সাধারণ মানুষ যার জানার কিছু ইচ্ছা আছে।
পূর্ব প্রকাশের পর।
পুরুষের গনোরিয়া রোগ।
গনোকক্কাস gonococcus নামক জীবানু দ্বারা এই রোগ হয়ে থাকে। যাহার সহিত সঙ্গম করা হয় তাহার এই রোগ থাকিলে এই রোগ দেখা দিতে পারে ।
সঙ্গমের দুই হইতে দশদিনের মধ্যে লক্ষন প্রকাশ পায়। পুরুষ হতে স্ত্রী, আবার স্ত্রী হতে পুরুষ যে কউ আক্রান্ত হতে পারে। পুরুষাঙ্গের মাথায় প্রথম চুলকায় ও লাল হয়ে উঠে। একটু আঠালো বস্তু পুরুষাঙ্গের মাথায় দেখা দেয়। ক্রমে উহা ঘন পুজ Pus রূপে দেখা দেয়।
পুরুষাঙ্গের মধ্যস্থিত ইউরেথ্ রা Urethra দুই একদিনের মধ্যে আক্রান্ত হতে পারে। প্রসাবের সময় জ্বালা যন্ত্রনা হয়। সাধারণত জ্বর জ্বর ভাব থাকে। কুচকির গ্ল্যান্ডগুলি সামান্য ব্যাথা যুক্ত হতে পারে। পুষাঙ্গের মধ্যস্থিত লিটারস Litter’s ও কাউপার Cowper গ্ল্যান্ড গুলি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
পশ্চাৎ ইউরেথ্ রা,যাহা পুরুষাঙ্গের মুল হতেমুত্র থলি পর্যন্ত বিস্তৃত ও আক্রান্ত হতে পারে। ইহা আক্রান্ত হলে বার বার প্রসাবে বেগ হয়এবং প্রসাবের শেষ দিকে একটু রক্তের ছিটা দেখা দিতে পারে। আর এই অবস্থায় মল দ্বারে সম্মুখে ব্যাথা হতে পারে। এই রোগ বিস্তার লাভ করে প্রোষ্টেট গ্ল্যান্ আক্রান্ত হতে পারে। ইহা আক্রান্ত হলে মল দ্বারের সম্মুখে ব্যাথা অনুভত হয় এবং মল ত্যাগ করার সময় ব্যাথা বৃদ্ধি পায়।
সেমিনাল ভেসাইকল আক্রান্ত হলে ব্যাথাযুক্ত বীর্যপাত হবে ও উহাতে রক্ত মিশ্রিত থাকবে। এপিডিডিমিষ আক্রান্ত হতে পারে অথবা মুত্র থলি অধিক ক্ষেত্রে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তখন বার বার প্রসাব হয় এবং প্রসাবের শেষ দিকে ব্যাথা অনুভূত হয়। প্রোষ্টেট গ্ল্যান্ড ও সেমিনাল ভেসাইকল আক্রান্ত হলে দীর্ঘদিন ধরে রোগ চলতে থাকে। এই রোগ পুরাতন হলে কখনো কখনো অত্যাধিক পরিশ্রমের পরে সকাল বেলা ঘন সাদাটে একটু পূজ দেখা দিতে পারে।
মল ত্যাগের রাস্তায় আঙ্গুল দ্বারা প্রোষ্টেটকে মর্দ্দন করিলে উহা হতে যে নিঃসরণ বা সিকরেশন বাহির হয় উহাকে অনুবীক্ষন যন্ত্রের সাহায্যে দেখিলে গনোরিয়া জীবানু দেখা যায়। উপরোক্ত যাবতীয় লক্ষন গুলো ঐ সকল রোগীর মধ্যে পাওয়া যায় যাহাদের চিকিৎসা অনেক দিন বিলম্ব ঘটে।
নারীদেরগনোরিয়া...........................................................................................................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।