আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেক্যুলারিজমের মানদণ্ডে ভারত মুনাফিক আর বাংলাদেশ পাক্কা ইমানদার



সেক্যুলারিজম একটি মতবাদ, বাংলায় যার অর্থ করা হয়েছে ধর্মনিরপক্ষতাবাদ। বিশিষ্ট জামাতি পণ্ডিত শাহ আব্দুল হান্নান তার এক সাক্ষাতকারে দাবী করেছেন , সেক্যুলারিজমের বাংলা অর্থ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ঠিক হয় নি। তাঁর বক্তব্যের মোদ্দা কথা হলো সেক্যুলারিজমের অর্থ ধর্মহীনতা। হান্নান সাহেবের এই বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন আমার এক বন্ধু যিনি বাম ধারার রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট। তার মতে সেক্যুলারিজমের অর্থ যদি ধর্মহীনতা করা হয় তাহলে ধর্মনিরপেক্ষতাও ঠিক আছে।

কারণ,যে কোনো দল করে না তাকে যেমন বলা হয় দল নিরপেক্ষ তেমনি যে কোনো ধর্ম মানে না তাকে বলা যেতে পারে ধর্মনিরপেক্ষ বা সেক্যুলার। সে অর্থে ধর্মনিরপেক্ষতা আর ধর্মহীনতার মধ্যে কোন অর্থগত অমিল নেই। কমিউনিজমের বাংলা করা হয়েছে সমাজতন্ত্র। অনেকেই মনে করেন কমিউনিজমের বাংলা হওয়া উচিত নাস্তিক্যবাদ। কারন কমিউনিজমে সৃষ্টিকর্তা বা স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার করা হয় না।

এই ভূমিকা অবতারনা করার পেছনে আমার উদ্দেশ্য হলো, বামধারার অনুসারী আমার বন্ধুটি একদিন বলেছিল,বাংলাদেশে মুসলিম সমাজ থেকে যারা কমিউনিষ্ট,কমরেড কিংবা সেক্যুলার হয় তারা সত্যিকার কমরেড বা সেক্যুলার হয়ে যায়। তারা মন থেকেই ধর্ম বিশ্বাস ঝেড়ে ফেলে দেয়। আর যারা ভারতীয় তারা কিন্তু এমন নয় । তারা তাদের ধর্মবিশ্বাস ঠিক রেখে,শুধু রাজনীতি চর্চার ক্ষেত্রে এসব মতবাদ গ্রহন করে। সেজন্য ভারতের সিনেমা-নাটকে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানকে অত্যন্ত আকর্ষনিয় করে তুলে ধরা হয়।

অপর দিকে বাংলাদেশের চলচিত্র এবং শিল্প-সাহিত্যের অঙ্গন যেহেতু কমিউনিষ্ট কিংবা সেক্যুলারদের হাতে, তাই চলচিত্র,শিল্প-সাহিত্যে ধর্মকে সেকেলে বা পশ্চাদপদ হিসেবেই তুলে ধরার চেষ্টা হয়। তার এই ব্যাখ্যায় আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। এরপর থেকে যতই এ বিষয়টি লক্ষ্য করার চেষ্টা করেছি ততই এর পক্ষে প্রমাণ পেয়েছি। আজ ওয়েবসাইটে একটি খবর পড়ে বামপন্থী আমার বন্ধুটির কথা আবারও আমার কাছে সত্য প্রমাণিত হলো। গত কদিন আগে নয়াদিল্লিতে সরকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে হঠাৎ করে একটি মসজিদ ভেঙ্গে দিয়েছে।

হাজার হাজার মুসলমানের প্রতিবাদ গ্রাহ্য না করে সরকার শেষ পর্যন্ত ওই মসজিদটি সম্পূর্ণ গুড়িয়ে দেয়। ভরতের সেক্যুলার সরকার সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় নিদ্বির্ধায় গুড়িয়ে দিতে পারলেও বাংলাদেশের সেক্যুলার সরকার কিন্তু এমন কাজ কখনোই করবে না। (সূত্র এখানে পাওয়া যাবে)

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।