শিরোনাম দেখে অনেকে হয়ত লেখটি মুছে ফেলার জন্য মডুদের কাছে আবেদন করা শুরু করেছেন।
একই কাজ আমিও করতাম। কিন্তু এই কথাটি যদি কেউ বুকের উপর নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তখন কি করবেন। অফিস থেকে ফিরছিলাম। কয়েকজন তরুণ আমাকে ক্রস করছিলো।
তাদের একজনের টি শার্টের উপর লিখা আলোচ্য বাক্যটি। গেন্জিটা ছেলেটি নিজে বানায় নি। কিনেছে। সুতরাং এই গেন্জি একটা নয় আরো অনেক তৈরি হয়েছে। সেগুলো এরকম অনেকে বুকে করে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই। তাদের বাবার সমনে। মায়ের ও বোনের সামনে। বড় ভাই, মুরুব্বিদের সামনে। এবং বন্ধুদের সাথে।
কেউ নিশ্চয়ই আপত্তি করেনি। আধুনিক যুগ। বড় স্বাধীন জামানা।
উপরের ঘটনা থেকে আমরা বর্তমান যুগের তরুণদের সম্পর্কে একটা ধারণা পেতে পারি। আমাদের তরুন সমাজ কোন দিকে যাচ্ছে।
আড্ডা গল্প আর গানের দিকে। ভোগ বিলাসিতা আর মাহের দিকে। মজা তুই কর্ ওরে মজা তুই কর্। আমরা এখন পুরোপুরি পুঁজিবাদী। পুজিঁবাদের মানেই হোলো মুনাফা আর ভোগ।
এ যুগের আধুনিক তরুণ সমাজ তাই পুরোমাত্রাই ভোগবাদী। ইহজাগতিক। পুজিবাদের বিকাশের সাথে আমরা হারিয়েছি আমাদের মানবিকতা। আমাদের তরুণরা তাই মগ্ন কেবল গান আর বাজনা নিয়ে। মোবাইল আর আড্ডা নিয়ে।
কেবল ঠাট্টা, হাসি আর গান। এই গুলো দোষের না। ঝালমুড়ি খাওয়া দোষের না। কেউ যদি ভাত বন্ধ করে ঝালমুড়ি খায়?
দেশ নিয়ে আমাদের কোন আগ্রহ নাই। দেশপ্রেম সস্তা রাজনৈতিল বুলি।
সবকিছুতেই বাণিজ্য। স্বার্থ। আমরা কেবল নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। অন্যকে নিয়ে ও। শাহরুক, ও-কা ও-কা শাকিরা কে নিয়ে।
আমরা শহীদ মিনার ফুলের বন্যায় ভাসিয়ে দিই। আমরা একদিন দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হই। না ওই দিন আমাদের একটা ফুর্তির দিন। আমরা ফুর্তি করতে শহীদ মিনার যাই। আমাদের একটু ও খারাপ লাগে না।
সারারাত মোবাইলে আমরা কথা বলি। নানা অঘটন ঘটাই। আর বিদেশি কোম্পনি গুলো আমাদের ব্যস্ত রাখে আড্ডা গল্প আর গানের মাঝে। আমাদের বলে এগুলোতে হারিয়ে যেতে। আমরা হারিয়ে যাই।
জীবন বোধ আমাদের নাই। আছে বলে দরকার মনে করি না।
আমাদের তারুণ্যের বন্যায় পলিমাটি নাই। কেবল ধ্বংসের বন্যা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।