জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ঠ, মুক্তি সেখানে অসম্ভব
লেখাটি পড়ার আগে আপনাদের কে একটু কষ্ট করতে হবে। আপনাদেরকে মনে করতে হবে যে আমি খুব বিখ্যাত একজন কবি যার আছে বিশ্ব জোড়া খ্যাতি,যশ, সম্মান ইত্যাদি। এক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ না ভাবলেও তার কাছাকাছি মাপের ভাবতে হবে। এবার নিচের লেখাটি পড়ুন.......
আমার মা-বাবা, ভাই-বোন, স্বজন-পরিচিতজন, বন্ধুবান্ধব, সাংবাদিক, মিডিয়া, দেশবিদেশের অনেক বিখ্যাত মানুষ, একটি প্রশ্ন করতে করতে আমার জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে। তা হল ‘আপনি বিয়ে করবেন কবে ?’ এই একটি প্রশ্নের উত্তর অনেক দিন এড়িয়ে গেছি কিন্তু আর সম্ভব নয়।
আর তাই লিখতে হচ্ছে।
হ্যা আমার বিয়ে করা প্রয়োজন তবে শুধুমাত্র তা শারীরিক প্রয়োজনে এবং বংশ বিস্তারের প্রয়োজনে। কিন্তু প্রথমেই বলেছি যে আমি একজন বিশ্ববিখ্যাত কবি। কবিতার বিষয়বস্তু নিয়ে রাত ১২টার পর থেকে ধ্যান করতে শুরু করি এবং তা লিখতে শুরু করি রাত ৪টার পরে। আমি অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু রাত ৪টার আগে আমার কবিতা লিখা শুরুই হয়না ।
কিন্তু কথা হচ্ছে আমি যদি সারা রাত কবিতা লিখেই কাটিয়ে দেই তবে আমাকে কে বিয়ে করবে ? বা বিয়ে করার পর কয়দিন আমার সাথে থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কিন্তু আমার কবিতা লিখতে হবেই কারন কবিতা আমার মনের এবং দেহের খোড়াক যোগায়। কবিতা মনের খোড়াক হতে পারে কিন্তু দেহের খোড়াক হবে কি করে?-এ প্রশ্নটা আপনার মনে উঁকি দিচ্ছে। আমাকে গাঁজাখোর ভাববেন না , কারন আমি একজন কবি এবং কবিতা বিক্রি করেই আমি খাই। সুতরাং কবিতা আমার দেহের এবং মনের খোড়াক।
কিন্তু বিয়ে করাও যে প্রয়োজন। এর পিছনে দুটি কারন রয়েছে। প্রথমত, এপৃথিবী কে তো কিছু দিতে হবে। শুধুমাত্র পৃথিবী থেকেই সব নিয়ে নিব কিন্তু তাকে কিছুই দিবনা এমন স্বার্থপর মানুষ আমি নই। বিয়ে যেহেতু করতেই হবে, তাই আমার টার্গেট- এ পৃথিবীকে অন্তত ‘এক ডজন’ সৃষ্টির সেরা জীব অর্থাৎ মনুষ্য সন্তান উপহার দিয়ে যাব।
তবে এক্ষেত্রে পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় ঝামেলা র্সৃষ্টি করতে পারে। তবে আমার মহৎ উদ্দেশ্যের কথা জানলে তারা ঝামেলা করবে বলে মনে হয়না। এই এক ডজন আশরাফুল মাকলুকাতদের কে নিয়ে একটি নতুন ক্রিকেট দল তৈরি করব যা আমাদের জাতীয় ক্রিকেট দলের আশরাফুলদের মত হবেনা । কিন্তু ক্রিকেট দলে তো ১১জন খেলোয়ার খেলে তবে এক ডজন কেন ? আরে বোকা, ১ জন এক্সট্রা রাখলাম।
দ্বিতীয়ত, সারা জীবন ইতিহাস বইয়ে পড়ে এসেছি যে ......যখনই কোন বীর কিংবা রাজাদের কথা বলা হয় তখন শুরুটা হয় এভবে- ‘রাজা মদন কুমার ছিলেন শৌর্যবান, বীর্যবান ইত্যাদি।
যেহেতু আমি একজন বিখ্যাত কবি সেহেতু এ পৃথিবী আমার শৌর্যের পরিচয় পেয়েছে, কিন্তু বীর্যবান হিসাবে আমার কোন পরিচয় থাকবেনা তা তো হতে পারেনা । তাই আমাকে বীর্যবান হিসাবে পরিচয় করার জন্য এক ডজন সন্তান উৎপাদন করা অত্যন্ত জুরুরী।
উপরোক্ত লেখাটি সুস্থ মস্তিম্কে, স্ব-জ্ঞানে , স্বইচ্ছায় পড়ে যদি কোন স্বহুদয়বান নারী আমাকে বিয়ে করতে রাজি হন- তবে স্বস্থান থেকে বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ দিবনে। এই অধম বান্দা হাজির থাকবে। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।