আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুভি রিভিউঃ দ্যা শশ্যাঙ্ক রিডেম্পশন(১৯৯৪)

seremos como el Che
১৯৯৪ সালে ‘ফরেষ্ট গাম্প’ মুভির তুমুল জনপ্রিয়তার নীচে চাপা পড়ে যাওয়া দারুন একটি মুভি ‘দ্যা শশ্যাঙ্ক রিডেম্পশন’। রেডিও টাইমস্‌ এর জরিপ মতে এটা হল এমন একটি শ্রেষ্ঠ মুভি যেটা একটিও অস্কার পায়নি। জেলখানার কাহিনী নিয়ে অনেক মুভিই তৈরি হয়। এই মুভিটিতে এমন কিছু উপাদান আছে যা এটাকে অন্যগুলোর থেকে আলাদা করেছে। মুভিটির কাহিনী নেওয়া হয়েছে ষ্টিফেন কিং এর লেখা নভেল ‘রিটা হ্যায়র্থ এ্যান্ড শশ্যাঙ্ক রিডেম্পশন’ থেকে।

এই মুভিটির ট্যাগলাইন আমার দেখা অন্যতম সেরা ট্যাগলাইনঃ Fear can hold your prisoner. Hope can set you free. মুভিটির কাহিনীর মূল নায়ক অ্যান্ড্রু ডুফ্রেন্স, একজন ব্যাংকার। তাকে দোষী সাবস্ত্য করা হয় তার স্ত্রী এবং তার প্রেমিককে খুন করার অপরাধে। দেওয়া হয় যাব্বজীবন কারাদন্ড। প্রেরণ করা হয় শশ্যাঙ্ক প্রিজনে। সেখানকার ওয়ার্ডেন খুব কড়া মানুষ।

আর কারনে অকারনে কয়েদিদের অত্যাচার করতে দ্বিধা করেন না তার ডান হাত গার্ডদের ক্যাপ্টেন হাডলি। এখানে এসে অ্যান্ড্রুর পরিচয় হয় রেড এর সাথে যে প্রায় ২০ বছর ধরে এখানে আছে। সে এখানকার প্রভাবশালীদের একজন। তার সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ে ওঠে অ্যান্ড্রুর। অ্যান্ড্রু একদিন রেডকে অনুরোধ করে তাকে একটি রিটা হ্যায়র্থের পোষ্টার যোগাড় করে দেবার জন্য।

রেড সেটা যোগাড় করে দেয়। জেলখানার ভেতরের নানান ধরণের ছোট ছোট ব্যাপার দারুনভাবে ফুটে উঠেছে মুভিটির নানান ঘটনার আবহে। মূল ঘটনা ছাড়াও অন্য একটি ঘটনা রয়েছে যা দারুনভাবে মিশে গেছে মূল ঘটনার সাথে। সেটা হল ব্রুকস্‌ হ্যাটলেন এর কাহিনী। ব্রুকস্‌ হল এখানকার সবচেয়ে পুরানো কয়েদি।

তাকে যখন প্যারোল দেওয়া হল তখন সে আর বাইরের জগতের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারল না। জেলখানার বন্ধুদের কাছে সে চিঠি লেখেঃ I can’t believe how fast things move on the outside. I saw an automobile once, when I was a kid. But now, they are everywhere. মুভিটির ডায়ালগেও রয়েছে আলাদা স্বাদ। জেলখানার জীবন সম্পর্কে রেড বলেঃ‘They send you here for life, that’s exactly what they take.’ মুভিটির মূল দু’টি চরিত্রে অভিনয় করেছেন টিম রবিন্স এবং মরগ্যান ফ্রিম্যান। ব্রুকস্‌ চরিত্রটিতে দারুণ অভিনয় করেছেন জেমস্‌ উয়িটমোর(টোরা! টোরা! টোরা!)। মুভিটির ডিরেক্টর হলেন ফ্যাঙ্ক ড্যারাবন্ট।

ব্রুকস্‌ বাইরের জগতে গিয়ে কি করল? অ্যান্ড্রু কি আসলে খুন করেছিল? না করলে কে করেছিল? সে কি কোনদিন মুক্তি পাবে নাকি সারাজীবন তাকে জেলেই থাকতে হবে? রেড কি ভাবছে? বাক্সটন নামের যে গ্রামে অ্যান্ড্রু তাকে যেতে বলেছে কি আছে সেখানে? এসব সহ নানান প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আপনাকে দেখতে হবে মুভিটি। আশা করি মুভিটি দেখে নিরাশ হবেন না। টরেন্ট থেকে ডাউনলোড করতে চাইলে তা করতে পারবেন এখান থেকে । নিচে তিনটি ছবি দিলাম, মুভিটিতে এই ছবিগুলোর রয়েছে গুরুপ্তপূর্ণ ভুমিকা। রিটা হ্যায়র্থ ম্যারিলিন মনরো র‌্যাকুয়েল ওয়েলচ্‌ ১৬ই ডিসেম্বর, ২০১০, ঢাকা।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.