হাতছানি দেয় দূরে কেউ আমারে
আমরা টাকার উপর কেন লিখি! এটা কিন্তু আসলে উত্তম মানুষের কাজ না। যারা টাকার উপর লেখে তারা অধমের চেয়েও নিম্নে পর্যায়।
টাকার উপর লিখা আজকাল বেড়েই চলেছে!! এই যেমন
ডেমো: ১
সেই দিন ৫ টাকা একখান নোটে লেখা স্পষ্ট অক্ষরে সুইটি+ কমল, ০১৯১৯২৬২৫২৮ লিখা রয়েছে। এটা গেলো টাকার একপিঠ অপর পিঠে আরেক জনের হাতের লেখা- আমি তোমাকে ভালোবাসি, ময়না। তুমি এখন কোথায়? এই কথা টি!
টাকাটাকে তারা খাতার পৃষ্ঠার মত ব্যবহার করছি! মনে হয় বাবা দাদার সমপত্তি ইচ্ছে মত ব্যবহার কর!!
যদি আমি তাদের প্রশ্ন করি এত জায়গা থাকতে জাতীয় সম্পদ টাকার উপর কেন লিখতে হবে! আপনাদের কি মনে হয় তারা সঠিক উত্তর দিতে পারবে!
জরিপ এ বের হলাম- আমার এক বন্ধুর সাথে এ ব্যাপরে আলোচনা করলাম।
সে বলল- আমার এ রকম একটা বন্ধ নতুন টাকার উপর লেখে। আমি তার সঙ্গে দেখা করে জিগ্ঞেস করলাম-তুমি এটা কেন কর- জবাবে সে বলল আমার গার্লফ্রেন্ড আমাকে ছেড়ে আরেকজনকে ধরেছে! তাই আমি ওর মোবাইল নাম্বার সব জায়গায় ছড়িয়ে দেব!
এজন্য দেশের সম্পদ নষ্ট করতে হবে! আমার জিনিস আমি নষ্ট করব আপনার কি? রীতিমত সে রেগে গেল এবং চলেও গেল!
আমি বুঝতে পারলাম না
- কিছু কতিপয় লোক রয়েছে তাদের দেশের সম্পদের প্রতি কোন প্রকার মায়া নেই। তারা শুধু নষ্ট করতেই পারে কখনো গড়তে পারে না।
- তারা অপব্যবহার করতে পারে স্বব্যবহার করতে পারে না।
- তারা ধ্বংস করতে পারে কিন্তু তৈরী করতে পারে না।
ডেমো : ২
এক আংকেলের বিল ৩০ টাকা হয়েছে, সে আমাকে ২০ টাকার এক নোট এবং ১০ টাকার এক নোট দিল। ২০ টাকার এক নোট নিয়ে হঠাৎ চোখ পরলো টাকাই কি যেন লিখা। ভালো করে খেয়াল করলাম লেখা আছে- আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি, আমার জান ইমতি!!
আমার সবার কাছে প্রার্থনা ও অনুরোধ- আপনারা কেউ টাকার উপর লিখবেন না! কারন এটা আমাদের সম্পদ। নষ্ট করলে আমাদের ক্ষতি!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।