আমার এক ব্লগার ভ্রাতা ঝিণ ঝাতির বংশবৃস্তার ও সংরক্ষনপ্রকল্পে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ( লেখাখানা এখনো না দেখিলে এইখান হইতে চক্ষু-কর্ণর বিবাদ মিটান ) দাবী জানাইয়াছেন শুনিয়া আমি যার-পরনায় আতঙ্কিত বোধ করিয়া লেখাখানা লিখিতে বাধ্য হইলাম। বলা বাহুল্য, ঘটিয়া যাওয়া অতিশয় সত্যি কিছু ঘটনা অবলম্বনে এটি লিখিয়াছি।
আমার পরিবার সম্ভ্রান্ত মুসলিম এবং ধর্মীয় যাবতীয় আজ্ঞা এখানে খুবই নিবিঢ়ভাবে পালন করা হয় দেখিয়াছি, তবে কখনই বাড়াবাড়ি নহে। ছোটবেলায় ঝিণজাতির সহিত প্রথম পরিচয় হইয়াছিল সম্ভবত আমার নানীজানের মারফত নানাবাড়িতে, নীলরক্তা নানিজান এবং তাহার পরিবারের সহিত উহাদের ডিএনএ বা জিনঘটিত সম্পর্ক ছিল বলিয়াই আমার বিশ্বাস। ঝিণদের বুজরুকি শুনিয়া আর ঝিণে ধরা দু চারজন রুগী চাক্ষুশ দেখিয়া এম্নিতেই ভয়ে ষিটাইয়া থাকিতাম তখন।
এদের একজনকে দেখিয়াছিলাম কাদায় গাঁথিয়া রাখা হইয়াছিল, যাহা আমার এখনও মনে আছে। অতপর আমার নেতৃস্থানীয় মুরব্বীদের প্রায় সকলের মুখেই ঝিণদের বহুত বুজরুকী কারবারের কথা শুনিয়াছি এবং ঝিণদের সাথে উনাদের সম্পর্ক আমার সম্পর্কের চাইতের প্রগাঢ়, তাহা ভাবিয়া ভীষণ ঈর্শা বোধ করিয়াছি। আর মনে প্রাণে বদ উহাদের অনিষ্ট হইতে রক্ষা পাইবার জন্য প্রতি রাতে ঘুমাইবার আগে বিভিন্ন দোয়া দরুদের সহিত আয়তাল কুরসী পড়িয়া হাত ফাটাইয়া তালি দিয়া ঘুমাইয়াছি। তবে ঢাকা শহরে ঝিণজাতির উপদ্রপ তুনণামূলক কম, উহাদের সন্ত্রাসী কার্যকালাপের কথা খুবই কম শুনা যায়; তাহা বিজলী বাতির জন্যই হোক, আর ডিজুস বা আমাদের সময়কার মিলিয়নিয়ার জেনারেশনের পোলাপানের অত্যাচারেই হোক, এই কথা মানিয়া যথেষ্ট তৃপ্ত বোধ করিতাম। বিশেষ করিয়া আজকালকার পোলাপান কর্তৃক শয়তানের পশ্চাতে বাঁশ দেয়া পূর্বক এক ঘোড়ায় ছয়জন চড়িবার বিশেষ যে গল্পখানি আছে, উহা মনে করিয়া গর্ববোধ করিতাম, আমিও এই জেনারেশনেরই একজন কিনা।
তবে আমার এই তৃপ্তভাব আর গর্বোবোধে অচিরেই ফাটল ধরিল। আমার বাসা আজিমপুর হইতে ধানমন্ডি স্থানান্তরিত হহল। প্রথম ভালই কাটিল। কিন্তু কিছুদিন পর উক্ত জায়গার কামেল হাফেজ ইমাম হুজুরের সাথে পরিচয় এবং তিনি কতৃক আমার বাসার আশেপাশের বাগানগুলোতে জ্বিনদের আস্তানা দর্শন ও উহাদের আড্ডাস্থান শুনিয়া (উনার বর্ননা শুনিয়া আমার মাঝি-মধ্যে ঝিণদের জন্য ওই জায়গা রমনাপার্ক বলিয়াও মনে হইত, উনার মুখেই প্রথম শুনিয়াছিলাম যে মহিলা ঝিণরাও অতি কদাকার হয়, পরী নামক অতিশষ সুন্দরী কোন রমনীর বেশ ধরায় নাকি ভুলক্রমে উহাদেরকে পরীর ন্যয় সুন্দরী ধরা হয়) যারপরনায় দমিয়া যাইতাম, কিন্তু ততদিনে আমি যৌবণে এবং আমার অভ্যন্তরে ভয় জয় করিবার এক অদম্য ণুরানী ক্ষমতা জাগ্রত হইয়াছে ও কিছু অতি দুর্ধর্ষ টাইপ সাঙ্গ-পাঙ্গও আমার সহিত জুটিয়াছে। অতীব দুঃখের বিষয় ছিল এত বড় বুজরুকী পরিবারের সন্তান হওয়ার পরও আমি কষ্মিকালেও ঝিণদের দর্শনলাভ করিতে সমর্থ হই নাই, আমার এ অনুপযুক্ততা আমাকে যারপরনায় দংশিত করিতেছিল ।
আমার সাঙ্গ-পাঙ্গকে আমার এ ব্যর্থতার কখা জানাইতেই তাহারা আমার এ ব্যর্থতা নিবারনের দৃপ্ত শপথপূর্বক নিজেরাও আলাউদ্দীন হইবার নিমিত্তে কোমড় বাধিয়া নামিল। ঝিণদের গমনস্থান আমাদের আগেই ইমাম হজুরের কল্যানে জানা ছিল। অতপর শুরু হইল নিশি রাত্রিতে আমাদের ঝিণ দর্শন অভিযান। কিন্তু আমি ও আমার সাঙ্গ-পাঙ্গ কর্তৃক ঝিণ দর্শণের ব্যাপক দৌড়-ঝাপ আর কায়দা-কানুন, ফাঁদ, ফন্দি-ফিকির ইত্যাদি করিয়াও উহাদের দর্শন লাভে বিফল হইলাম ও আবার ইমাম হুজুরের শরনাপন্ন হইলাম, হুজুর বহুত গোনা-গাণি পূর্বক শুক্রবার আমার জন্ম হওয়াতে ঝিণ ঝাতির সহিত আমার কিরকম এক শত্রুতা আছে বলিয়া মত দিয়া ঐ দর্শণকর্ম হইতে নিবৃত্ত হইবার আহবান জানাইলেন। অতঃপর আমাদের হাল ছাড়িয়া জ্বিন কাহিনী শিকেয় তুলিয়া ভালই নির্ভয়ে সুখে-শান্তিতে দিনিপাত চলিতেছিল।
কিছুকাল পর আমি ওই এলাকা হইতে বাসা সরাইয়া লইলাম, যদিও আমার আব্বা ও আম্মা হুজুর ওখানে এখনও উপদ্রপহীনই বসবাস করিতেছেন। কে কহিবে, উহাও শুক্রবার সন্তান জন্মদানের বদৌলতে কীনা।
নতুন বাসায় কিছুকাল যাইতে না যাইতেই আমার পাশের বাসার এক ছোটভাই সকালে উঠিয়া কিম্ভুতকিমাকার আচরন ও অদ্ভুত গলা করিয়া কথা কহিতে লাগিল। আমার সহিত আমার এক মহা পোংটা বন্ধু ছিল তখন। ও সংবাদ পাওয়ামাত্র ছুটিয়া গিয়া ছোটভাইয়ের উপর ভর করা (বুজুর্গান কর্তৃক নিদের্শিত) ঝিণের সহিত চুটাইয়া আলাপ জুড়িয়া দিল (উহা সত্যি)।
অতপরঃ আলাপ বেশ জমিলে ও উহাকে ছোটভাইকে ছাড়িয়া ওর সাথে আমার বাসায় আসিতে দাওয়াত দিলে উহা মহা ক্ষেপিয়া উত্তর দিয়াছিল, ওর (আমার ওই বন্ধু) সাথে নাকি উহার (ঝিণ) চেয়েও বড়টা থাকে। ও ঘটনার সময় আমি ছিলাম না, বাসায় আসিয়া ওই কাহিনী শুনিয়া মাথা ঝাঁঝাঁ করিয়া উঠিল। ঘটনার পরপর ওই ছোটভাইয়ের পরিবারের লোকজন আসিয়া তাহাকে লইয়া গেল। ও এখন ওখানেই থাকে। একবার ওর ওইখানে গিয়াছিলাম ঘুরিতে, ওই ঝিণ হয়ত আরও হৃষ্টপুষ্ট কাউকে পাইয়া ওকে ছাড়িয়া গিয়াছিল, তাই আমার ‘ওর চেয়েও বড়টা’ বলতে কী বুঝাইয়াছিল, আর জানা হয়নাই।
আমার একটা সমস্যা আছে, আমি বাসায় একা ছাড়া থাকিতে পারি না। বাহিরে যতই নাটা ও দল বাধিয়া পোংটামী করিনা কেন, ঘরে আসিলে আমার আশি-পাশ অন্য কেউ থাকিলে আমার ভাল লাগে না। তাই আমাকেও কেহ বিরক্ত করে না, পরিবার ও পরিচিতমহল। আমিও নিশ্চিন্তমনে সুখেই ছিলাম একলা একলা, সবার থেকে কিছুটা দূরে নিজের রাজ্যে। কিন্তু আমার সুখ উহাদের সইল না।
ছোটখালার বাসার এক অনষ্ঠানে আম্মাহুজুরের এক মামার সাথে দেখা হইল, যিনি দুনিয়ার যাবতীয় বুজুর্গানের আস্তানা ঘুরিয়া বিশেষ ক্ষমতা অর্জনপূর্বক আজমীর শরীফে আসিয়া ঘাঁটি গড়িয়াছেন বলিয়া শুনিয়াছি। উনার মোযেযাও নাকি কম নহে এবং ঝিণজাতির সঙ্গে উনার গলায় গলায় দোস্তির নজির নাকি শুধু আলিফ-লায়লাতেই দেখা যাইত, উনার সাথে ছোটবেলায় একদিন থাকার থাকার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা আমার জীবনে ভুলিবার নহে। উনি আমাকে দেখিয়া কিছুক্ষন নিবিঢ়ভাবে পর্যবেক্ষনপূর্বক ঘোষণা দান করিলেন আমার সাথে উপরকার প্রজাতির উহারা আছেন এবং সেই সঙ্গে পিত্তি জ্বালাকরা কিছু ব্যপার বর্ণনা করিলেন। আর যাই কোথায়, হুরোহুরি পরিয়া গেল পরিবারে। আমি কোনদিন আগুনের কুন্ডলীর ন্যায় কোন কিছুর দর্শন করিয়াছি কিনা তাহা লইয়া রীতিমত গবেষণা ও তদবীর ফিকির শুরু হইল।
মাঝখান দিয়া আমার শান্তি শনিগ্রহে পলায়ন করিল। আমি একলা বাসায় ভয় পাইতে লাগিলাম, কিছু দেখিয়া না; না দেখিয়াই। এর কারনও আছে, পাড়াত ছোটভাইকে ঝিণ ধরার কথা তো আগেই বলিয়াছি। এর আগে একটা রটনা রটিয়াছিল। আমার আব্বাহুজুর যখন বাড়ির কাজ করিতেছিলেন, চারিতলা পর্যন্ত হইবার পরে এক সন্ধ্যায় ওই জায়গার কোন এক দুষ্টু ছেলে নাকি ওটার ছাদ হইতে নিচে পড়িয়াও অক্ষত রইয়াছিল এবং আরও কিছু এই রকম কাহিনী প্রচলিত আছে।
সেই হইতে আমাদের বাড়িতেও ঝিণ আছে বলিয়া রটনা হইয়াছিল। এখনও এ এলাকার কিছু সাঙ্গ-পাঙ্গ আমার বাসায় রাত্রিবেলা আসিতে ভয় পাইয়া থাকে। যদিও চাঁদনী রাতে সারা রাত্র একলা ছাদে চন্দ্র দর্শন করিয়াও কোন আজগুবী কিছু আমার নজর হয় নাই। তবে আম্মাহুজুরের মামা কর্তৃক রটিত কাহিনীর পর আমার জীবন ব্যবস্থায় কিছুটা ব্যতিক্রম আসিল। আমি আমার বাসাতেই ভয় পাইতে লাগিলাম, তবে রক্ষে যে ভয়টা শুধুমাত্র ঘুমাইবার সময়টুকুই সীমাবদ্ধ ছিল।
সমস্যা একটাই, লাইট না জ্বালাইয়া ঘুমাইতে পারিতাম না প্রথম প্রথম, এখন ঘরের লাইট আর জ্বালাইতে হয় না, তবে বাথরুমের লাইট জ্বালাইয়া ঘুমাইতে যাই আর দোয়া-দুরুতের বদলে আম্মাহুজুরের উক্ত বুজরুকী মামার আটাইশ গুষ্ঠি উদ্ধার করি, কারন ভয়ের বীজটা উনিই নিপুনহস্তে আমার ভিতর বপন করিয়াছিলেন। আশার কথা যে ভয়টা শুধু বাসাতেই সীমাবদ্ধ আর এখন অনেকটাই কাটিয়া গিয়াছে, বাকিটা সময় বন-বাদার আর গোরস্থান থেকে শশ্মানঘাট সবজায়গাতেই আমার ভয়হীন পদচারনা।
কাহিনী এইখানেই শেষ হইত। কিন্তু আমি ছাড়িয়া দিলেও উহারা আমাকে ছাড় না। এইবার উহারা আমার চরিত্রে কালিমা লেপন করিয়া ছাড়িল।
এই কিছুদিন আগের কথা। আমার ছোট খালার বাসায় নাকি এক বুজরুকী হুজুর আসে, যাহার সহিত ঝিণদের বহুত মেলামেশা-উঠাবসা এবং তাহার বহুত আজগুবী টাইপ বুজরুকী কারবার পরিবারের প্রায় সকলের মুখে মুখে ফিরিতেছে। উহার ক্ষমতা নাকি পুত্রের শিশ্ন দেখিয়া পিতার নাম বলিয়া দেয়া টাইপ কোন খাঁজা কিংবা দেওয়ানী বাবাদের চাইতেও অতিগুনে উত্তম। আমার আম্মাহুজুর কিছুদিন আগে উহার দর্শন লইয়া ইহকাল-পরকাল সম্মন্ধে বিস্তর জ্ঞানলাভ করিয়াছেন বলিয়া শুনিয়াছি। উহাতে আমার কোন মাথাব্যথা নাই, ছিলও না কষ্মিকালে, যদি না উহা আমার সহিত বুঝিয়া-শুনিয়া পাঙ্গা লাগিতে না আসিত।
যাহ হোক, ঘটনা হইতেছে আমার আম্মাহুজুর ঝিণ এর মূহর্মূহ মোযেযায় যারপরনায় মুহর্মূহ পূলকীত হইয়া একপর্যায় আমি ও আমার বাউন্ডুলেপানা সম্মন্ধে কিছু জিজ্ঞেস করিয়াছিলেন। প্রতিত্তরে কী সব পাওয়া গিয়াছিল, উহা সম্পূর্ণ আমার শুনা হয় নাই, শুধু এইটুকুই শুনিয়াছি....উক্ত বদমাশ কহিয়াছে, আমি ইতিমধ্যে বিবাহ মুবারক সম্পর্ন্য করিয়াছি তাহাদের কাহকে না জানাইয়া এবং বউএর আঁচলতলে সুখে-শান্তিতে দিনিপাতও করিতেছি। পরিবারের আদরের বড় ছেলের এহেন কর্ম শুনিয়া সকলের কী অবস্থা হইতে পারে উহা সহজেই মালুম। আমার আব্বাহুজুর কিছু কহিলেন না, তাহার আমার প্রতি যথেষ্ঠ আস্থা আছে বলিয়া আমার বিশ্বাস। কিন্তু আমার আম্মাহুজুর এবং আমার মাতৃকুল প্রথমে আমার বাড়ির দারোয়ানকে কড়া রিমান্ডে, কিন্তু কোন সুবিধা না করিতে পারিয়া পরে আমার তুলোধুনো আর আমার পরিচিতা কিংবা সন্দেহগ্রস্থ সকল নারীর লিষ্টিপুর্বক ব্যপক গবেষণাযজ্ঞ শুরু করিলেন, যাহা নিদারুন মানষিক অত্যাচার ছিল।
ঘটনার ঘনঘটায় ও ঝিণর দৃঢ়তায় আমি নিজেই নিজের উপর বিশ্বাস হারাইয়া কখনও এহেন কোন কর্ম অস্থির কোন কালে আমি কর্তৃক কোথাও সাধিত হইয়াছে কিনা মনে করিবার ব্যপক প্রচেষ্টা করিয়াছি এবং আমার সাঙ্গ-পাঙ্গদেরও ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদ করিয়াছি। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয়, আমা কর্তৃক এহেন কর্ম সাধনের কোন প্রমান কোথাও পাবার সম্ভাবনা না পাইয়া ঝিণ কী কারনে আমার নামে কুৎসা রটাইতে পারে তাহা ভাবিয়া অস্থির হইতেছি। উক্ত ঘটনা এখনও চলিতেছে, তাহাদের হাতে আমার দু-একজন ঘনিষ্ঠা রিমান্ডে গিয়াছেন বলিয়া খবর আসিয়াছে। অবস্থাদৃষ্টে আমি এখন সকল আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ বন্ধপূর্বক উক্ত নিকাম্মা, বদমাশ ঝিণ এর চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করিতেছি আর কোন একদিন উক্ত বুজরকী বাবা আর তাহার পোষা ঝিণ অথবা ঝিণদের সাক্ষাত গ্রহনের আশায় দিন গুজরান করিতেছি। কিন্তু আমি নাকি উহাদের সাথে পাঙ্গা লইয়া উহাদের ক্ষেপাইয়া সবার ক্ষতি করিতে পারি, তাহার কারনে আমার উপর উক্ত পথ না মাড়ানোর নামে আর্মি হুলিয়া চলিতেছে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হইতেছে, আমার সাধুতা প্রমানের কোন সুযোগই না পাইয়া বাকি জীবন অদৃশ্য কোন বিবাহের বদৌলতে দৃশ্যমান কুমার থাকিতে হইবে।
আর কত? উহা না দেখিয়াই যদি আমার কপালে এহেন কৃচ্ছতা সাধন যদি হইয়া থাকে, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার পর ষষ্ঠবার্ষিকীতে কী অবস্থা দাড়াইবে তাহা ভাবিয়া দেখায় বিষয় কিন্তু। আমার মত নীগৃহীতের সংখ্যা আর না বাড়াইয়া উহার কর্মকান্ড সব তুঘলকি হুজুরদেরই হাতেই থাকুক, আমরা বরং মাঝিমধ্যে উহাদের তুঘলকি কর্মকান্ড শুনিয়াই সন্তুষ্ট থাকি। এম্নিতেই উহাদের সংখ্যা, ক্ষমতা আর বয়স, সবই নাকি মনুষ্যকূলের চাইতে বহুগুনে বেশী। হয়ত কলির জমানায় আসিয়া উহারা ভয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলিয়া গিয়াছে।
কিন্তু যদি উহাদের ভয় ভাঙিয়া দিয়া উহাদেরকে আবার দৃশ্যপটে ফিরাইয়া আনা হয়, তাইলে ভবিষ্যতে রোবটের সহিত না হইয়া ঝিণঝাতির সহিত যুদ্ধ হইয়াই মানবকুলের বিনাশ হইবে বলিয়া আমার বিশ্বাস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।