ক্ষণকালের এ পৃথিবীতে সবচেয়ে সুস্পষ্ট ভবিষৎ "মৃত্যু"। তাই, এসো সে মৃত্যুকে মহান করে তুলি প্রতিদিন অন্তত একটি ভাল কাজের মধ্য দিয়ে।
আমার বাংলা মা
(ফেলানীর জন্য উৎসর্গ)
বাংলা মাকে পাঞ্জাবীদের ধর্ষণের সময় দাদারা সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল,
তাতে করে দাদারা আমাদের বন্ধু বনেছিল।
আজ দেখছি দাদারাও বাংলা মাকে ধর্ষণ করছে বন্ধু সেজে,
সেদিন বাংলার মায়েরা তাদের সম্ভ্রম বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছিল দাদাদের বাড়ীতে,
কিন্তু আজ দাদাদের পাশবিক নির্যাতনে প্রতিনিয়ত রক্তাক্ত হচ্ছে বাংলা মা।
যে দিকে তাকাই সেদিকেই দাদাদের বাড়ী,
আশ্রয় নিবার পথ যে খুঁজে পাচ্ছেনা আমার বাংলা মা।
তিন পার্শ্বে দেয়াল তুলেছ, তবু দক্ষিণের বাতাসে প্রশান্তি পেতে,
বঙ্গোপসাগরে মা আঁচল ছড়িয়ে দেয়, কিন্তু সে পানিপথেও লোলুপ দৃষ্টিপাত।
সেদিন মার গোয়াইনঘাটে রাখা ইউরেনিয়ামের গয়নার বাক্সটি ছিনিয়ে নিতে এসেছিলে।
দূতাবাসের নিরাপত্তার অজুহাতে বাংলা মায়ের ঘরে এসেছিল রঙ্গবাজ মাস্তানরা।
উলফাবাবুদের ধরতে মায়ের বাড়ীর শয়ন কক্ষে, বসিয়েছ র ব্রান্ডের গোপন ক্যামেরা।
তবে কি অনন্তকাল শ্লীলতাহানী করিবার লোভে সেদিন বন্ধু সেজেছিলে?
বর্ষার বানের জলে বাংলা মায়ের নগ্ন স্নান উপভোগ করিবার খায়েশ ছিল মনে?
বাংলা মায়ের ডান স্তন শুশে নিয়েছে দাদার জারজ সন্তান ফারাক্কা,
আজ তার গরীব সন্তানেরা পিপাসার্ত, দুর্বল, অনুর্বর, অর্ধমৃত, রোগাক্রান্ত।
বাম স্তন শুষে নিতে দাদাববুরা জন্ম দিতে চাচ্ছে আরেক জারজ টিপাইমুখ।
তোমাদের পিনাক বাবুদের ইভটিজিং আর কত সহ্য করবে আমার বাংলা মা?
সেদিন চাল ছিলনা বলে মা দাদাদের কাছে কিনতে চেয়েছিল,
ওরা রূপালী মাছ চাইলে, বাংলা মা শূন্য হাতে ফিরিয়ে দেননি।
কিন্তু তোমরা উপহাস করে বাসমতি চাল বেচতে চাইলে!
আর মোটা চাল যেটুকু দিয়েছিলে, তা থেকে পায়েছি চমৎকার দুর্গন্ধ ।
দাদাদের বাড়ীর টেলিভিশন-সিনেমা, গান-নাটকের শব্দদূষণের সংস্কৃতিতে,
বাংলা মায়ের সন্তানদের আলাদা করে চিনতে পারিনা আজকাল।
শুনেছি দাদাদের বাড়ীতে আমাদের টেলিভীশন নিষিদ্ধ,
তবে কি দাদাদের মনে বাংলা মায়ের সংস্কৃতি গ্রহণের ভয় বিরাজমান?
মার ছোট মেয়ে ফেলানীর বিয়েতে উপঢৌকন পাঠিয়েছ তারই অত্যাচারিত শবদেহ।
১৪বছরের ফেলানী জানতো তোমরা তারই মত মন যুক্ত মানুষ,
সে বুঝতোনা "বিএসএফ" "কাটাতাঁর" আর "সীমান্ত" শব্দাবলী।
সাড়ে চার ঘন্টা কাঁটাতারে ঝুলিয়ে নিশ্চিত করেছ বলি।
এভাবে আমার ভাইদের, ফেলানীর মত বোনদের
আর কত জীবন দিতে হবে ভিনদেশীদের হাতে?
তবে কি পাকরাই খোলস পাল্টে, বন্ধুত্তের বিশ্বাসকে পায়ে ঠেলে,
আপডেট ভার্সনে এসেছে আবার এ দেশের সীমানায়?
সবকিছু ঋণের কৃতজ্ঞতায় সয়ে যাচ্ছিলাম,
কিন্তু আমার আদরের ছোট বোন ফেলানীর ওপর,
যে ছোবল দিয়েছো, তা কেমন করে সয়ে যাব ভাই হয়ে?
তাই আজ থেকে আমি প্রতিবাদী হব, বাংলা মায়ের শক্তিতে ফুঁসে উঠব।
দাদাদের কোন পণ্য কিনবেনা, এ বাংলার দামাল।
টনক নড়বে দাদাদের বাণিজ্য মন্ত্রীর, রপ্তানীর কেন এ হাল?
দাদাদের গান শুনবে না এ বাংলার জোয়ান, গাইবে শুধু লালনের মরমী গান।
অবাক হবে দাদাদের সংস্কৃতি মন্ত্রী, ইন্ডিয়া শুনছে বাংলা মায়ের গান!
হিন্দি ভাষায় বলবো না কথা, করি আজ এ পণ,
ভাববে দাদারা, ওরাইতো দিয়েছিল ভাষার জন্য প্রাণ?
_____________________________________________
হীন্দুস্থান টাইমস এ ফেলানী হত্যা সম্পর্কে খবর ও কয়েকটি কমেন্টস
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।