখাচ্ছেন যেখানে যারা লুটপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবেন এর কোন কথা নেই। আর আমিই বা কি বলি, যেনে শুনে শেয়ার বাজারে লুটপাট হতে দিয়ে উনি কোন যুক্তিতে হোতাদের ধরবেন। ধরতে গেলে পুরো সরকারেরই পতন ঘটবে। কারণ হাসিনাও এই লুটের ভাগ বাটোয়ারা পেয়েছেন।
ঠিক ১৯৯৬ সালে হাসিনার সরকার যে খেলাটা খেলে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছিলেন। আর এবার যদি শেয়ার বাজার নিয়ে সরকারের সত্যি সত্যিই পতন ঘটে তো বটতলার উকিল টাকলা কামরুলের আফসোসের সীমা থাকবে না যে যুদ্ধাপরাধের বিচার করা গেল না। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই লক্ষণ দেখা না গেলেও মুহিতের স্বীকারোক্তি সরকারের ভিত কাপিয়ে দিয়েছে। মুহিত আলীগের একটি ক্ষমতাধর স্তম্ভ। এই ঝাকুনি নিশ্চয়ই কামরুলও টের পেয়েছেন।
সামান্য কিছু হলেই ঘটতে দেড়ী কিন্তু উনার বলতে দেড়ী হয়না যে যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের চক্রান্ত চলছে। আজকে এই লেখা লিখতাম না যদি কতিপয় অন্ধ আম্লিগের ব্লগাররা ষ্টক এক্সচেঞ্জের মেম্বারদেরকে ষড়যন্ত্রকারী না বলত এবং হাসিনার উপদেষ্টা মসিউর এটাকে তাচ্ছিল্য না করত। এটা খুব সাধারণ ব্যাপার এক বার যখন শেয়ার বাজারে ধ্বস নামে তো সাধারণ বিনিয়োগকারীগণ যে যেভাবে পারেন শেয়ার বেচে লোকসানের ভার কমাতে। কারণ কেউ যদি বুঝে তথা কয়েকদিন দেড়ী করলে ২০০ টাকার শেয়ার কমতে কমতে ২০ টাকা হবে তো বেশীর ভাগই চাইবে ১৫০ টাকা পৌছুলেই তা বিক্রি করতে। কোন শেয়ার ক্রেতা চায় লোকসানের বোঝা বাড়াতে? অথচ এখানেই কিছু ব্লগার ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেল।
তাই অপেক্ষা করছি বটতলার কামরুইলা তার বয়ান শুরু করব? ব্লগারগণ কি বলেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।