সফল ব্লগার নয়, সত্যবাদী ব্লগার হওয়াই হোক আমাদের লক্ষ্য। আয়াত ১০:
তাদের অন্তঃকরণ ব্যাধিগ্রস্থ আর আল্লাহ তাদের ব্যাধি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। বস্তুতঃ তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন।
আয়াত ১১:
আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন
তারা বলে আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি।
আয়াত ১২:
মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলদ্ধি করে না।
বর্তমান জামাত শিবিরের কর্মকাণ্ড আর সূরা আল বাকারার এই তিনটি আয়াতের মধ্যে মিলগুলো দেখে অবাক হই। পুরা রাষ্ট্র একদিকে আর তারা একদিকে। নির্বাচনে সব মিলায়া ঠিকমত ১০ % ভোট ও যারা পায় না তাদের কেন এত আস্ফালন। এত আল্লাহর আইন আল্লাহর আইন করে তাহলে একটু আল্লাহর উপর ভরসা করতে পারল না। অবশ্যই আল্লাহ ন্যায় বিচার ই করবে।
এরকম একাট্টা হয়ে দেশে বোমাবাজি মারামারি হানাহানি করে কি লাভ?
পবিত্র কাবা শরিফ নিয়ে মিথ্যাচার, মসজিদে ঢুকে মারামারি, জায়নামাযে আগুন দেওয়া, মসজিদের গেইট ভাংচুর, নামায বাদ দিয়ে পুলিশের উপর হামলা, থানায় হামলা করে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা, মন্দিরে আগুন, মিছিলে নিজেদের কর্মীদের উপর গুলি, হরতাল, অবরোধ, সাংবাদিকদের উপর হামলা, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো, সাধারণ মানুষের জান-মালের উপর হামলা, অপপ্রচার, ক্রমাগত হত্যার হুমকি, মিথ্যা গুজব ছড়ানো, শহীদ মিনার ভাংচুর, জাতীয় পতাকায় আগুন এসব কি ইসলাম রক্ষা? এসব কি দেশ রক্ষা? এই সব ঘৃণ্য অপরাধ করতে কি তোমাদের বুক একটুও কাঁপে না? তোমরা ইসলাম নয়, যুদ্ধাপরাধী জামায়াতী ইসলামকে রক্ষা করার জন্য পথে নেমেছো। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী পুলিশের উপর হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে তোমরা দেশের সার্বভৌমত্বকে আক্রমন করেছো। একাত্তরে তোমাদের পূর্বপুরুষরা যেমন রাজারবাগ পুলিশ লাইনে হামলা চালিয়ে নারকীয় হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলো তোমরা তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করছো। আর কত? ভুলে যেও না এটা একাত্তর নয়, ২০১৩। ১৯৭১ সালে বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষকে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলো তোমাদের পূর্বপুরুষ।
ঠিক তেমনি তোমরা আজ আমাদেরকে নাস্তিক বলছো! যুদ্ধ ঘোষণা করেছো সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে!
মনে রেখো, বাংলা জেগে আছে, বাঙালী জেগে আছে সবখানে......। তোমাদের এই ঘৃণ্য কর্মকান্ড আর চলতে দেওয়া হবে না। এখনো বাঙালি তোমাদেরকে খুজে খুজে মারা শুরু করেনি কারণ তারা চায় তোমরা সঠিক পথে ফিরে আসো, তোমাদের হামলার জবাব দিতে আমরাও জানি। আমরা ভীরু-কাপুরুষ নয় যে তোমাদের হুমকী-ধামকী আর ধ্বংসযজ্ঞে ভয় পেয়ে যাবো। আমাদের ধৈর্যের বাধ ভেঙে দিচ্ছো তোমরা! সাবধান!! আল্লাহকে ভয করো, সঠিক পথে ফিরে আসো।
নয়তো বাঙালী তোমাদেরকে ক্ষমা করবে না। মাত্র নয় মাসে আমরা ৩০ লক্ষ আপন জন হারিয়েছি। সাড়ে চার লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছে তোমাদেরই পূর্বপুরুষদের হাতে। লক্ষ লক্ষ বাঙালী ঘর-বাড়ি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে! তারপরও তোমরা ৪২ বছর ধরে এই দেশে বসবাস করার সুযোগ পেয়েছো। শুধুমাত্র এই কারণেও তো বাঙালী জাতির উপর তোমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।
যেই সাঈদীর ফাঁসীর রায় হল তার গায়ে তো একটা সুতাও লাগলো না কিন্তু ৮০ জন মানুষ মারা গেল ২৪ ঘণ্টাও হয় নাই! সাঈদীর ছেলেরা কেউ তাদের বাবাকে রক্ষার জন্য রামদা, বন্দুক, লাঠি হাতে তোমাদের মিছিলের নেতৃত্ব দেয়নি। তারা আরামে এসির মধ্যে বসে তোমাদের লাশ গুনছে আর হাসছে! কাদের জন্য প্রাণ দিচ্ছো তোমরা? কিসের লোভে? জান্নাত? আরে বোকা, কোন হত্যাকারী, ধর্ষক, মিথ্যাবাদী জালিমের জন্য জান দিলে জান্নাত পাওয়া যায় না! তোমাদের পরিবারের কথা ভাবো, বাবা-মার কথা ভাবো। যে দেশে তোমরা জন্ম নিয়েছো, যে দেশের আলো-বাতাসে বড় হয়েছৌ সেদেশের বিরুদ্ধে যেয়ো না! তোমাদের কারণেই পুরা বিশ্ব ইসলামের দিকে আঙুল তুলে কথা বলার সাহস পেয়েছে। ইসলামকে তোমরা কলঙ্কিত করেছো। ভুলে যেও না আল্লাহ সব দেখছেন।
আমরা তোমাদের মতো ভন্ড ধর্ম ব্যাবসায়ী, রাজাকার, খুনী, ধর্ষকদের অনুসারী না। আমরা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর অনুসারী। আল্লাহ রাসূল আমাদের নেতা। তোমাদের জামায়াতে ইসলামীর জনক মওদুদীর সাথে কোন মুসলিমের পক্ষেই একমত হওয়া সম্ভব হয়নি কোনদিন। অন্ধ ভাবে ভন্ড নেতাদের অনুসরণ করো না।
ইসলামকে জানো, ইসলামকে মানো। ইসলাম কোন ঠুনকো ধর্ম নয় যে এক সাঈদীর ফাঁসিতে বিপন্ন হয়ে যাবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম মানবতার ধর্ম। ইসলামকে নিয়ে খেলো না। কারণ ইতিহাস সাক্ষী যারাই ইসলামকে নিয়ে খেলতে চেয়েছে তারাই ধ্বংস হয়েছে।
[উত্তাল মার্চের আজ প্রথম দিন। প্রচুর পাখির কিচির মিচির শুনতে পাচ্ছি। তবুও কেন জানি সকালটা খুব শান্ত ও নীরব মনে হচ্ছে। সবাই সতর্ক থাকুন, চোখ-কান খোলা রাখুন। কোন রকম গুজবে কান দেবেন না।
নিশ্চিত না হয়ে কোন তথ্য শেয়ার করবেন না। কোথাও নাশকতামূলক কর্মকান্ডের আভাস দেখলে সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।