অনেকগুলো পোস্ট ড্রাফটে নিলাম বিশেষ কারণে
গতপর্বে আমি তাপের একটি definition বলেছিলাম। অবশ্য তাপ বিষয়টা সবাই মুটামুটি বোঝেন বলেই মনে হয়। তাই এইবারে আসল কথায় এগোই। কোন জিনিস ঠান্ডা হবার অর্থ হল সেখানে এই বিশৃংখলা কমে যাওয়া। কিন্তু তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র মতে এটা কখনোই সম্ভব না।
সচেতন পাঠক মহলে প্রশ্ন উঠতে পারে ,তাহলে ফ্রিজ (refrigerator) কিভাবে জিনিস ঠাণ্ডা করে?? ফ্রিজের পানির বোতলের পানিকে জমে বরফ হওয়ার দৃশ্য সকলেই দেখেছেন। তবে ফ্রিজের এই জন্য কিছু ‘কাজ’ করতে হয়। ফলে তখন ফ্রিজের চারপাশে তাপীয় ব্যবস্হ্যার বিশৃংখলা বেড়ে যায়।
সহজে বোঝানোর জন্য বলা যায় যে ,১. কাচের গ্লাস টেবিল থেকে ভেঙ্গে খান খান হতে পারে, কিন্তু ভাঙ্গা কাচের টুকরা কখনোই জ়োড়া লেগে গ্লাস হয়ে টেবিলে উঠে যেতে পারে না ।
২. বনে দাবানলে সব গাছ ছাই হয়ে যেতে পারে।
কিন্তু চুলার ছাইকে তড়তড়িয়ে গাছে পরিণত হতে আপনি কখনোই দেখবেন না ।
অর্থাৎ বিশৃংখলাই যেন মহাসত্য। এভাবেই মহাবিশ্ব এক বিশৃংখলার দিকে রওনা হয়েছ যা সব বৈজ্ঞানিকই মেনে নিয়েছেন।
আপনার নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে কেন এই সূত্রকে এত গুরুত্ত্ব দেয়া হছে?? আসলে আমাদের কমন সেন্সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এই সূত্রের কোন valid exception আজো পাওয়া যায়নি। তাপগতিবিদ্যার উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে আধুনিক পদার্থবিদ্যা, রসায়ন , engineering সহ বিজ্ঞানের প্রায় সকল গুরুত্ত্বপূর্ণ শাখা।
আসলে Experimental truth হিসেবে তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র কে সবাই মেনে নিয়েছে ।
এবার আসা যাক বিবর্তনবাদ এর দিকে । বিবর্তনতত্ত্ব মতে , জেনেটিক মিউটেশনের ফলে প্রাপ্ত গুণাবলীর কারণে একটি জীব তার পূর্বসুরী কিংবা সমসাময়িক একই ধরণের জীব থেকে অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন হয়ে পড়ে। ফলে তার বেচে থেকে বংশবৃদ্ধি করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ ধরণের উন্নত জীব ধীরে ধীরে সংখ্যায় বেড়ে যায় ।
( উধাহরণ হতে পারে, মেরু এলাকায় বরফের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে হলে গায়ের রং সাদা হলে ভাল হয়। তাই বিবর্তন এর ফলে মেরু ভালুকের রং সাদা হয়ে গেছে । )। এক পর্যায়ে তারা অন্য প্রজাতিতে পরিনত হয়, হয়ত লক্ষ লক্ষ বছরে ।
অর্থাৎ এ তত্ত্ব অনুসারে বলা যায় যে , আদিম পৃথিবীতে প্রথমে এককোষী জীবের উন্মেষ ঘটে।
তারপর ধীরে ধীরে তারা শতকোটি বছরের বিবর্তনের ক্রমধারায় বহুকোষী জীবের বিকাশ ঘটে। বহুকোষী এওহেন জীব প্রতিকূল পরিবেশে বিশেষ সুবিধা পেয়ে টিকে যায় এবং ক্রমবিকশিত হয়। এক পর্যায়ে বানর সদৃশ (তার মাঝে মানুষের কিছু বৈশিষ্ট্যও ছিল হয়তো)কিছু জীব থেকে বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন ধরণের বান্দর , শিপ্পাঞ্জি ও মানবের উত্থান ঘটে।
বানর mentos এর এড এর মত একলাফে মানুষ হয়া যায় এমন দাবি অবশ্য এনারা করেন না ।
বি…দ্র…
১. বিবর্তনবাদ নিয়ে আরো ব্যাখ্যা করতে চাইলে এর supporter রা নিচে কমেন্ট আকারে দিতে পারেন।
২. সাধারণ পাঠকের সুবিধার্থে জেনেটিক মিউটেশন আগামি পর্বে ব্যাখ্যা করার আশা করছি।
৩.অসম্পূর্ণ জবাবও তখন দেব বোধকরি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।