এরা যত বেশী পড়ে, তত বেশী জানে, তত কম মানে। -_-
সিনেমার প্রথম দৃশ্যঃ
মণীষার মাথা দিয়া বাষ্পীয় ইঞ্জিনের মতন ধুয়া বাইর হইতেছে। মগজের কয়লা রাগের উত্তাপে ভষ্ম হয়ে গেলো! এই মুহূর্তে অগ্নিমূর্তি নিয়ে কম্পিউটারের সামনে বসে আছে।
সিনেমার প্লটঃ
আমার খালা জান গত দিন পঁচিশেক ধরে রোজ ফোন করে আমাদের তাগিদ দিচ্ছেন যেন ঈদ এবার উনাদের এখানে গিয়েই করি। এবার কারণও ছিলো, খালু মারা যাওয়ার পর উনি মারাত্নক একা হয়ে গিয়েছেন, মেয়েরা কাছাকাছি থাকলেও সবাই নিজ নিজ সংসারে ব্যস্ত, একটা ছেলে সেও ঢাকায় চাকরি করে।
এই প্রথম খালুকে ছাড়া ঈদ উনার। আমার মা আর খালার মত আর কোন বোনদের মধ্যে এত ভালোবাসা আর আবেগ দেখিনি। উনি আম্মুর জন্য সবসময় মায়ের মত ছিলেন- আর আব্বুর জন্য শ্বাশুড়ির মতন। ফলসরূপ আমাদের খালাতো ভাইবোনদের মধ্যেও টান ছিলো আপন ভাই বোনের চেয়েও বেশী। বড় খালার বাসায় প্রায়ই ঈদ করতে যেতাম ছোট থাকতে, বিপদে-আপদে সব কিছুতে এই একটা বাসা আমরা জানতাম যে আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে সর্বস্ব দিয়ে হলেও।
খালার যখন এই প্রথম একা ঈদ করছেন, তাই আব্বু-আম্মুরও ইচ্ছে ছিলো বাড়িতে যাবে এবার। কেননা, এখন আমাদের উচিত উনার দুঃখে পাশে থাকা।
রাইজিং একশানঃ
আমার আব্বা-আম্মা কোনদিনও প্ল্যানিং করে কিছু করতে পারে না, সব কিছু আউলা-পাতারি হঠাৎ সিদ্ধান্ত হয়। বাড়িতে যাবো যাবো বললেও যাওয়ার প্ল্যান বাতিল হয়ে গেছিলো কিছু সমস্যা এবং নানা উটকো কারণে। খালা প্রতিদিন ফোন দেয়, আম্মু স্বান্তনা দেয় যে আমরা চেষ্টা করতেছি (চেষ্টা বিফল যাবে সবাই জানতাম)।
ফলে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত জানতাম আমরা বাড়িতে যাচ্ছি না, ফলে আমার ফ্রেন্ডদের বাসায় দাওয়াত করেছি। রাত বারোটার সময় আম্মা আমারে কয় কালকে ভোর বেলা কিশোরগঞ্জ যাবে, ট্রেনের টিকিট যেহেতু সম্ভব না কাজেই বাসে যেতে হবে। আমি এক মাসুম জীব, আমার আব্বা-আম্মা দুইজনই বয়স্ক, ভাই থ্রীতে পড়ে। কাজেই সারা রাত জেগে বাসা ও ব্যাগ গুছানো ভার পরেছে আমার দূর্বল কাধে, সকাল বেলা ব্যাগ এবং পুরো ফ্যামিলি আমাকেই নিয়ে যেতে হবে, নির্ঘুম রোজাদার হয়ে।
ক্লাইমেক্সঃ
এটা আগামীকাল জানা যাবে, সারা রাত এই সিনেমা চলবে।
এখন বাসায় তুমুল হট্টগোল চলছে। মিনিটে মিনিটে সিদ্ধান্ত চেঞ্জ হচ্ছে, যাই কি যাই না- কি হবে শেষ পর্যন্ত? জানতে হলে সঙ্গেই থাকুন, ফিরে আসছি ঘন্টাখানেকের বিরতি শেষে।
অফ টপিকঃ ব্লগে ঈদের শুভেচ্ছা দেন নাই কেউ, সবাই মেহজাবিন এর এত্ত গুলা পঁচা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।