আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লগে ছাগুরা কিভাবে প্লাস মাইনাসের অসততা চর্চা করে....

অ আ

আপনারা জানেন কোনো একটি ব্লগ পোস্ট সম্পর্কে পাঠকের ধারনার প্রতিফলন ঘটাতে সামুব্লগে প্লাস মাইনাস নামের একটা রেটিং সিস্টেম আছে। একটা সময় ছিলো যখন এর ইনটিগ্রিটি রক্ষার্থে যে কেউ লগিন করে একটার বেশি প্লাস দিতে পারতো না একই আইপি থেকে। অথাৎ যতো জন বোনাফাইড পাঠক, ঠিক ততোগুলোই রেটিং। কিন্তু গেলো বছর কোনো এক সময় কর্তৃপক্ষের অবহেলা অথবা যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে একসময়ের বোনাফাইড এই আইপি সিকিউরড্ এই প্লাস মাইনাস সিস্টেমটি বসে যায়। ফলে যে কেউ বিভিন্ন আইপি থেকে একাধিক প্লাস/মাইনস দিতে সক্ষম হয়ে উঠে।

আার ছাগুরা এরই সুযোগ নেয়া শুরু করে, বারে বারে। কিভাবে,আসুন, আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আমরা দেখেছি ক'দিন আগেই প্রথম আলোতে উইকিলিক্সের ফাঁস করা এক্টি ডকুমেন্টে, যে সৌদি ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু শেখ নামধারী ধনকুবের কিভাবে বিশ্বে জঙ্গীবাদ নির্ভর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে অর্থায়ন করে থাকে। ইস্লামিস্টদেরই আরেকটি যুদ্ধক্ষেত্র হলো জঙ্গীবাদের বিরূদ্ধে বিশ্ব জনমতকে প্রতিরোধ করার জন্য মিডিয়াতে পেইড ব্লগার বাহিনী। আপনারা মগবাজারী পেইড ব্লগারদের কথা শুনেছেন।

বাংলা ব্লগ/নিউজ পরিমন্ডলে এরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে প্রচুর নিক রেজিস্টার করে এবং নিক গুলি নিজেদের মাঝে শেয়ার করে। তাদের রেজিস্টারে কি পরিমান নিক আছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। উপরে উল্লেখিত সিস্টেমের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এরা সামহোয়ারে একই আইপি থেকে অসংখ্য নিক দিয়ে লগিন করে এবং প্লাস মাইনাস দিয়ে ব্লগে সাধারন জনগনকে বোকা বানায়। প্রতিটা প্লাস বা মাইনাসের পেছনে সামুতে তাই একাধিক ব্যক্তি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ একে রোধ করার কোনো ব্যবস্থা রাখেন নি।

ফলে ছাগুদের বিপক্ষে যায়, এমন যেকোনো পোস্টে এরা দলবদ্ধভাবে মাইনাস দিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানোর প্রয়াস পায়। প্রমাণ যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মাইনুদ্দীনকে নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারিতে রেকর্ড সংখ্যক মাইনাস। দশ দিন স্টিকি থাকা সেই পোস্ট প্রায় দশ হাজারবার পড়া হয়েছিলো, এবং ১৭১ টি মাইনাস পড়েছিলো। ওই পোস্টে ইসলাম সম্পর্কে কোনো কথা ছিলো না, তবুও ছাগুপার্টি মাইনাসের উৎসবে মেতে উঠেছিলো। সেটা ছিলো এবছরের জুন মাস।

আর এখন, ডিসেম্বর মাস। এরা এই মূহুর্তে প্রধানত দুটি কারনে নিকবাজী ও প্লাসমাইনাস ম্যনিপুলেশনে একটিভ। এক. এই ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস বাঙালী জাতির জন্য। ছাগুদের জন্য এ মাস পরাজয়ের। এই মাসেই এরা মর্মান্তিক কান্না করে থাকে তাদের পাকি দোসর হানাদার বাহিনীর জন্য।

দুই. দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর এই প্রথম বাঙালী জাতি তার স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশীয় অপরাধীদের বিচারের জন্য কাজ শুরু করেছে। ছাগুরা জানে এই তাদের শেষ সুযোগ। সর্বশক্তি দিয়ে তারা তাই সৌদি রিয়াল ও ইসলামী ব্যংক থেকে উদ্ভুত লাভ ব্যবহার করে ছাগুরাজদের মুক্ত করতে সচেষ্ট। মুক্তচিন্তা একটি জাতিকে কুসংস্কার ও অন্ধত্ব থেকে মুক্তি দেয়। এ মু্ক্তির পথ ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ।

বন্ধুর ও অসমতল। ছাগুদের মাইনাস সহ নানা পদের ধাপ্পাবাজি দেখে আমাদের দমে গেলে চলবে না। এ দেশ স্বাধীন হয়েছে আমাদের পুর্বপুরুষদের আত্মত্যগের বিনিময়ে। ছাগুদের ফাঁদে পা দিয়ে আমরা যেনো তাঁদের অবমাননা না করি। ধন্যবাদ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.