মুক্তচিন্তার পথিক
কুয়াকাটায় পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান হচ্ছে ফাতরার বনের ইকোপার্ক ও কুয়াকাটা ইকোপার্ক। দুটি ইকোপার্কের কোনোটির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না। সেখানে যেসব গাছ রয়েছে এরও যত্ন নেওয়া হচ্ছে না। পর্যটকরা পার্কে অবসর কিছু সময় অতিবাহিত করে ঘরে ফিরছেন। অথচ প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে কুয়াকাটা ইকোপার্কের।
পার্ক দুুটিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব। প্রবেশের ক্ষেত্রে দুই টাকা করে ফি দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা অনেক ক্ষেত্রে আদায় করা হয় না। সরেজমিন কাউকে টিকিট কাটতে দেখা যায়নি। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে পর্যটকদের জন্য কুয়াকাটা ইকোপার্ক তৈরি করা হয়। পার্কের অবস্থান ভাঙনকবলিত এলাকায় হওয়ায় ইকোপার্ক প্রকল্প প্রায় বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এটি রক্ষা করার জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বলা হয়, ৪৫ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে কিন্তু বাস্তাবে তা দেখা যায়নি। পার্কটি যখন তৈরি হয় তখন সেখানে ভূমি উন্নয়ন, ইকোপার্কের মূল ফটক, এপ্রোচ রোড, ফিডার রোড, পিকনিক স্পট, টয়লেট, কার পার্কিং, আরসিসি ফ্রেসের দেয়াল, হাঁটার জন্য পথ, ব্রিজ, পাইপ, কালভার্ট, সড়ক তৈরি, টিউবওয়েল, লেক উন্নয়ন করা হয়। পার্কের কাজ করার জন্য যে সময় ছিল তা মানা হয়নি। অনেকটা তড়িঘড়ি করেই কাজ শেষ করা হয়।
ইকোপার্কের প্রায় ১৪ হাজার একর জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজার একর জায়গা রয়েছে ফাতরার বন অর্থাৎ টেংরাগিড়ি বনে। বাকি প্রায় সাড়ে তিন হাজার একর জায়গা রয়েছে কুয়াকাটা গঙ্গামতির কাছে ইকোপার্কে। অথচ ওয়াচ টাওয়ার তৈরি হতে যাচ্ছে বন বিভাগের ইকোপার্কে। এখান থেকে ফাতরা বন, গঙ্গামতির চড় ও সমুদ্রের আরও অনেক কিছু দেখা যাবে।
কলাপাড়াও দেখা যাবে। লেবুর বনও বাদ যাবে না। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণসহ সেখানে ড্রেন, বাউন্ডারি ওয়াল, বক্স, কালভার্ট তৈরি করা হবে। পাশাপাশি রাস্তারও সংস্কার করা হবে।
ফাতরা বনে পর্যটকদের জন্য আরও স্থাপনার সুযোগ রয়েছে কিন্তু বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো নির্দেশনা না থাকায় সেখানে কোনো কিছুই গড়ে উঠছে না।
বনে যাওয়ার জন্য বোট ভাড়া নির্ধারিত না থাকায় পর্যটকরা অনেকেই বেশি টাকা গুনে থাকেন। নিয়ম রয়েছে জনপ্রতি আসা-যাওয়ার জন্য একশ' টাকা করে ভাড়ার। অনেক ক্ষেত্রে তা মানা হয় না। এটি সুন্দরবনের পূর্ব অংশে অবস্থিত। তাই এখানে সুন্দরবনের অনেক কিছুই উপলব্ধি করা যাবে।
বন বিভাগ সেখানে পর্যটকদের জন্য কাঠের ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। তখন ফাতরার বন থেকে টিকিট কিনে পর্যটকদের সেখানে যেতে হবে। কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের কাছে এ পার্ক দুটি যাতে অনন্য আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।