আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুর্ণীতির আখড়া একুশে টিভি ও আমাদের শেয়ার বাজার



কয়েক দিন যাবৎ অবাধ তথ্য প্রবাহের জন্যে একুশে টিভির মায়া কান্না দেখে হাসবো না কাদবো বুঝতে পারছিনা। তবে আমাদের সরল সহজ বিনিয়োগ কারীদের বিভ্রান্ত করার জন্যে তাদের প্রচেষ্টা দেখে ক্রোধ সংবরণ করতে পারছি না। এ বিয়য়ে বিস্তারিত বলার আগে একুশে টিভির বেড়ে ওঠা নিয়ে কিছু বলা দরকার। বাংলাদেশের আধুনিক সম্প্রচারের পথিকৃত এ চ্যানেলটির জন্ম হয়ে ছিল [sb]অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে পাওয়া টেরিষ্ট্রিয়াল সম্প্রচারের প্রচার সত্ব নিয়ে। তবে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই সে সময়ের নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের দক্ষতা, যোগ্যতা আর মমতায় একুশে হয়ে ওঠে এদেশের মানুষের এক নম্বর টিভি চ্যানেল।

পরবর্তীতে এ চ্যানেলের সংবাদ কর্মী এবং কুশলী র্নিমাতাদের সত্য প্রকাশের স্পর্ধায় ভীত হয়ে টেরিষ্ট্রিয়াল সম্প্রচারের অবৈধতার ছুঁতায় চ্যানেল টি বন্ধ করে দেয় BNP সরকার। ১/১১'র সুযোগে প্রভাবশালীদের সাথে যোগ সাজসে চ্যানেলটির মালিকানা হাতিয়ে নেয় বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম। দুশ্চরিত্র এই মানুষটির কারনে ধীরে ধীরে ধ্বংশের দ্বার প্রান্তে এসে পৌছেছে। তাঁর লাম্পট্যের কারনে একুশে টিভির মহিলা কর্মীদের অনেকেই বিপদে পড়েছেন। চাকরী ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন অন্য চ্যানেলে।

দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী আব্দুস সালামের প্রথম স্ত্রী জার্মান নাগরিক। জার্মান এই মহিলাকে প্রথম জীবনে উপরে ওঠার সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার করে এখন তিনি হাত বাড়িয়েছেন সহকর্মীদের প্রতি। দ্বিতীয় স্ত্রী ফটো সুন্দরী সুমীকে ছেড়ে এখন তার নজর মেয়ের বয়সী নতুন নায়িকাদের দিকে। লাম্পট্যের কারনে গত বছর ডিওএইচএসে তাকে গণ রোষে পড়তে হয়। এপরই মাতাল অবস্থায় তিনি অস্ত্র সহ ধরা পড়েন মুম্বাই এযারপোর্টে।

সে সময় পত্র পত্রিকার রসালো খবর ছিল সেটি। টাকা আর কাসেকসন্সের কারনে সে যাত্রা রেহাই পেলেও স্বভাবের কোন পরিবর্তন হয়নি তাতে। টাকার জোরে তার প্রভাব বেড়েছে অনেক বেশি। টেরিষ্ট্রিয়াল সম্প্রচারের প্রশ্নেই ক্ষমতাসীনদের সাথে একুশে টিভির দূরত্ব তৈরী হয়। এ দেশের আইনে টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচারে অধিকার এক মাত্র বিটিভির।

অর্থাৎ জনগণের। জনগণের ক্ষমতায় ভাগ বসাতে না পেরে উন্মাদ হয়ে উঠেছেন আব্দুস সালাম। বিটিভির পাঁচ বছরের পাওনাও তিনি মিটিয়ে দেন নি। বরং ভাড়া করা বুদ্ধিজীবিদের দিয়ে অনেক তত্ব কথা শুনিয়েছেন। এবার আসা যাক শেয়ার বাজার প্রসঙ্গে।

আজকাল তার উকিলকে প্রায়ই তথ্য প্রবাহের গান গাইতে দেখা যাচ্ছে। তিনি বলছেন তথ্যের অধিকার সবার আছে। শেয়ার বাজার পরিস্থিতি স্ক্রলে দেখাবার জন্যে ডিএসইকে টাকা দিতে হবে কেন ইত্যাদি ইত্যাদি । প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে তিনি পাঁচ বছর আগে মাত্র ২ লক্ষ টাকায় ডিএসইর সাথে চুক্তি করেছিলেন। নতুন নতুন চ্যানেলের কারনে দর্শক সংখ্যা কমে যাওয়ায দর্শক ধরে রাখার সেটিই ছিল সবচে ভালো স্ট্র্যটেজি।

২০১০ এর ডিসেম্বরে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এসইসি আরও ৬টি টিভি চ্যানেলের সাথে চুক্তি করতে যাচ্ছে। এর ফলে তথ্য একুশে টিভির গন্ডি পেরিয়ে শেয়ার বাজারের তথ্য প্রবাহ আরও বেগবান হবে। অথচ একুশে টিভির বক্তব্য ঠিক এর উল্টো। আপনাদের মনে থাকতে পারে এসময় আরটিভি এবং চ্যানেল ওয়ানও শেয়ার বাজার পরিস্থিতি স্ক্রলে দেখানো শুরু করেছিল। একুশে টিভির তখন অবাধ তথ্য প্রবাহের কথা মনে হয়নি।

তারা মামলা করে বন্ধ করেদিয়ে ছিল আরটিভি আর চ্যনেল ওয়ানের শেয়ার বাজার পরিস্থিতি স্ক্রলে দেখানের অধিকার। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে কেবল অপারেটরদের পাওনা পরিশোধ না করায় কিছুদিন আগে কেবল অপারেটররও বর্জন করেছিল আব্দুস সালামের চ্যনেল। একুশে টিভি স্যাটেলাইট কোম্পানী গুলির টাকা পরিশোধ করে হুন্ডির মাধ্যমে। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হওয়া উচিত। কিন্তু তার বিরুদ্ধে মামরা করবে কে? তিনি তো মিথ্যা তথ্য দিয়ে তথ্য কমিশনার এবং আইন প্রতিমন্ত্রীকেও ভুল বুঝিয়েছেন।

শুধুমাত্র নিজের স্বার্থে তিনি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক গ্রস্থ করে তুলেছেন চ্যনেলে বিভিন্ন মন গড়া বক্তব্য দিয়ে। শেয়ার বাজারের দুষ্ট চক্রকে টাকা দিয়ে বস করেছেন। আজ হোটেল সোনার গাঁ হোটেলের সামনে ওও মতিঝিলে বিষ্ফোরক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। পর্দার আড়ালের এ খল নায়কের বিচার হওয়া ব জরুরী।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।