seremos como el Che
মুভির নামটি শোনার সাথে সাথে যার নামটি সবার মনে উঁকি দেবার কথা তার নাম আলেকজান্ডার ডুমা। ‘দ্যা কাউন্ট অফ মন্টে ক্রিস্টো’কে বলা হয় তার অন্যতম সেরা একটি গল্প। এটা তিনি লেখেন ১৮৪৪ সালে। কিন্তু দেড়’শ বছরের বেশী কেটে গেলেও এই গল্পটির আবেদন মোটেও কমেনি বিশ্বের তাবৎ পাঠকদের কাছে। বরং তার গল্প নতুনরূপে ধরা দেয় বর্তমান সময়েও।
এই গল্পকে মুভির রূপ দেওয়া এটাই প্রথম নয়। প্রথম মুভিটি তৈরী হয় ১৯০৮ সালে যেটা ছিল নির্বাক চলচিত্র। এরপর একই নামে এই ফিল্মটি তৈরী হয় মোট দশবার। ২০০২ সালেরটি হল এর দশমতম সংস্করণ। এটির ডিরেক্টর ছিলেন কেভিন রেনল্ডস্।
অভিনয়ে ছিলেন জেমস্ কেভিজেল(দ্যা প্যাশন অফ দ্যা ক্রাইষ্ট), গাই পিয়ার্স(মিমেন্টো), রিচার্ড হ্যারিস(গ্ল্যাডিয়েটর, আনফরগিভেন)।
এই মুভিটিকে এক কথায় বলা যায় একটি প্রিজন ব্রেক কাহিনী। কিন্তু এর সাথে মানবিক নানান ঘটনার মিশেল ঘটার ফলে এটা হয়ে উঠেছে একটি প্রিজন ব্রেকের থেকেও বেশী কিছু। পুরোটা মুভিই বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট অবাক করে দেওয়া উপাদানে ভর্তি। যারা আগে এটা দেখেননি বা গল্পটা জানেন না তারা কল্পনাও করতে পারবেন না যে পর মূহুর্তে কি ঘটতে যাচ্ছে।
এডমন্ড দান্টেস্ আর ফারনার্ড মন্ডেগো দুই নাবিক ছিল ঘনিষ্ট বন্ধু। কিন্তু এডমন্ডের প্রেমিকাকে না পাওয়ার ব্যর্থতা আর তার জাহাজের ক্যাপ্টেন হয়ে যাওয়ার সাফল্যে ফারনার্ডের ঈর্ষান্বিত হওয়ার মধ্য দিয়েই চলতে শুরু করে এই মুভিটি। ছোট্ট একটি সুযোগ পেয়েই বিভিন্ন কলা-কৌশলে এবং এক উচ্চভিলাষী বিচারক ভিলেফোর্টের সাহায্যে দেশদ্রোহীতার অভিযোগ এনে এডমন্ডকে একটি দূর দ্বীপের জেলখানায় পাঠিয়ে দিতে সমর্থ হয় সে। সাথে সাহায্য পায় সেই জাহাজের ফার্স্ট মেট ড্যাংলার্সের। পরে সে এডমন্ডের প্রেমিকা মার্সেডেসকে বলে যে তার প্রেমিকের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে।
জেলখানায় কাটতে থাকে এডমন্ডের কষ্টকর জীবন আর মনে বেঁচে থাকে প্রতিশোধের আগুন। পাঁচ বছর পর তার পরিচয় ঘটে আরেক কয়েদী আব্বে ফারিয়া’র সাথে। ফারিয়া ছিল নেপোলিয়নের সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক। তারা দু’জন মিলে সুড়ঙ্গ তৈরী করে পালানোর চেষ্টা করতে থাকে, কিন্তু তারা কোন আশা খুঁজে পায় না। এই সময়ের মাঝে এডমন্ড লেখাপড়া এবং অস্ত্র চালনায় পারদর্শী হয়ে ওঠে।
হঠাৎ একটি দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ফারিয়া’র। পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এডমন্ডের সামনে।
এডমন্ড কি তাহলে এবার পালাতে পারবে? ফারিয়া তাকে যে গুপ্তধনের কথা বলেছে সে কি পারবে সেটা খুঁজে বের করতে? ফারনার্ড, ড্যাংলার্সের আর ভিলেফোর্টের উপর সে কিভাবে প্রতিশোধ নেবে? তার প্রেমিকা মার্সেডেস এখন কেমন আছে? এসব সহ আরও বহু প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আপনাকে দেখতে হবে মুভিটি। টরেন্ট থেকে ডাউনলোড করতে চাইলে তা করতে পারবেন এখান থেকে । আমি নিশ্চিত যে মুভিটি আপনাদের সবারই ভাল লাগবে।
এটাই হয়ত আমার এই বছরের শেষ লেখা। সবাইকে ইংরেজী নতুন বছরের শুভেচ্ছা। হ্যাপি নিউ ইয়ার টু থাউজ্যান্ড ইলেভেন। সবাই ভাল থাকুন এই কামনা।
৩০শে ডিসেম্বর, ২০১০, খুলনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।