'জীবন' হলো এক কাপ গরম চা আর একটা জ্বলন্ত বেনসনের মতো। গরম চা একসময় জুড়িয়ে যাবে, বেনসনের তামাকও পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।
পর্ব-১
পর্ব-৩
কালিমপং যাবার আগে ওয়েবসাইটগুলোতে ব্যাপক পড়ালেখা করেছিলাম। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেটে একটা ভাল পেইজ পেলাম । তবে একটা ব্যাপার আগে থেকেই জানিয়ে রাখছি, ওয়েবসাইটগুলোতে যেসব হোটেলের সন্ধান পাওয়া যায়, ওগুলো বেশ এক্সপেনসিভ।
অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন, আগে থেকেই হোটেল রুম বুক করে যাওয়াটা নিরাপদ, কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলে, ওখানে পৌঁছানোর পর একটা না একটা ব্যবস্থা হয়ে যায়।
কালিমপং হনুমান মন্দির
শিলিগুড়ি শহরের পানির ট্যাংকির কাছ থেকে গ্যাংটক (সিকিমের রাজধানী), কালিমপং -এর জীপগুলো ছাড়ে। জনপ্রতি ৮০ রুপি করে নেয়। একটা জীপে ১২ জন করে যাওয়া যায়। আর নিজে পুরো গাড়ি (জীপ অথবা মারুতি) রিজার্ভ করে গেলে কমপক্ষে ২০০০-২৫০০ রুপি পড়ে যাবে।
অবশ্য বাসেও যাওয়া যায় কালিমপং। ওই পানির ট্যাংকি থেকে আরও এগিয়ে গেলে বাস টার্মিনাল।
কালিমপং দূর্গা মন্দির
আমি রওনা দিয়েছিলাম দুপুর ৩ টার দিকে জীপে অন্যান্য যাত্রীদের সাথে শেয়ারে। পাহাড়ের আঁকা-বাঁকা রাস্তার অসাধারণ দৃশ্য দেখতে দেখতে কালিমপং পৌঁছলাম সন্ধ্যা ৬ টায়। বাস টার্মিনালে নেমে দেখি প্রচন্ড শীতে কাঁপছি।
সময়টা অক্টোবর ২০১০ এর শেষ দিকে। যাবার সময় দু'জন নেপালীর সাথে বেশ খাতির হয়ে গিয়েছিল। তারাই আমাকে ৩৫০ রুপি প্রতি রাতের জন্য একটা গেস্টহাউজ ঠিক করে দিল থাকার জন্যে। কেননা ওই সময়টিতে এত বেশি ট্যুরিস্ট থাকে যে, হোটেলে জায়গা পাওয়াটা বেশ কঠিন একটা ব্যাপার এবং খরচটাও বেশি। সকাল, দুপুর আর রাতের খাবার ওই গেস্টহাউজের নিচের রেস্টুরেন্ট-এই খেলাম।
কালিমপং ভিউ পয়েন্ট
কালিমপং ডেলো পার্ক
কালিমপং বৌদ্ধ মনেস্টারি
পরদিন সকালে একটা মারুতি গাড়ি ভাড়া করে নিলাম একাই। ৯ টি স্পট দেখাবে বললো ড্রাইভার। কিন্তু রবিবার সরকারী ছুটি থাকায় মিউজিয়ামটা বাদ পড়ে গেল। যাহোক, একে একে গেলাম বৌদ্ধ মন্দির, হনুমান মন্দির, দূর্গা মন্দির, ডেলো পার্ক, আর্মি ভিউ পয়েন্ট, বৌদ্ধ মনেস্টারি, অর্কিড এর বাগান ইত্যাদি। রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল সেদিন।
ড্রাইভার বললো, কালিমপং হচ্ছে স্কুল-এর শহর। সব স্কুলগুলো সামার ভ্যাকেশন শেষে ওইদিনই খুলেছে। আর এজন্যে জ্যাম। তবে সব জায়গার মধ্যে ডেলো পার্ক-এ ভাল লেগেছে বেশি। ছবির মতো সুন্দর একটা জায়গা।
ঢুকতে ভারতীয়দের জন্য ১০ রুপি লাগে। ডেলো পার্কে আমি মেঘের মাঝে হেঁটেছি।
গোর্খাল্যাণ্ড-এর এই শহরটির সাথে দার্জিলিঙ এর অনেক মিল খুঁজে পেলাম। বেশিরভাগ নেপালী অধ্যুষিত এ জায়গাটিতে 'ট্যুরিজম' হচ্ছে স্থানীয়দের প্রধান পেশা। তবে আরও বেশি সৌন্দর্য দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে 'লাভা'।
হোটেলের নেপালী মালিকের থেকে জেনে নিলাম কিভাবে লাভা যাওয়া যাবে। তিনিই আমাকে ৭০০ রুপি প্রতিদিনের জন্যে একটি হোটেল ঠিক করে দিলেন লাভাতে। পরদিন রওনা করলাম 'মেঘ-পরী' লাভাতে।
পর্ব-৩
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।