আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুড়িগ্রামের বখাটে মজিদুল ও হোস্টেল ছাত্রীরা



কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ হোস্টেলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার সময় মজিদুল নামের এক বখাটেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে কলেজ হোস্টেলের ছাত্রীরা। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার সময় তারা একজোট হয়ে ধাওয়া করে আটক করেএই বখাটেকে। পরে তারা ওই বখাটের তাৎক্ষণিক শাস্তির দাবিতে থানা ঘোরও করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে মজিদুলকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। মজিদুল একটি পরিবহনের চালক হিসেবে কাজ করত, এখন বেকার। কাজ নেই তাই হয়তো মেয়েদের উত্ত্যক্ত করাকেই সে কাজ হিসেবে বেছে নিয়েছিলো।

সে জন্যে সে রীতিমতো রুটিন মাফিক ছাত্রী হোস্টেলের পেছনে মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও সাব রেজিস্ট্রার অফিসের ছাদে উঠে মেয়েদের লক্ষ্য করে নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দেওয়াসহ অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতো। তার রুটিন অনুযায়ী সেদিনও সে দুপুর ১টার দিকে ওই ছাদে উঠে একইভাবে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে হোস্টেলের ৭০-৮০ জন ছাত্রী জোটবদ্ধ হয়ে তাকে ধাওয়া করে। ওই সময় মজিদুল মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বাথরুমে গিয়ে লুকায়। সেখান থেকে তাকে ধরে এনে পুলিশে সোপর্দ করে ছাত্রীরা।

এরপর মজিদুলের বিচার দাবি করে ছাত্রীরা মিছিল করে থানা চত্বরে গিয়ে অবস্থান নেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এসে ঘটনাস্থলে গিয়ে আদালত বসান এবং ওই আদেশ দেন। মজিদুল হয়তো ভেবেছিলো প্রতিদিনের মতো সেদিনও এই ছাত্রীরা মেয়ে হয়েই রুমে বসে থাকবে। এই মেয়েরা যে মানুষ হয়ে উঠবে তা হয়তো সে ভাবতে পারেনি। এভাবে যদি সব মেয়েরা এগিয়ে আসে যাদি প্রতিরোধ গড়ে তোলে একদিন না একদিন মুক্তি মিলবেই।

প্রয়োজন সাহস, প্রয়োজন এগিয়ে চলা। পিছু হটা নয়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।