আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামিআ সিদ্দিকিয়া’র কৃতি শিক্ষার্থী সম্বর্ধনা

আমার বাংলা বর্ণলিপি পাঠ এভাবেই শুরু। একুশের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। সৈয়দা মারহামা

আগামী বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ছাত্রছাত্রীদেরকে তৈরি করতে হবে আজকের শিশু আগামী দিনের কর্ণধার। তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আর জাতীয় ক্যারিকুলাম ও ইসলামী শিক্ষার সমম্বয়ে শিক্ষাদানের মাধ্যমে আগামী বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ছাত্রছাত্রীদেরকে তৈরি করতে হবে।

নগরীর উত্তর বালুচরস্থ জামিআ সিদ্দিকিয়া-এর কৃতি শিক্ষার্থী সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন। জামিআ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি গবেষক সৈয়দ মবনু’র সভাপতিত্বে এবং মাওলানা রেজাউল হক ও মাওলানা আব্দুল মুমিনের যৌথ পরিচালনায় গত ১৭ই জানুয়ারী সোমবার জামিআ মিলনায়তনে ২০১০ শিক্ষাবর্ষেও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বৃটেনের বার্মিংহাম আল-আমিন প্রাইমারী স্কুলের সেক্রেটারী মাওলানা মইন উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টুলটিকর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন বাবুল, বাংলাদেশের প্রচীনতম সাহিত্য পত্রিকা আল-ইসলাহের সম্পাদক সেলিম আউয়াল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হযরত শাহজালাল (র.) কে নিয়ে পি.এইচ.ডি গবেষক মাওলানা তুতিউর রহমান, লেখক মীর ফয়সল আলী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জামিআ সিদ্দিকিয়ার পরিচালক মাওলানা এনামুল হক নোমান। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মুফতি মনসুর আলী, বেলাল আহমদ, অভিভাকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা ফরিদ আহমদ, ফজলুল হক, দিলওয়ার হোসেন এবং ছাত্রদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাদিকুর রহমান।

কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ ওলিউর রহমান এবং সংগীত পরিবেশক করেন আস-সিদ্দিক শিল্পী গোষ্ঠির সদস্যবৃন্দ। কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মইন উদ্দিন বলেন, ছাত্রছাত্রীদেরকে উপযুক্ত শিক্ষাদানের মাধ্যমে নৈতিকতা সম্পন্ন একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য প্রয়োজন শিক্ষক, অভিভাবক সহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আর ছাত্রছাত্রীদেরকেও আগামী দিনে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন বলেন, শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেবে। ন্যাশনাল ক্যারিকুলামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষাদানের মাধ্যমে জামিআ সিদ্দিকিয়ার ছাত্রছাত্রীদেরকে আরো এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেলিম আউয়াল বলেন, জামিআ সিদ্দিকিয়া একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ কৃতকার্য হয়েছে এটা কোন সাধারণ কথা নয়।

এ প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে জাতির সুনাম বয়ে আনবে। সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ মবনু বলেন, পরিকল্পিতভাবে কোন কাজ শুরু করলে যে কোন কাজে সফল হওয়া যায়। আমরা দালানে নয়, বরং শিক্ষা উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে চাই। এজন্য সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করি। উল্লেখ্য যে, জামিআ সিদ্দিকিয়া-বালুচর-এর ছাত্রছাত্রীরা ২০১০ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী সার্টিফিকেট পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করে ৮০ভাগ প্রথম বিভাগে এবং ২০ ভাগ দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে।

(তথ্যসূত্র; দৈনিক সিলেটের ডাক, দৈনিক সংলাপ, দৈনিক সিলেটের মানচিত্র, দৈনিক কাজির বাজার, দৈনিক আলোকিত সিলেট। ১৮ই জানুয়ারী ০১১। )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।